ব্যর্থ হতে হতে ব্যাংকে চাকরি

  • আমি মূলত বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। পাশাপাশি ব্যাংকের চাকরির জন্য কিছু বই সংগ্রহ করে পড়তে থাকি। আমার কাছে মনে হলো, বিসিএসের প্রস্তুতি নিলে ব্যাংকের জন্য আলাদা করে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না, অল্প অল্প করে পড়লেই হয়ে যায়
গাজী মিজানুর রহমান
গাজী মিজানুর রহমান
শেয়ার
ব্যর্থ হতে হতে ব্যাংকে চাকরি

এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছি মানবিক বিভাগ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়াশোনার শেষের দিকে এসে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করি। মনে মনে ঠিক করলাম—হয় বিসিএস ক্যাডার হবো, নয়তো ‘ব্যাংকার’।

তখন থেকেই বিসিএসের পাশাপাশি ব্যাংকের জন্য অল্প অল্প করে প্রস্তুতি নিতে থাকি।

যদিও আর্টস ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্ট হিসেবে ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করতে পারব কি না, এ নিয়ে প্রথম দিকে মনে যথেষ্ট শঙ্কা ছিল।

ব্যাংকের চাকরির জন্য প্রথম পরীক্ষা দিই মধুমতি ব্যাংকে। সেই পরীক্ষায় এমসিকিউর ৬২ ক্রমিক নম্বরের প্রশ্নের উত্তর করার পর সময় স্বল্পতায় পরেরগুলো করতে পারিনি। পরে দেখি, পেছনের অনেক প্রশ্নের উত্তর আমার জানা ছিল।

প্রথমবার ব্যাংক নিয়োগের এই পরীক্ষায় পাস করতে পারিনি।

দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিলাম, জনতা ব্যাংক লিমিটেডে সিনিয়র অফিসার পদে। সেখানেও প্রিলিতে পাস করিনি। তৃতীয়বার পরীক্ষা দিলাম বাংলাদেশ ব্যাংকে।

সেখানের প্রিলি পাস করলেও রিটেনে পাস করতে পারিনি। চতুর্থবার পরীক্ষা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে। সেখানও একই অবস্থা—প্রিলিতে পাস, রিটেনে ফেল। পঞ্চমবার পরীক্ষা ছিল পূবালী ব্যাংকে। অবশেষে, সেখানে প্রিলি, রিটেন সবগুলোতে পাস করলাম।

জীবনের প্রথমবারের মতো ব্যাংকের চাকরির ভাইভা দিলাম পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে। ভাইভা ভালো হলো।

অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই সোনার হরিণের দেখা মিলল! হয়ে গেলাম ‘ব্যাংকার’।

যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম

আমি মূলত বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। পাশাপাশি ব্যাংকের চাকরির জন্য কিছু বই সংগ্রহ করে পড়তে থাকি। আমার কাছে মনে হলো, বিসিএসের প্রস্তুতি নিলে ব্যাংকের জন্য আলাদা করে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না, অল্প অল্প করে পড়লেই হয়ে যায়!

এখন কথা হলো, ‘বিসিএস পরীক্ষায় গণিত আসে বাংলায়, কিন্তু ব্যাংকে আসে ইংরেজিতে। এ ক্ষেত্রে সমাধান কী?’

 

সমাধান একেবারেই সহজ—আপনি যদি ভালো করে বাংলায় গণিত পারেন, তাহলে ইংরেজিতে গণিত শেখার কিছু টার্ম আছে, সেগুলো শিখে কিছুদিন ভালো করে চর্চা করলেই হয়ে যায়। যেমন—বাংলায় ‘বিয়োগ’ বা ‘পার্থক্য’কে ইংরেজি ভাষার গণিতে Difference হিসেবে উল্লেখ করে। ‘দ্বিগুণ/তিন গুণ’-এর ইংরেজি Two times/three times। আবার ‘স্রোতের অনুকূলে’ বোঝাতে Down stream ও ‘স্রোতের প্রতিকূলে’ বোঝাতে Up stream  ব্যবহার হয়। এমন ধরনের টার্মগুলো আগে রপ্ত করতে হবে।

 

