ছাত্র আন্দোলনের মুখে এবার সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ছাত্র আন্দোলনের মুখে এবার সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
সংগৃহীত ছবি

রেলস্টেশনের ছাউনি ধসের ঘটনায় দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোসি ভুকেভিক।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

পদত্যাগের বিষয়ে মিলোসি ভুকেভিক বলেছেন, পরিস্থিতি জটিল না করতে এবং সমাজে উত্তেজনা না বাড়াতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার দেশটির ছাত্ররা রাজধানী বেলগ্রেডের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেন।

এতে যোগ দেন কৃষকরাও। তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করার পরই প্রধানমন্ত্রীর ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়তে থাকে।

গত বছরের নভেম্বরে সার্বিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নোভি সাদে একটি রেলস্টেশনের কংক্রিটের ছাউনি ধসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবি, স্টেশন তৈরির সময় দুর্নীতি না করলে এত মানুষকে প্রাণ হারাতে হতো না।

গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিস বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা এবং সরকারে বড় ধরনের বদবদল আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এদিন শিক্ষার্থীরা সার্বিয়ার রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক জংশনে অবরোধ করেন। এতে করে শহরটি অচল হয়ে পড়ে।

মিলোসি ভুকেভিক এক বছরেরও কম সময় সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির নেতা।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নভি সাদের মেয়র ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মার্কিন সহায়তা হ্রাসে দীর্ঘমেয়াদি সংকটের আশঙ্কা

বাসস
বাসস
শেয়ার
মার্কিন সহায়তা হ্রাসে দীর্ঘমেয়াদি সংকটের আশঙ্কা
জিম্বাবুয়ে খরা তীব্র হওয়ায় খাদ্যসংকট বেড়ে গেলে মায়েরা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় দেওয়া পোরিজের বাক্স বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন। ফাইল ছবি : এএফপি

উগান্ডায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পরিচালিত সার্বজনীন শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে লাখ লাখ স্কুলশিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। দক্ষিণ সুদানে মার্কিন সহায়তা হাজারো বন্যাদুর্গত মানুষকে কলেরার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্দেশে তিন মাসের জন্য অধিকাংশ মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করেছেন এবং সব তহবিল ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন পরবর্তীতে খাদ্য ও অন্যান্য মানবিক সহায়তার জন্য কিছু ছাড় দিয়েছে।

তবে ত্রাণকর্মীরা বলছেন, অনিশ্চয়তা এখনো বজায় রয়েছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব ইতিমধ্যে অনুভূত হচ্ছে। এমনকি ৯০ দিনের পর্যালোচনার পর মার্কিন সহায়তা পুনরায় চালু হলেও ত্রাণকর্মীরা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের আশঙ্কা করছেন।

কিছু বিশ্লেষকের মতে, চীন ও অন্যান্য শক্তিধর দেশ যখন উন্নয়নশীল বিশ্বকে আকৃষ্ট করতে চাইছে, তখন এই সহায়তা বন্ধের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

‘ইতিমধ্যে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেছে’
উগান্ডার কমুলির একজন হিসাবরক্ষক পিটার ওয়াইসওয়া ‘কম্প্যাশন কানেক্টরস’ নামের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সাহায্য কার্যক্রম সমন্বয় করেন।

তিনি বলেন, ‘এইচআইভি/এইডস রোগীদের জন্য কয়েক দিনের ওষুধের অভাবও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।’

তিনি জানান, মার্কিন সহায়তার ওপর নির্ভরশীল কিছু স্কুল ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে না আসার নির্দেশ দিয়েছে।

এ ছাড়া দক্ষিণ সুদানের দরিদ্রতম অঞ্চলের আওয়েলে এতিমখানার শিক্ষক জেমস আকুন আকট বলেন, ‘বন্যায় গৃহহীন হওয়া তিন হাজার মানুষকে মার্কিন সহায়তায় পরিচালিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ত্রাণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সমস্যা হলো, ত্রাণ শুধু জরুরি সহায়তার জন্যই নয়, পুনর্গঠনের জন্যও ব্যবহৃত হয়।

তিনি সতর্ক করেন, ‘যদি এই তহবিল কাটার সিদ্ধান্ত শিগগিরই পুনর্বিবেচনা না করা হয়, তবে দক্ষিণ সুদানে ক্ষুধা ও রোগে মানুষ মারা যেতে পারে।’

অনিশ্চয়তার রাজত্ব
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সহায়তা দানকারী দেশের ভূমিকা পালন করে এসেছে। ২০২৩ সালেও দেশটি ৬৪ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাহায্য কর্মসূচিগুলোর একটি হলো পিইপিএফএআর। এটি সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল।

