<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশের শাসনকাজ পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের কিছু কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। ওদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সমান্তরালভাবে চলবে। সব রাজনৈতিক দল সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ক্রমে এই বক্তব্য জোরদার হচ্ছে যে এই সরকারের প্রধান কাজ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। সে ক্ষেত্রে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন যৌক্তিক সময়ে হতে হবে। জামায়াত বলছে, অতি দ্রুত রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শেষ হোক। এরপর দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে বলে মনে করে সিপিবি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হতে হবে। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করা দরকার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাপ আসছে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকেও। বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন ও রাজনৈতিক সরকারকে দায়িত্ব দেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনাগুলোতে আগামী নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার কবে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তা নিয়ে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোরও আগ্রহ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রতি একাধিক আলোচনায় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবনা জানতে চেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিয়ে রাজনৈতিক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সাময়িক হিসেবে সবাই বিবেচনা করছে। নির্বাচন দিতে দেরি হলে বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা বাড়বে এবং বর্তমান সরকারের প্রতি সমর্থনও কমতে পারে।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে সংস্কারটি খুব জরুরি দরকার। এ দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, সুশাসন, বৈষম্যহীন সমাজ, সমৃদ্ধি, শান্তি-শৃঙ্খলা আর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি এক চরম দুঃসময় পার করে এসেছে। রাজনীতিতে অর্থ আর পেশিশক্তির ক্রমবর্ধমান প্রভাব দেখেছে। রাজনীতিতে আদর্শ, জনকল্যাণ, আত্মত্যাগ ও নৈতিকতা ক্রমেই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে। আদর্শচ্যুত রাজনীতির কাছ থেকে সমাজ ও দেশ কিছু আশা করতে পারে না, তাতে বরং গণতান্ত্রিক চর্চা বিঘ্নিত হয়। গঠনমূলক সমালোচনা না থাকলে জবাবদিহি থাকে না। রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতা দল ও নেতৃত্বকে পরিশুদ্ধ করে। জনস্বার্থ উপেক্ষিত হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতির ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়েছে সাধারণ মানুষ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তাই সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু নির্বাচনও হতে হবে। নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কার শেষ করে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।</span></span></span></span></p>