এখানে বলে রাখি, ব্যাংকে চাকরি পেতে হলে ইংরেজি ও গণিতে খুব ভালো হতে হয়। ব্যাংকের প্রায় সব প্রশ্ন (বাংলা বিষয় বাদে) ইংরেজিতে হয়; এমনকি বেশির ভাগ ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার গণিত বিষয়ের প্রশ্নও ইংরেজিতে হয়। ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন যেহেতু বাংলা বিষয় ছাড়া বাকি বিষয়গুলো ইংরেজি মাধ্যমে হয়; এমনকি গণিতের প্রশ্নগুলোও, তাই প্রথমে বেশি জোর দিলাম ইংরেজির ওপর। আর ইংরেজি বিষয়ে প্রথমে যে টপিকটির ওপর বেশি জোর দিলাম, তা হলো ভোকাবুলারি। কারণ ভালোভাবে ভোকাবুলারি জানা না থাকলে পরীক্ষায় যেসব প্রশ্ন ইংরেজি মাধ্যমে হয়, সেগুলো বোঝা মুশকিল। আর পরীক্ষার হলে প্রশ্ন ঠিকভাবে না বুঝলে তো সঠিকভাবে উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।

 

►ইংরেজির জন্য Saifur’s Vocabulary খুব ভালোভাবে শেষ করলাম বেশ কয়েকবার। এর পাশাপাশি The Daily Star, The Daily Sun পত্রিকা পড়তাম। বিশেষভাবে Editorial অংশটি জোর দিয়ে পড়তাম। এতে আমার ভোকাবুলারি শেখার পাশাপাশি Focus Writing, Creative Writing পার্টে দক্ষতা অর্জনে দারুণভাবে সাহায্য করেছে। এই দুটি ইংরেজি পত্রিকা ছাড়াও মাঝেমধ্যে The Financial Express পত্রিকাটির এডিটরিয়াল পার্টটিও পড়তাম।

 

আমি ইংরেজি বেসিকের জন্য Chowdhury & Hossain-এর Advanced Learner’s Functional English বইটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি। এর পর Applied English Grammar & Composition by PC Das, High School English Grammar & Composition by Wren & Martin, A Text Book of Advanced Functional English by Mohiuddin and Kasem, BARRON’S TOEFL, CLIFF TOEFL বইগুলো পড়েছি এক এক করে।

এরপর চর্চার জন্য English For Competitive Exam, Compact English বই দুটি খুব ভালোভাবে শেষ করেছি।

এই বইগুলোর মধ্যে কিছু বই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য আগেই পড়েছিলাম বলে আমার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা সহজ হয়েছে। এ ছাড়া একটি ইংরেজি বই ভালোভাবে বুঝে শেষ করতে পারলে বাকিগুলোও খুব দ্রুত শেষ করা যায়। যেহেতু ঘুরে-ফিরে নিয়মগুলো প্রায় একই।English Analogy-এর জন্য Saifur’s Analogy বইটি পড়েছিলাম। ভোকাবুলারি আগে জানা ছিল বলে বইটি দ্রুত শেষ করতে পেরেছি।

ব্যাংকের লিখিত বা রিটেন পরীক্ষায় Writing, Translation টপিক দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই টপিকের জন্য Saifur’s Translation & Writing বইটি ভালোভাবে পড়েছি। পাশাপাশি ইংরেজি পত্রিকার Editorial অংশও নিয়মিত পড়তাম বলে Translation, Writing-এ আমার খুব একটা সমস্যা হয়নি।

 

►ইংরেজির পাশাপাশি গণিত নিয়মিত অনুশীলন করেছি। বিসিএস প্রস্তুতির জন্য আগে থেকে পঞ্চম-দশম শ্রেণির গণিত বইয়ের অঙ্কগুলো করা ছিল। কিন্তু ব্যাংকে তো গণিতের প্রশ্ন বাংলায় আসে না; তাই Saifur’s Math বই থেকে ইংরেজি সংস্করণে গণিত অনুশীলন করেছি। যেখানে বুঝতে সমস্যা হয়েছে সেখানে সিনিয়র ভাই বা সহপাঠীদের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছি। তার পরও না বুঝে বা স্পষ্ট ধারণা না নিয়ে গণিত করিনি।

এভাবে ব্যাংকের প্রিলি ও রিটেন পরীক্ষার জন্য জোরদার প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। যদিও আমার কাছে মনে হয়েছে বইটিতে গণিতগুলো অনেক কঠিন নিয়মে দেওয়া হয়েছে। তাই আমি মূলত সেই বই থেকে গণিতের প্রশ্নগুলো দেখেছিলাম, আর নিজের মতো করে করেছিলাম। অর্থাৎ বইয়ের নিয়মগুলো খুব একটা অনুসরণ করিনি। আপনি চাইলে ব্যাংকের গণিত প্রস্তুতির জন্য বাজারের অন্য কোনো বইও সংগ্রহ করতে পারেন।

►ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি ও গণিতের পর যে বিষয়টির ওপর জোর দিতে হয়, তা হলো আইসিটি। এ বিষয়টির প্রস্তুতির অনেকটাই আমি ‘ইজি কম্পিউটার’ বই থেকে নিয়েছি। এ ছাড়া পরীক্ষায় যেসব টপিক থেকে প্রশ্ন আসে, সেগুলোর বিস্তারিত জানতে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ (লেখক : প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান) বইটির সাহায্য নিয়েছি। এর বাইরে প্রশ্ন্নভিত্তিক বিদেশি ওয়েবসাইট যেমন—examveda.com, indiabix.com, sawaal.com-এর সাহায্য নিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় এসব সাইট থেকে অনেক প্রশ্ন পরীক্ষায় এসেছে।

 

►বাংলার জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বইটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি। বইটির পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত বিসিএস নিয়োগ গাইড থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। যেমন—বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, এমপিথ্রি বাংলা বই থেকে পড়েছিলাম। মাঝে মাঝে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে জাতীয় জ্ঞানকোষ ‘বাংলাপিডিয়া’র সাহায্য নিয়েছি।

 

► সাধারণ জ্ঞানের জন্য আজকের বিশ্ব বইটি পড়েছি। তবে যেসব প্রশ্ন কনফিউজিং মনে হতো সেগুলো সমাধানের জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছি। এ ছাড়া দৈনিক কালের কণ্ঠসহ প্রথম সারির কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা পড়তাম। চাকরির প্রস্তুতিমূলক মাসিক পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি প্রফেসর’স কি টু ব্যাংক জব বইটি দেখেছি। এখান থেকে বিগত বছরগুলোর ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সমাধান করেছি, প্রশ্নপত্রের ধরন সম্পর্কেও স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছি।

 

[পূবালী ব্যাংকে চাকরি হওয়ার পর ৩৫তম বিসিএসে (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই]

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি

শেয়ার
ভাইভা অভিজ্ঞতা

ফার্মেসি পড়ে কেন পররাষ্ট্র ক্যাডারে আসতে চান?

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন সাদিয়া চৌধুরী। তিনি ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন। বর্তমানে নরসিংদীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনি সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
ফার্মেসি পড়ে কেন পররাষ্ট্র ক্যাডারে আসতে চান?
সাদিয়া চৌধুরী

এক্সটার্নাল-১ : (ক্যাডার চয়েস দেখে) ফার্মেসি পড়ে কেন পররাষ্ট্র ক্যাডারে আসতে চান?

—আমি এক বছর ওষুধ কম্পানিতে চাকরি করেছি। তখন মনে হয়েছে, আরো বড় পরিসরে কাজ করতে চাই। এ জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিসিএসের জন্য পড়াশোনা শুরু করেছি।

বিআরআই কী?

—চীনা নেতৃত্বাধীন বড় ধরনের অবকাঠামোগত প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বা বিআরআই।

এটি কেন করা হয়েছে?

—মূলত বাণিজ্য ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির জন্য। এর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বও অনেক।

 

এক্সটার্নাল-২ : টিআরআইপিএস কী?

—টিআরআইপিএস হলো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকারের বাণিজ্য সম্পর্কিত দিকগুলোর চুক্তি। এর পূর্ণরূপ Trade Related Aspects of Intellectual Property Rights|

এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে ওষুধ খাতে কী সমস্যা হবে?

—বর্তমানে ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে যে বিশাল মূল্যছাড় পাচ্ছি সেটা আর পাব না।

ফলে ওষুধের দাম অনেক বেড়ে যাবে।

এই সমস্যার সমাধানে আমরা কী করছি?

—এলডিসি থেকে উত্তরণ হলেও ওষুধের ক্ষেত্রে মূল্যছাড়ের সুবিধাটা যেন আরো কয়েক বছর থাকে, সে জন্য কূটনৈতিক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জে এপিআই (ওষুধের কাঁচামাল) পার্ক তৈরি হচ্ছে। পররাষ্ট্র ক্যাডার হলে কী করবেন?

—স্যার, কী ধরনের কাজ করব, এটা মূলত আমার পোস্টিং কোথায় হবে সেটার ওপর নির্ভর করবে...

(স্যার থামিয়ে দিয়ে) বলো, Innovation, Invention Avi Discovery কী?

—স্যার, Innovation হলো কোনো সমস্যা সমাধানের নতুন কোনো আইডিয়া, এর মাধ্যমে আগের চেয়েও সহজে কোনো কাজ করা যাবে।

Invention হলো এমন কোনো কিছু নতুনভাবে আবিষ্কার করা, যা আগে ছিল না। যেমন—নতুন কোনো টিকা আবিষ্কার। আর উরংপড়াবৎু হলো, যার অস্তিত্ব আগে থেকেই ছিল, কেবল নতুনভাবে খুঁজে বের করা। যেমন—কোনো দুর্গম জায়গায় মানুষ প্রথমবার গিয়ে নতুন কোনো ঔষধি গাছ খুঁজে পেলে সেটা হবে Discovery।

‘তথ্য আপা’ কী?

