মৃৎশিল্প

  • সপ্তম শ্রেণির শিল্প ও সংস্কৃতি বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়ে তোমরা মৃিশল্প সম্পর্কে জেনেছ। আমাদের নিজস্ব এই শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি।
শেয়ার
মৃৎশিল্প
চাকার সাহায্যে মৃিশল্প তৈরি করছেন কুমার। ছবি : সংগৃহীত

যখন কোনো কিছু সুন্দর ও শৈল্পিকভাবে তৈরি করা হয়, তখন তা শিল্প হয়ে ওঠে। শিল্পের এই কাজ বা সৌন্দর্যকে বলা হয় শিল্পকলা। বাংলাদেশে অনেক রকম শিল্পকলা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ও অন্যতম হলো মৃৎশিল্প বা মাটির শিল্প।

কুমার সম্প্রদায়ের হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞানের মাধ্যমে মাটি দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মকে মাটির শিল্প বা মৃৎশিল্প বলা হয়। এই শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে মাটির কলস, হাঁড়ি, সরা, বাসনকোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা, পিঠা তৈরির ছাঁচ, খেলার পুতুল, শখের হাঁড়ি ইত্যাদি।

প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশে মৃৎশিল্পের চর্চা হয়ে আসছে। বাংলার অনেক পুরনো মৃৎশিল্প টেরাকোটা।

ময়নামতির শালবন বিহার, বগুড়ার মহাস্থানগড় ও বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে পোড়ামাটির ফলক বা টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে নরসিংদী জেলার উয়ারী-বটেশ্বরে হাজার হাজার নিদর্শন পাওয়া গেছে। এর বেশির ভাগই মাটির তৈরি জিনিসপত্র, যা হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য।

মৃৎশিল্পের অন্যতম আরেক নির্দশন টেপা পুতুল।

কুমাররা নরম এঁটেল মাটির চাক হাতে নিয়ে টিপে টিপে এই পুতুল তৈরি করেন বলে এর নাম টেপা পুতুল।

মৃৎশিল্পে সব মাটি কাজে লাগানো যায় না। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পরিষ্কার এঁটেল মাটি। এ ধরনের মাটি বেশ আঠালো। আবার এঁটেল মাটি হলেই যে এ মাটি দিয়ে শিল্পের কাজ করা যাবে তা-ও নয়।

এতে অনেক যত্ন আর শ্রমের দরকার হয়। তা ছাড়া দরকার হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞান। প্রয়োজন কিছু ছোটখাটো যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম। কুমাররা গোল আকৃতির জিনিস বানানোর জন্য একটি ঘুরন্ত চাকা ব্যবহার করেন। এটাকে চলতি কথায় ‘চাক’ বলে। শত শত বছর ধরেই বাংলাদেশের মৃৎশিল্ল্পীরা মেধা, মননশীলতা ও শ্রমের বিনিময়ে এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন।

সময়ের আবর্তনে অন্যান্য বস্তু যেমন প্লাস্টিক বা ধাতু নির্মিত পণ্যের উদ্ভব ও ব্যবহার মৃৎশিল্পের ব্যাপক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে তৈজসপত্র হিসেবে মাটির পাত্রের ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে।

তবে আশার কথা হলো, কিছু শৌখিন ও শিল্পমনা মানুষের কাছে এখনো মৃিশল্পের কদর রয়েছে। তাই বড় ব্র্যান্ডগুলো মাটির জিনিসপত্র তাদের বিপণিবিতানগুলোতে প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। সরকারি-বেসরকারি ভবনে আজকাল সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য নানা রকম নকশা করা মাটির ফলক ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব মৃৎশিল্প বিদেশেও বেশ সমাদৃত।

 

♦ আতিফ আতাউর

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি : সমাজকর্ম প্রথম পত্র

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি : সমাজকর্ম প্রথম পত্র

পঞ্চম অধ্যায়

সমাজকর্মের সাথে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা এবং পেশার সম্পর্ক

 

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        সামাজিক বিজ্ঞান হলো সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান’—কার উক্তি?

