ইউক্রেনের মাইকোলাইভ বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যে বন্দর দিয়ে দেশটি কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করে। এ ছাড়াও ক্রিভি রিহ শহরেও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ বুধবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরটিতে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
ইউক্রেনের মাইকোলাইভ বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যে বন্দর দিয়ে দেশটি কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করে। এ ছাড়াও ক্রিভি রিহ শহরেও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ বুধবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরটিতে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণ সাগরে এবং একে অপরের জ্বালানি লক্ষ্যবস্তুরতে আক্রমণ বন্ধ করার জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে পৃথক চুক্তিতে পৌঁছেছে, তবে চুক্তিগুলো কখন এবং কীভাবে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট নয়।
মাইকোলাইভের মেয়র বলেছেন, বুধবার ভোরে শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। অঞ্চলটিতে সাতটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট কি সতর্কতামূলক ছিল নাকি মাইকোলাইভের ওপর রাতে আক্রমণের ফলে হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
রাশিয়া কেন্দ্রীয় ইউক্রেনীয় শহর ক্রিভি রিহতেও আক্রমণ করেছে। সেখানে আগুন জ্বলছে এবং ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে কোনো প্রাণহানি হয়নি বলে শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট রাশিয়ার ছোড়া ১১৭টি ড্রোনের মধ্যে ৫৬টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
তিনি এটিকে শহরের ওপর সবচেয়ে বড় ড্রোন আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোনও মৃত্যু বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’
রয়টার্স মাইকোলাইভ এবং ক্রিভি রিহ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। ক্রিভি রিহ-এ হামলার আকার এবং সেখানে কী লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট ছিল না।
রাশিয়ার তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো রাতভর নয়টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে দুটি কৃষ্ণ সাগরের ওপরে ছিল।
সূত্র : রয়টার্স
সম্পর্কিত খবর
মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা শনিবার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবিতদের সন্ধানে মরিয়া হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরের দিকে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প মায়ানমারের মধ্যাঞ্চলের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে আঘাত হানে। এর কয়েক মিনিট পরই ৬.৭ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়।
সামরিক জান্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মায়ানমারে কমপক্ষে এক হাজার ৬৪৪ জন নিহত এবং তিন হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। পাশাপাশি ১৩৯ জন এখনো নিখোঁজ। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে আরো ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আসল ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট হয়নি এবং মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মান্দালয়ে এএফপির সাংবাদিকরা উদ্ধারকর্মীদের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করতে দেখেছেন। রেড ক্রসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনটির নিচে ৯০ জনের বেশি আটকে থাকতে পারে।
দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর স্কাই ভিলা কনডোমিনিয়ামের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩০ বছর বয়সী ফিউ লেই খাইংকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ভবনটির ১২ তলার অর্ধেক অংশ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছিল। তাকে স্ট্রেচারে করে বের করে আনা হলে স্বামী তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে মান্দালয়ের বিভিন্ন এলাকায় অনেক মানুষ রাত কাটানোর জন্য রাস্তায় আশ্রয় নিচ্ছে। তারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরে থাকার ঝুঁকি নিতে চায় না।
প্যাগোডা-মঠ ধ্বংসস্তূপে পরিণত
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মায়ানমারে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। এটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ব্যাঙ্ককের মতো শত শত কিলোমিটার দূরের শহরেও ভবনগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। মান্দালয়ের শত শত বছরের পুরোনো একটি বৌদ্ধ প্যাগোডা ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
একজন সেনা সদস্য বলেন, ‘প্যাগোডার পাশের মঠটিও ভেঙে পড়েছে। একজন ভিক্ষু মারা গেছেন, কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
মান্দালয়ে বিমানবন্দরেরও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এটি উদ্ধার তৎপরতায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, বিশেষ করে এমন এক দেশে যেখানে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত।
জান্তার বিরল আবেদন
এদিকে মায়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং শুক্রবার বিরল এক আহ্বানে আন্তর্জাতিক সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন, যা এই বিপর্যয়ের ভয়াবহতা নির্দেশ করে। অতীতে দেশটির সামরিক সরকার বড় ধরনের দুর্যোগের পরও বিদেশি সাহায্য নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানী নেপিদোতে একটি প্রধান হাসপাতালে আহতদের খোলা জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে বিদেশি সাহায্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ভারত থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া চীন ৮০ জনের বেশি উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে এবং ১৩.৮ মিলিয়ন ডলার জরুরি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, মায়ানমার এমন ভয়াবহ বিপর্যয় সামলানোর মতো প্রস্তুত নয়। গৃহযুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যে ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অনেকেই খাদ্যসংকটের মধ্যে ছিল।
ব্যাঙ্ককে ভবন ধস