—এটি আইসিটি খাতে নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত একটি প্রকল্প।

বাংলাদেশের কয়টি আন্ত সীমান্ত নদী আছে?

—৫৪টা। ৫৩টি ভারতের সঙ্গে আর ১টি মায়ানমারের সঙ্গে।

 

চেয়ারম্যান : ড্রাগ ও মেডিসিনের পার্থক্য কী?

—যেকোনো পদার্থ যা আমাদের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যা বিশেষ প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডোজে গ্রহণ করা হয়, সেটা মেডিসিন। আর সেই একই পদার্থ অপরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে সেটাকে বলা হয় ড্রাগ।

ডোজ কী?

—ডোজ হচ্ছে ওষুধ গ্রহণের নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রা, যা ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।

ইমালশন কী?

—ওষুধের তরল অবস্থা মূলত ৩ প্রকার। এর একটি হচ্ছে ইমালশন।

ওটিসি ড্রাগ কী?

ওভার দ্য কাউন্টার ড্রাগ, যা কেনার জন্য চিকিৎসকের ব্যাবস্থাপত্রের প্রয়োজন হয় না।

মাল্টি ড্রাগ রেসিসট্যান্স কী?

—এটা মূলত অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে দেখা যায়। যখন কোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও নিয়ন্ত্রণ হয় না।

অনেকে দেশি ওষুধে আস্থা রাখে না কেন?

—স্যার, এটা আমাদের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। অন্যান্য অনেক দেশি পণ্যে ভেজাল থাকে বলে আমরা ধরে নিই দেশে তৈরি ওষুধও খারাপ। কিন্তু একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে বলতে পারি, আমাদের ওষুধের গুণগত মান খুবই ভালো। এখন ১৫৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

ঠিক আছে, আসুন।

 

মন্তব্য

৩৩৫ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নেবে পিডিবিএফ

    সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে ৩৩৫ জন নিয়োগ দেবে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)। সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকতা পদে আবেদন করতে হবে ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের মধ্যে। কাজের ধরন, নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ আবেদনের দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
৩৩৫ সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নেবে পিডিবিএফ

আবেদনের যোগ্যতা ও বেতন-ভাতা

অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ বাণিজ্যে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো ক্ষেত্রে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। হিসাব ব্যবস্থাপনার কাজে পারদর্শী হতে হবে। সব বিভাগ ও জেলার স্থায়ী বাসিন্দারা আবেদন করতে পারবেন।

৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর। বয়স নির্ধারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিধি অনুসরণ করা হবে। পিডিবিএফ-এ কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য হবে। নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১১তম গ্রেডে ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা স্কেলে প্রারম্ভিক মাসিক বেতন পাবেন।
পরে অন্যান্য সুবিধাও যুক্ত হবে।

 

সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দায়িত্ব

সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা মূলত উপজেলা পর্যায়ের গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের ঋণ বিতরণ ও আদায়ের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ রাখতে হয়। সুবিধাভোগীদের সঞ্চয় সংগ্রহের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ ও ডেটাবেইসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড রাখা, আর্থিক রিপোর্ট তৈরি ও বিশ্লেষণে সহায়তা করাও তাঁদের দায়িত্ব।

এ ছাড়া দাপ্তরিক অন্যান্য আর্থিক দায়িত্বও পালন করতে হয়।

 

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা নিয়োগ বিধি অনুসারে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হয়। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এমসিকিউ অথবা রচনামূলক পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষায় ৮০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে।  শুরুতেই লিখিত এবং পরে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিধি অনুযায়ী প্রার্থীকে উভয় পরীক্ষায়ই পাস করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীর প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র নিয়োগ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, হিসাববিজ্ঞান, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে। বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হয়। গদ্য-পদ্য অংশ থেকেও প্রশ্ন থাকতে পারে। রচনামূলক পরীক্ষার জন্য অনুচ্ছেদ, লেটার রাইটিং, রচনা লেখার প্রস্তুতি রাখতে হবে। ইংরেজি অংশে গ্রামার থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। তাই গ্রামারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বেশি পড়তে হবে। রচনামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে লেটার রাইটিং, প্যারাগ্রাফ, রচনা লেখার প্রস্তুতি রাখতে হবে। হিসাববিজ্ঞানে নবম ও দশম শ্রেণির বই অনুসারে শর্ট ও ব্রড দুই পদ্ধতির অঙ্কগুলো বেশি বেশি চর্চা রাখতে হবে। গণিত অংশে পাটিগণিত ও বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হয়। অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত এবং নবম-দশম শ্রেণির বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো অনুশীলন করতে হবে। সাধারণ জ্ঞানে জাতীয় ও আন্তর্জার্িতক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাধারণ জ্ঞানের সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক বা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদের বিগত বছরগুলোর প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে অনুশীলন করলে পরীক্ষার বিষয়ে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। এই পদের জন্য বাজারে সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলো প্রস্তুতিতে বেশ ভালো ভূমিকা রাখবে।

