<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমন ধান তোলা শেষ পর্যায়ে। বলা যায়, এখন আমনের ভরা মৌসুম চলছে। সাধারণত এ সময় চালের দাম থাকে পড়তির দিকে অর্থাৎ দাম কমে আসে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে চালের দাম। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে বস্তাপ্রতি (৫২ কেজি) দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এরপর বোরো ধান ওঠার জন্য আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। সেই সময় পর্যন্ত চালের দাম কি এভাবে বাড়তেই থাকবে? তা কি সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় থাকবে?</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দরিদ্র মানুষ ভাতের জোগান থাকলে লবণ-মরিচ দিয়েও দু-এক বেলা পার করে দিতে পারে, কিন্তু চালের আকাল হলে তাদের সামনে কোনো পথ খোলা থাকে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে উপোস করতে হয়। তাই সব সরকারেরই চেষ্টা থাকে বাজারে চালের যেন অভাব না হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। চাল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। ভারত ছাড়াও কয়েকটি দেশ থেকে চাল আমদানির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমদানি করা কিছু চাল এর মধ্যে বাজারে এসেও গেছে। কিন্তু তার পরও চালের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়াকে স্বাভাবিক মনে করছে না অনেকেই। অতীতে দেখা গেছে, কিছু মিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট চালের বাজারকে অস্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে নানাভাবে ভূমিকা রাখে। প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমানে বাজারে হঠাৎ করে দাম বাড়ার পেছনে কি সেই সিন্ডিকেটের কোনো ভূমিকা রয়েছে? </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুধু চাল নয়, বাজারে ডাল, তেল, ছোলা, আদা, রসুনসহ আরো কিছু পণ্যের দাম বাড়তি। মধ্যশীতে সবজির দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে মুরগির দাম। মাছ-মাংসের দাম আগে থেকেই বাড়তি। এই অবস্থায় চালের দামও যদি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? পবিত্র রমজান মাস দোরগোড়ায়। এ সময় প্রতিবছরই বাজারে নানা ধরনের কারসাজি হতে দেখা যায়। দু-এক মাস আগে থেকেই রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে বাজারে সে রকম নানা ধরনের আলামত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের চক্র বাজার অস্থিতিশীল করতে উঠেপড়ে লেগে গেছে। তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। বাজার মনিটরিংয়ে আরো জোর দিতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা মনে করি, বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানি আরো বাড়াতে হবে। সিন্ডিকেট ও মজুদদারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। টিসিবির ট্রাক সেল ও ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) মতো সরাসরি ভোক্তার হাতে চাল পৌঁছে দেওয়ার অন্যান্য কর্মসূচি চালু করতে হবে। যেকোনো ধরনের কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।</span></span></span></span></p> <p> </p>