এর মাধ্যমে আনুমানিক ২৬ মিলিয়ন মানুষের প্রাণ রক্ষা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ২৪ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে সব মার্কিন সহায়তা স্থগিত করেন, তবে ‘জরুরি খাদ্য’ ও অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে ইসরায়েল ও মিসরের জন্য ছাড় দেন। পরবর্তী এক স্মারকে তিনি আশ্রয়, ওষুধসহ অন্যান্য মানবিক সহায়তাও ছাড় দেন, যা পিইপিএফএআরের অর্থায়নে সরবরাহ করা অ্যান্টি-রেট্রোভাইরাল ওষুধের জন্য একটি স্বস্তির বার্তা বহন করে।

কিন্তু মালাভির জুম্বার নার্স সুজি ডিজিমবিরি জানান, তিনি শুনেছেন, মানুষ যতটা সম্ভব ওষুধ মজুদ করছে এবং ‘লাইটহাউস’ নামের একটি স্থানীয় দাতব্য সংস্থা, যা এইচআইভি/এইডস চিকিৎসা পরিচালনা করত, দ্রুত বন্ধ হয়ে গেছে।

ওয়াশিংটনে এক কংগ্রেস সহকারী জানান, মাত্র ৯ দিনের জন্য সহায়তা বন্ধ থাকলে দৈনিক ১০ লাখ এইচআইভি/এইডস ওষুধের ডোজ বিতরণে বিঘ্ন ঘটতে পারে, অথচ এখনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা মেলেনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে, পিইপিএফএআর চলবে। কিন্তু আমাদের হাতে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জানি কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ শেলফে পড়ে রয়েছে, বিতরণের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু ওয়াশিংটনের নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তা পাঠানো হচ্ছে না।’

ওই কর্মকর্তা যোগ করেন, ‘পিইপিএফএআর আমাদের জন্য এক ধরনের মার্শাল পরিকল্পনা ছিল। এখন যদি হঠাৎ করে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে এটি আমাদের খামখেয়ালিপনার প্রমাণ দেবে, আমরা আসলে চিন্তা করি না এবং ভবিষ্যতে তারা সম্ভবত চীনের মতো দেশগুলোর দিকে ঝুঁকবে।’

‘আমরা চাই না মানুষ মারা যাক’
রুবিও নতুন কিছু ছাড় দেওয়ার ব্যাখ্যায় বলেন, ‘আমরা চাই না মানুষ মারা যাক এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটুক।’

কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ছাড় প্রদান প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন সংস্থাকে ব্যয়ের সঠিক হিসাব দিতে বাধ্য করছে। কারণ ‘ঐতিহাসিকভাবে আমরা খুব কম সহযোগিতা পেয়েছি’।

রুবিও আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কিছু আছে, যাকে আমি বৈদেশিক সহায়তা শিল্প কমপ্লেক্স বলি, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলার পেয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

এদিকে একটি মার্কিন বেসরকারি সংস্থার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘জরুরি সহায়তাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া মূলত একটি কৌশল হতে পারে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করতে পারে, অন্যান্য খাতে আর সহায়তা দেওয়ার দরকার নেই।’

মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের আশঙ্কায় নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমনকি জরুরি খাদ্য শব্দগুচ্ছই এক ধরনের স্ববিরোধিতা। আপনি কয়েক দিন না খেয়ে থাকুন, তারপর বুঝবেন জরুরি খাদ্য কী জিনিস।’

তিনি বলেন, সহায়তা বন্ধের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় সংগঠনগুলো, যাদের আর্থিক সঞ্চয় নেই। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাই চান এসব সংস্থা আরো শক্তিশালী হোক। তিনি মন্তব্য করেন, ‘এটি মূলত বাড়ি সংস্কারের নামে ভিত্তিটাই ধ্বংস করে দেওয়ার মতো।’

মন্তব্য

প্রথম সফরে মধ্য আমেরিকায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথম সফরে মধ্য আমেরিকায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সরকারি সফরে মধ্য আমেরিকায় গিয়েছেন মার্কো রুবিও। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পানামা, এল সালভেদর, কোস্টারিকা, গুয়াতেমালা এবং ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র সফরের পরিকল্পনা করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি পানামা পৌঁছেছেন। খবর বিবিসি ওসামা টিভির।

 

খবরে বলা হয়, এই সফরে তিনি পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো, সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে, কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো চাভেস, গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডো আরেভালো ও ডোমিনিকান প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদেরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ল্যাটিন আমেরিকা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত মরিসিও ক্লেভার-ক্যারোন বলেছেন, গত ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমবারের মতো তার প্রথম সফর হিসেবে ল্যাটিন আমেরিকায় যাচ্ছেন।

কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সফরের আংশিক লক্ষ্য এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলা করা। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যখন তার পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে তৎপরতা জোরদার করছেন তখন এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ বাবার প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ বাবার প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে রুবিওর সম্পৃক্ততা এই অঞ্চলে আমাদের মূল ও অভিন্ন স্বার্থে সহযোগিতা জোরদার করবে। এর মধ্যে রয়েছে, অবৈধ ও বড় আকারের অভিবাসন বন্ধ করা, আন্তঃদেশীয় অপরাধী সংগঠন ও মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করা, চীনকে মোকাবেলা করা এবং আমাদের গোলার্ধে সমৃদ্ধি বাড়াতে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গভীর করা।

মন্তব্য

বরের নাচ দেখে বিয়ে ভেঙে দিলেন কনের বাবা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বরের নাচ দেখে বিয়ে ভেঙে দিলেন কনের বাবা
সংগৃহীত ছবি

বিয়ে করতে এসে অনুষ্ঠানে নাচানাচি করায় বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন কনের বাবা। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের দিল্লিতে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। 

খবরে বলা হয়, তখন সবে সন্ধ্যা নেমেছে।

ঢাক-ঢোল নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে বিয়ে করতে দিল্লির গন্তব্যে পৌঁছেন বর। চারদিকে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা। শুরু হয়েছে নাচানাচি। বর ও কনে পক্ষের সকলে নাচানাচিতে মেতে উঠেন।
কিছুক্ষণের মধ্যে বরকেও সকলে নাচতে অনুরোধ করেন। নাচের লোভ সামলাতে পারেননি বর। সে সময়ই হঠাৎ বেজে ওঠে 'চোলি কা পিছে কেয়া হ্যায়' গান। বরও তালে তাল মিলিয়ে নাচতে থাকেন।
 

বেশিরভাগ আমন্ত্রিতই বিয়ের এই হালকা মুহূর্তটি উপভোগ করেছিলেন। কিন্তু বরের আচরণ, কনের বাবার ভালো লাগেনি। তিনি ওই গানের সঙ্গে নাচায় হবু জামাইয়ের আচরণ এবং তার পরিবারের মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হয়ে শেষমেষ ওই ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়েই বাতিল করে দেন।

আরো পড়ুন
হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুতে তোলপাড়

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুতে তোলপাড়

এর পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন কনে।

কাঁদতে কাঁদতেই বিয়ের আসর ছেড়ে চলে যান। হবু বর কনের বাবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি যে নিছক মজার তা বোঝানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। কনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ে বাতিল হওয়ার অনেক পরেও বাবার রাগ কমেনি। মেয়ের সঙ্গে বরের পরিবারের যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গোপনে টিউলিপের তথ্য নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গোপনে টিউলিপের তথ্য নিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা
সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে তথ্য নিতে গোপনে বাংলাদেশে এসেছিলেন দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

তারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠক করে ব্রিটেনের গোয়েন্দাদের একটি দল। বাংলাদেশি কর্মকর্তারা তাদের জানিয়েছেন, তারা টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নতুন তথ্য জোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা এখন টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যাচাই, ই-মেইলের তথ্য যাচাই, এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডাকতে পারে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের সঙ্গে যে গোপন বৈঠক করেছেন তার আয়োজন করে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।

ওই বৈঠকে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে টিউলিপের দুর্নীতি নিয়ে নতুন তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্ট টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ব্রিটিশ গোয়েন্দারা দুইবার ঢাকা সফর করেছেন।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে লন্ডনে যথাক্রমে সাত লাখ ও ছয় লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এরই মধ্যে মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ।

বাংলাদেশ সরকারের সূত্র জানায়, বৈঠকে এনসিএর প্রতিনিধিদল আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আনা অভিযোগ তদন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে।

ওই সূত্র আরো জানায়, এনসিএ যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট এমপির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টাও করতে পারে।

যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো প্রমাণিত হলে তার ১০ বছর বা তারও বেশি সময়ের জেল হতে পারে।

আরো পড়ুন
প্রেস সচিবের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট পোস্ট করে যা বললেন শাওন

প্রেসসচিবের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট পোস্ট করে যা বললেন শাওন

বাংলাদেশি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের এনসিএ-এর কর্মকর্তারাই এই গোপন বৈঠকটি আয়োজনের প্রস্তাব দেন। এরপর ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশন এর আয়োজন করে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