 

অনলাইনের লিংক

http://pdbf.teletalk.com.bd

 

মন্তব্য
পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

সমবায় অধিদপ্তরে শূন্যপদ ৫১১টি

    ১৭ ধরনের পদে ৫১১ কর্মী নিয়োগ দেবে সমবায় অধিদপ্তর। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জনবল নেওয়া হবে অফিস সহায়ক, অফিস সহকারী ও সহকারী পরিদর্শক পদে। আবেদনের শেষ তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২৫। নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
সমবায় অধিদপ্তরে শূন্যপদ ৫১১টি

বিগত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ

২০২১ সালের সহকারী পরিদর্শক, সহকারী প্রশিক্ষক, সাঁট মুদ্রাক্ষরিকসহ তৃতীয় শ্রেণির পদগুলোতে ৭০ নম্বরে লিখিত (রচনামূলক) পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। একই বছর সহকারী ফিল্ড অপারেটর, অফিস সহায়কসহ চতুর্থ শ্রেণির বেশ কিছু পদে ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন ছিল। এর মধ্যে বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, গণিতে ২০ ও সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বরের প্রশ্ন রাখা হয়েছিল।

২০২৩ সালের সহকারী পরিদর্শক পদের পরীক্ষা ছিল ৫০ নম্বরে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। সময় ছিল ৫০ মিনিট। এ ছাড়া ২০২৩ সালের চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতেও এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্ন ছিল। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, পদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ কর্তৃপক্ষ এবারের নিয়োগ পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেবে, তা আবেদনপ্রক্রিয়া শেষে সিদ্ধান্ত নেবে।  

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

তৃতীয় শ্রেণির পদগুলোর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে। চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোর ক্ষেত্রে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে। চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোর ক্ষেত্রে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন করা হয়।

উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ জ্ঞানে সমসাময়িক বিষয়াবলিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের ওপর প্রশ্ন থাকে।

 

বাংলা : বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, বানান, রিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, সন্ধি, সমাস, কারক, অনুচ্ছেদসহ গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য থেকেও প্রশ্ন আসে।

ইংরেজি : Number, Gender, Article, Preposition, Right form of verb, Changing sentence, Phrase, Spelling, Translation থেকে প্রশ্ন থাকে।

গণিত : পাটিগণিত ও বীজগণিতের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন থাকবে।

সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিতের সরল, সুদকষা, শতাংশ, ঐকিক বিষয় এবং নবম শ্রেণির বীজগণিতের উৎপাদক বিশ্লেষণ ও মান নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণ জ্ঞান : সাধারণ জ্ঞানে জাতীয় ও আন্তর্জার্িতক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। বিশেষ করে সমসাময়িক ইস্যু, ভৌগোলিক বিষয়াবলি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, যুদ্ধ-সংঘাত, বিজ্ঞান, অর্থনীতিসহ নানা আলোচিত ইস্যুতে পর্যাপ্ত পড়াশোনা ও জানাশোনা থাকতে হবে।

 

পদের সংখ্যা

পরিদর্শক পদ ৩৪টি, মহিলা পরিদর্শক ১টি, প্রশিক্ষক ১৬টি, ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর ১৯টি, কম্পিউটার ২টি, সহকারী পরিদর্শক ১০৫টি, মহিলা সহকারী পরিদর্শক ২টি, সহকারী প্রশিক্ষক ১১টি, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক-কাম- কম্পিউটার অপারেটর ২টি, ড্রাইভার/ফিল্ম ভ্যান ড্রাইভার ৬টি, তাঁত সুপারভাইজার ৫টি, ক্যাশিয়ার ৪টি, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ১০৮টি, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ১টি, সহকারী ফিল্ম অপারেটর ২টি, নৈশ প্রহরী ৪টি এবং অফিস সহায়ক ১৮৯টি; এসএসসি বা সমমান পাস।

 

বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন লিংক

http://coop.teletalk.com.bd

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