সীমান্তের ওপারে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে শুক্রবার একটি ৩০ তলা নির্মীয়মাণ ভবন ধসে পড়ে। দ্বিতীয় রাতেও উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গভর্নর চাদচার্ট সিত্তিপুন্ট জানান, ভবন ধসে এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং অন্তত আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ৭৯ জন এখনো নিখোঁজ, যাদের বেশির ভাগই চাতুচাক উইকএন্ড মার্কেটের কাছে নির্মাণকাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ব্যাঙ্কক নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির দুই হাজারের বেশি প্রতিবেদন পাওয়ার পর শতাধিক প্রকৌশলী বিভিন্ন ভবনের নিরাপত্তা পরিদর্শনে নিয়োজিত থাকবেন।
সৌদি আরবের আকাশে আজ শনিবার পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন সৌদি আরববাসী।
সৌদি কর্তৃপক্ষ আজ এ ঘোষণা দিয়েছে বলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে।
এদিন দেশটির দুই বৃহৎ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সুদাইর ও তুমাইরে চাঁদ দেখার সবচেয়ে বড় ব্যবস্থা করা হয়।
দুই পবিত্র মসজিদভিত্তিক ওয়েবসাইট ইনসাইড দ্য হারামাইমের তথ্য মতে, ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার জন্য সৌদি আরবজুড়ে ১০টি জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চাঁদ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। সেই সঙ্গে দেশটির সাধারণ মানুষকে ঈদের চাঁদ অনুসন্ধানের আহ্বান জানানো হয়।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায়নি শাওয়াল মাসের চাঁদ।
ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়া সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদুল ফিতর পালন করবে। আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) খালি চোখে অর্ধচন্দ্র দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।
আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়। আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে এই তিন দেশে। শনিবার (৩১ মার্চ) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ায় আজ চাঁদ দেখা না যাওয়ায় দেশটিতে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উদযাপিত হবে।
এদিকে মালয়েশিয়াও আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের ঘোষণা দিয়েছে। সে অনুযায়ী, সোমবার (৩১ মার্চ) দেশটিতে ঈদ উদযাপিত হবে এবং এ বছর দেশটিতে ৩০টি রোজা পূর্ণ হবে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ আশা করছে, আগামীকাল রবিবার খালি চোখে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে।
এ ছাড়া ভারতেও আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদ উদযাপন করা হবে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে শনিবার সেনাবাহিনী তালেবানের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালালে ১১ জন নিহত হয়। এক দিন আগে এই তালেবান সদস্যরা সাতজন সেনাকে হত্যা করেছিল। পুলিশ এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশে শুক্রবার রাতে তিনটি ড্রোন হামলা চালানো হয়, যার লক্ষ্য ছিল ‘পাকিস্তানি তালেবানের আস্তানা’।
তিনি আরো বলেন, ‘শনিবার সকালে আমরা জানতে পারি, নিহতদের মধ্যে দুজন নারী ও তিন শিশু রয়েছে। প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা নিহতদের মরদেহ সড়কে রেখে বিক্ষোভ দেখান।’ স্থানীয়রা দাবি করেছেন, নিহতরা ‘নিরীহ বেসামরিক নাগরিক’, যারা হামলার শিকার হয়েছে।
এ ছাড়া আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘তদন্ত চলছে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় হামলার সময় ওই স্থানে তালেবান যোদ্ধারা ছিল কি না।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখনই বলা সম্ভব নয়, হামলার শিকার স্থানগুলো বেসামরিক এলাকা ছিল নাকি সেখানে তালেবানরা আশ্রয় নিয়েছিল।’
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) নামে পরিচিত পাকিস্তানি তালেবান মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ‘বসন্ত অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেয়। তারা ‘অতর্কিত হামলা, লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ড, আত্মঘাতী হামলা ও হামলার হুমকি’ দেয়।
এর আগে একই প্রদেশে ‘সশস্ত্র তালেবান’ সদস্যরা একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল এবং সেখানে অভিযানে যাওয়া সাতজন সেনা সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে বলে শনিবার এক পুলিশ সূত্র জানায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই বন্দুকযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী সশস্ত্র হেলিকপ্টার মোতায়েন করে, যাতে আটজন তালেবান নিহত হয় এবং আরো ছয়জন সেনা সদস্য আহত হয় বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
এএফপির গণনায় দেখা গেছে, ১ জানুয়ারি থেকে খাইবারপাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ১৯০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
এদিকে খাইবারপাখতুনখোয়ার দক্ষিণে বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মোটরসাইকেলে রাখা বোমার বিস্ফোরণে এক সেনা ও এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন আলী এএফপিকে জানিয়েছেন।
সহিংসতা বৃদ্ধি
পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিদিন হামলার ঘটনা ঘটছে, যেখানে সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে ‘সন্ত্রাসীদের’ হত্যা করার দাবি করে। তবে এসব অভিযানের মাধ্যমে সহিংসতা কমানো সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানে হামলার সংখ্যা বেড়ে গেছে। ইসলামাবাদ তালেবান সরকারকে দোষারোপ করে বলছে, তারা পাকিস্তানবিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা আফগানিস্তানের মাটিতে আশ্রয় নিয়ে পাকিস্তানে হামলার পরিকল্পনা করে।
তালেবান সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এবং পাল্টা অভিযোগ করে বলছে, পাকিস্তান নিজেই তার ভূখণ্ডে ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, বিশেষ করে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর আঞ্চলিক শাখা আইএস-খোরাসানকে।
গত বছর প্রায় এক দশকের মধ্যে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর ছিল। ইসলামাবাদভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে এক হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ হামলায় নিহত হয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।