রিমান্ড শেষে তুরিন আফরোজ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রিমান্ড শেষে তুরিন আফরোজ কারাগারে
সংগৃহীত ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় রিমান্ড শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন। 

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। 

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সুমন মিয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আরো পড়ুন
বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন, থাকছেন দিনার-বিজরী

বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন, থাকছেন দিনার-বিজরী

 

 

এর আগে গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন ৮ এপ্রিল তার এ মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট দুপুর ১২ টার দিকে আ. জব্বার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর বিএনএস সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২৭ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলার এজাহারনামীয় ৩০ নম্বর আসামি তুরিন আফরোজ।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুদকের মামলায় নুরুল আমিনের ৮ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুদকের মামলায় নুরুল আমিনের ৮ বছরের কারাদণ্ড
এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক নুরুল আমিন

দুদকের করা মামলায় এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিক নুরুল আমিনকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেনের আদালত এ রায় দেন। 

রায়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৫ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগে তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

একইসঙ্গে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার ১৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
আ. লীগকে নিষিদ্ধ করাই সর্বপ্রথম সংস্কার : ববি হাজ্জাজ

আ. লীগকে নিষিদ্ধ করাই সর্বপ্রথম সংস্কার : ববি হাজ্জাজ

 

দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে। এজন্য তাকে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে। রায় শেষে নুরুল আমিনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, দুদক নুরুল আমিনকে ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠায়। নুরুল আমিন ২০১০ সালের ২২ আগস্ট সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করে। হিসাব বিবরণীতে মোট ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ১২৭ টাকার সম্পদ দাখিল করা হয়। যার মধ্যে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার ৮২৭ টাকার স্থাবর এবং ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০০ টাকার অস্থাবর সম্পদ।

পরে দুদক পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, নুরুল আমিন দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯২ লাখ ৮১ হাজার ১৭ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ করেন। সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট রমনা মডেল থানায় মামলা করে দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দখল করেন আবদুল আজিজ। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে 

আরো পড়ুন
কুয়েটে বহিষ্কারাদেশ থেকে নির্দোষ শিক্ষার্থীদের অব্যাহতির দাবি শিবিরের

কুয়েটে বহিষ্কারাদেশ থেকে নির্দোষ শিক্ষার্থীদের অব্যাহতির দাবি শিবিরের

 

বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

মন্তব্য

‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’ স্লোগানে মুখর আদালতপাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’ স্লোগানে মুখর আদালতপাড়া
ছবি : কালের কণ্ঠ

‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’সহ নানা স্লোগানে মুখর ঢাকার আদালতপাড়া। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল করেছেন। মিছিলে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্ব শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন
ছাত্রলীগ কর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল

ছাত্রলীগকর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল

 

এদিন দুপুর ১টার দিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে মিছিল বের করে।

এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রদক্ষিণ করে আইনজীবী সমিতির সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিটের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, সদস্যসচিব নিহার হোসেন ফারুক, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসান, বর্তমান কোষাধ্যক্ষ আবদুর রশিদ মোল্লা ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন
পহেলা বৈশাখে পুলিশের কাজ নিয়ে যা বললেন প্রেসসচিব

পহেলা বৈশাখে পুলিশের কাজ নিয়ে যা বললেন প্রেসসচিব

 

এ বিষয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট যাতে ফিরে আসতে না পারে সে জন্য আমরা আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেছি। জনগণ চায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফিরে আসুক।

আমরাও তার অপেক্ষায় রয়েছি। এ দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হাল ধরবেন তিনি।

মন্তব্য
হেফাজতের ওপর সহিংসতা

মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
মেঘনা গ্রুপের প্রধান মোস্তফা কামাল

রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো গণহত্যার পক্ষে প্রচারণায় সহায়তার অভিযোগে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। অপর আসামি হলেন, ৭১ টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মোস্তফা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মুশফিকুর রহমান এ অভিযোগ দাখিল করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনা-জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সংগৃহীত ছবি

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগ পত্র আমলে গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। এ নিয়ে দুদকের করা ৬ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

আরো পড়ুন
বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে গোপালগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি

বৈশাখের দ্বিতীয় দিনে গোপালগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি

 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেওয়া অন্য আসামিরা হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক সদস্য শফি উল হক, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা, পূরবী গোলদার, আনিছুর রহমান, নাসির উদ্দীন, সামসুদ্দীন, নায়েব আলী খুরশীদ আলম, শরীফ আহমেদ, শহীদ উল্লা, ওয়াছি উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম দুই মামলায় রয়েছে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক এস.এম রাশেদুল হাসান বাদী হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান ও শেখ হাসিনাকে সহযোগী আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় আরো ১৩ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।  

আরো পড়ুন
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা, তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

 

গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের উপ পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা নিজের মালিকানায় ও তার ছেলে, মেয়ে, বোন এবং বোনের দুই ছেলে-মেয়ের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরেও সেই তথ্য গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।

এতে বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের কর্মচারীদের প্রভাবিত করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