এদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা গতকাল মঙ্গলবার আরেকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে হামলার দাবি করেছে। টেলিগ্রামে এক বার্তায় হুতিরা বলেছে, তারা  মার্কিন রণতরি ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর লোহিত সাগরে তৃতীয়বারের মতো মার্কিন রণতরিতে আক্রমণের দাবি করল হুতিরা।

গত সোমবার ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের ছোড়া প্রতিটি গুলিকে এখন ইরানের নেতৃত্ব ও অস্ত্র থেকে চালানো গুলি হিসেবে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেন। হুতিদের হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করা হবে জানিয়ে দেশটিকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। ইরান হুতিদের তহবিল, অস্ত্র ও গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাম্পের। এদিকে গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি ইয়েমেনে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সূত্র : বিবিসি, এএফপি

বুধবার রাতের অভিযান নিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে পাঞ্জাব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নানক সিং বলেন, ‘আমাদের কোনো ধরনের বল প্রয়োগ করতে হয়নি, কারণ তারা কোনো ধরনের প্রতিরোধই গড়েননি। কৃষকরা ভালোভাবেই সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা নিজেরাই বাসে উঠে বসেন।’

কৃষকদের আগেই অভিযান চালানোর ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।

টেলিভিশনের ছবিতে পুলিশকে বুলডোজার চালিয়ে কৃষক শিবিরের মঞ্চ ও তাঁবু গুঁড়িয়ে দিতে ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্রসহ কৃষকদের গাড়ির দিকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

গণমাধ্যমে আসা কোনো কোনো ছবিতে আটক ব্যক্তিদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিত্রও দেখা যাচ্ছে।  আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষক নেতা সারওয়ার সিং পান্ধের ও জগজিৎ সিং দাল্লেওয়ালও আছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। দাল্লেওয়াল দীর্ঘদিন অনশন করেছিলেন, তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, বুধবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে ফেরার পথে মোহালি থেকে পাঞ্জাব পুলিশের হাতে আটক হন কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ দাল্লেওয়াল ও তাঁর সঙ্গীরা। এরপর রাতেই অবস্থানস্থল থেকে কৃষকদের হটানো শুরু করে পুলিশ। সূত্র : রয়টার্স, আনন্দবাজার পত্রিকা