ভারতে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি, সরকারকে আলটিমেটাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি, সরকারকে আলটিমেটাম
ছবিসূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ ঘোষণার দাবি জানিয়েন উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। মোদি সরকারকে আল্টিমেটামও দিয়েছেন তিনি। আগামী ১৭ মার্চ অর্থাৎ ৩৩ দিনের মধ্যে সরকার যদি এই ঘোষণা না করে, তাহলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

হিন্দু সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি গরুকে 'রাষ্ট্রমাতা' ঘোষণা করা হোক।

এই দাবিকে বিশেষ আমল দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন শঙ্করাচার্য।

তিনি বলেন, ‘আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রকে সময় দিলাম। এর মধ্যে গোমাতাকে রাষ্ট্রমাতা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

তা যদি না করা হয়, তাহলে দিল্লির রামলীলা ময়দানে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গো প্রতিষ্ঠা নির্ণায়ক দিবস আয়োজন করা হবে। সেখান থেকেই এই দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামব। পরবর্তী রণকৌশল এখান থেকেই ঠিক করা হবে।’

আরো পড়ুন
পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা শুরু

পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা শুরু

 

শঙ্করাচার্যর কথায়, শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে একটি গরুর শরীরে ৩৩ কোটি দেব-দেবী বাস করেন।

আমরা গত দেড় বছর ধরে গরুকে ‘রাষ্ট্রমাতা’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছি। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, সরকারের উচিত গরুকে পশু হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ না করে ‘রাষ্ট্রমাতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।

২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর গোপাল মণির নামক ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল ‘গো-ক্রান্তি মঞ্চ’। সেখানে চার শঙ্করাচার্য পীঠের সমর্থনে শুরু হয় এই আন্দোলন। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে তিনটি গো সংসদ আয়োজিত হয়েছে।

২০২৪ সালে গোবর্ধন থেকে দিল্লি পর্যন্ত এই ইস্যুতে পদযাত্রাও করেন একাধিক হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। যদিও সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করা হয়নি।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
প্রতিকী ছবি

পাকিস্তানে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্প কেন্দ্র (ইএমএসসি)। আজ শনিবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

পাকিস্তানের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ১২টা ১৩ মিনিটের দিকে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

সংস্থাটি বলেছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূমি থেকে ১২ মিটার গভীরে, যা পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। 

ভূমিকম্পের সময়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বড় ধরনের ভবনধস কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও জানা যায়নি।

এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৪০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।

সূত্র : জিও নিউজ
 

মন্তব্য
আইভিএফ বিভ্রাট

অন্য দম্পতির সন্তান জন্ম দিলেন অস্ট্রেলীয় নারী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অন্য দম্পতির সন্তান জন্ম দিলেন অস্ট্রেলীয় নারী
প্রতীকী ছবি : এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে এক নারী ভুলবশত অন্য এক দম্পতির সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আইভিএফ চিকিৎসায় ঘটেছে এই মারাত্মক বিভ্রাট। 

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (এবিসি) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি ধরা পড়ে, যখন মনাশ আইভিএফ ক্লিনিকে চিকিৎসার সময় ভুলভাবে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়। শিশুটির জন্মের পর জন্মদাতা দম্পতি বাকি ভ্রূণ অন্য একটি ক্লিনিকে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন।

তখনই প্রথম সন্দেহ দেখা দেয় এবং বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান অস্ট্রেলীয় আইন অনুযায়ী শিশুটির জন্মদাতা মা ও তার সঙ্গীকেই আইনি অভিভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ফলে জৈবিক (জেনেটিক) মা-বাবারা আইনি অভিভাবকত্ব থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

পরিবার গঠনবিষয়ক আইনজীবী আইনজীবী সারা জেফোর্ড এবিসিকে বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় একটি ধারণা প্রচলিত যে যিনি শিশুটিকে জন্ম দেন তিনিই আইনি মা হন।

তবে জেনেটিক মা-বাবারা যদি সামনে এসে আলোচনা শুরু করতে চান, তাহলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে কী ঘটে তা দেখার জন্য।’

