<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গতকাল সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০৩ জন আহত হয়েছে। এই নিয়ে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা এক লাখ ছয় হাজার ৯৬২ জন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরসহ গাজার বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ করেছে। উত্তর গাজার পরিস্থিতিও অত্যন্ত শোচনীয়। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালাচ্ছে। গত ৭০ দিনের বেশি সময় ধরে সেখান থেকে কাউকে উদ্ধার করতে অসমর্থ হয়েছে সিভিল ডিফেন্সের দলগুলো। গত রবিবার উত্তর গাজার বেইত হানুনের একটি স্কুলে হামলায় ৪৩ জন প্রাণ হারায়। ওই স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছিল। একই দিন ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত আরেকটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে আহমেদ বিন আবদুল আজিজ স্কুলটিতে হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্ততপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপসাগরীয় রাজনীতি বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক লুসিয়ানো জাক্কারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কোনো বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্র বা নিরাপদ অঞ্চলকে মান্য করেনি। তিনি বলেন, উত্তর গাজায় যা ঘটছে, তা খুব স্পষ্টভাবে ইসরায়েলের আসল পরিকল্পনাকেই তুলে ধরছে। সেটি হলো গাজার অন্তত একটি অংশ খালি করুন যাতে তারা উত্তরে বসতি স্থাপন শুরু করতে পারে। এই কারণে গাজায় মানুষ হত্যা কখনো বন্ধ হবে না বলে মনে করেন অধ্যাপক লুসিয়ানো। দুই মাস ধরে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মানুষ ক্ষুধার্ত, শীতার্ত ও মানসিক পীড়াগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। গাজা সিটিসহ পুরো উত্তর গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসকের সংকট। নেই ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম। ওই কর্মকর্তা বলেন, গত মাসে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের শঙ্কা নিয়ে সাবধান করা হলেও সেখানে বেশির ভাগ জায়গায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ফিলিস্তিনের অপর ভূখণ্ড পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি বাহিনী ধ্বংসাত্মক অভিযান চালাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা গতকাল জানায়, জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী পশ্চিম তীরের সিলওয়ান ও ফিদাত এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ও অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পশ্চিম তীর জুড়ে আরো ধরপাকড় চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তার করেছে । সূত্র : আলজাজিরা, এএফপি</span></span></span></span></span></p>