‘মানুষ ভুল করেই’
আইভিএফ চিকিৎসার পথিকৃৎ ও মনাশ আইভিএফের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক গ্যাব কোভাকস এবিসি রেডিও মেলবোর্নকে বলেন, ‘এটা খুবই ভয়ানক ও দুঃখজনক ঘটনা এবং সম্ভবত এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় এমন কিছু হয়নি। যদিও এটা সংশ্লিষ্ট দম্পতিদের জীবনে বড়সড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে, পরবর্তী যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন, তিনি হলেন যিনি এই ভুলটি করেছেন—ল্যাবের সেই বিজ্ঞানী।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি জানি না অস্ট্রেলিয়ার আইন এ বিষয়ে কী রায় দেবে; সম্ভবত এমন কিছু আগে কখনো পরীক্ষা করা হয়নি।

আমার মনে হয় না এখানে আর কিছু করার আছে। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে মানুষ ভুল করেই।’

এদিকে এই ঘটনায় আইভিএফ শিল্পের ওপর আরো কঠোর নজরদারির দাবি উঠেছে এবং সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তিতে উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উঠে এসেছে।

সূত্র : এনডিটিভি

মন্তব্য

ভারত ও নেপালে বজ্রাঘাতে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
ভারত ও নেপালে বজ্রাঘাতে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু
প্রতি বছর আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাত হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। ফাইল ছবি : এএফপি

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় বিহার রাজ্য ও পার্শ্ববর্তী নেপালে অস্বাভাবিক তীব্র বজ্রপাতের ফলে চলতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শনিবার এই কথা জানিয়েছেন।

প্রতি বছর আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাত হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।

বিহারের দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ শনিবার জানায়, বৃহস্পতি ও শুক্রবার তীব্র বজ্রপাত ও বজ্রপাতের ফলে কমপক্ষে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে প্রতিবেশী নেপালে আরো আটজন নিহত হয়েছে বলে দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে শনিবার আবারও বিহারে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে বলে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা গত বছর সতর্ক করে দিয়েছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারতে মারাত্মক বজ্রপাতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার ৯০০ মানুষ মারা যায়।

পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল জানিয়েছে, ১৯৬৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বজ্রপাতে এক লাখ এক হাজার ৩০৯ জন মারা গেছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এ হার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

মন্তব্য

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নে সায় মার্কিন আদালতের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নে সায় মার্কিন আদালতের
ছবিসূত্র : এএফপি

ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহমুদ খালিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে মত দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন আদলতের একজন বিচারক। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এই রায় দেন তিনি। এর ফলে নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে এক মাস আগে গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদ খালিলকে দেশছাড়া করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন তাদের তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারবে।

লুইজিয়ানার লাসাল অভিবাসন আদালতের বিচারক জেমি কোম্যান্সের রায়টি মাহমুদ খালিলের ভাগ্য নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নয়।

তবে রায়টি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কারণ ট্রাম্প আইনগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা, অপরাধে অভিযুক্ত নন এমন ফিলিস্তিনিপন্থী বিদেশি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। 

১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত মাসে বলেছিলেন, মাহমুদ খালিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থের জন্য হুমকি হতে পারেন। তাকে তার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য বিতাড়িত করা উচিত।

বিচারক জেমি কোম্যান্স জানান, একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত খারিজ করার এখতিয়ার তার নেই। এ ছাড়া খলিলের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে রুবিওকে তলব এবং ১৯৫২ সালের আইনের অধীন তার নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘যুক্তিসংগত কারণ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

৯০ মিনিটের শুনানির পর বিচারক বিচারক জেমি কোম্যান্স এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। আদালতটি লুইজিয়ানার গ্রামীণ এলাকায় একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রের ভেতর অবস্থিত।

সিরিয়ার একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে জন্মগ্রহণ করেন খলিল। তিনি আলজেরিয়ার নাগরিক এবং গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হন। তার স্ত্রীও একজন মার্কিন নাগরিক।

বর্তমানে খলিল লুইজিয়ানার কারাগারেই আটক রয়েছেন, গত ৮ মার্চ নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। বিচারক ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত তার আইনজীবীদের সময় দিয়েছেন আইনি সহায়তার আবেদন করার জন্য।

এরপর বিচারক বহিষ্কার আদেশ বিবেচনা করবেন। অভিবাসন আদালত নির্দিষ্ট শর্তে, যেমন নিজ দেশে নির্যাতনের সম্ভাবনা থাকলে, বহিষ্কার রোধ করতে পারেন।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