  ক. এমিল ডুর্খেইম             খ. টমাস মুর  

  গ. অগাস্ট কোঁৎ              ঘ. ম্যাক্স ওয়েবার

২।        সামাজিক বিজ্ঞান কী নিয়ে আলোচনা করে?

  ক. মানব সম্পদের দিক

  খ. দারিদ্র্য বিমোচনের দিক

  গ. সামাজিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক

  ঘ. মানব জীবনের বিভিন্ন দিক

৩।        সামাজিক বিজ্ঞানসমূহের মধ্যে বাস্তব আলাদা সত্তা নেই’—কার উক্তি?

  ক. আর এম ম্যাকাইভার   
খ. এমিল ডুর্খেইম 

  গ. অগাস্ট কোঁৎ      

  ঘ. ম্যাক্স ওয়েবার

৪।

       সামাজিক কার্যাবলির মধ্যে উপলব্ধি করা যায়

  i. সামাজিক প্রক্রিয়া  ii. সামাজিক সম্পর্ক

  iii. মানুষের আচরণ

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii     
গ.
iiiii       ঘ. i, iiiii

৫।        সমাজকল্যাণের মূল প্রতিপাদ্য

  ক. সমস্যার সমাধান
খ. সমাজস্থ মানুষের কল্যাণ 

  গ. সমস্যা চিহ্নিতকরণ         
ঘ. চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা

৬।        গ্রিক শব্দ ‘Anthropos’-এর অর্থ কী?

  ক. সমাজ        খ. কল্যাণ    
গ. আত্মা  ঘ. মানুষ

৭।        সমাজকর্মের ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে নৃতাত্ত্বিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় কেন?

  ক. মানুষের কার্যাবলি বিশ্লেষণের জন্য

  খ. মানুষের আচরণ বিশ্লেষণের জন্য

  গ. সমস্যা সমাধানে বস্তুনিষ্ঠ সমাধানের জন্য

  ঘ. চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়

  উদ্দীপকের আলোকে ৮ ও ৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  সামাজিক বিজ্ঞানের একটি শাখা যা সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক কার্যাবলি, সামাজিক সম্পর্ক, সমাজ কাঠামো প্রভৃতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান দান করে।

৮।        উদ্দীপকে সামাজিক বিজ্ঞানের কোন শাখার কথা বলা হয়েছে?

  ক. সমাজ বিজ্ঞান   খ. সমাজ কর্ম 

  গ. নৃবিজ্ঞান            ঘ. মনোবিজ্ঞান

৯।        উদ্দীপকের বিষয়টির আলোচ্য বিষয়বস্তু হলো-

  i. সমাজ কাঠামো

  ii. সামাজিক সম্পর্ক

  iii. মানুষের কার্যাবলি

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii         খ. iiii     
গ.
iiiii        ঘ. i, ii iii

১০।       নৃবিজ্ঞান বিষয়টিকে অধ্যয়ন করতে হলে জানতে হবে

  i. মানুষের দৈহিক গঠন সম্পর্কে

  ii. মানুষের সংস্কৃতি সম্পর্কে

  iii. মানুষের রাষ্ট্রীয় অবস্থানকে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii         খ. iiii     
গ.
iiiii        ঘ. i, ii iii

১১।

      পৌরনীতি ও সুশাসনের শিক্ষাই সভ্যতার একমাত্র রক্ষাকবচ’—কার উক্তি?

  ক. এডাম স্মিথ     খ. বার্ট্রান্ড রাসেল 

  গ. জর্জ বার্নাড শ  ঘ. ম্যাকাইভার

১২।       পরিবেশ ও মানুষের মিথস্ত্রিয়ার প্রতি গুরুত্ব বেশি দেয় কোনটি?

  ক. সমাজবিজ্ঞান    খ. সমাজকর্ম 

  গ. মনোবিজ্ঞান     ঘ. রাষ্ট্রবিজ্ঞান

১৩।       সামাজিক জীব হিসেবে নৃবিজ্ঞান আলোচনা করে

  i. ভাষাগত উচ্চারণ সম্পর্কে

  ii. মানুষের সংস্কৃতি সম্পর্কে

  iii. মানুষের ক্রমবিকাশ সম্পর্কে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii         খ. iiii     
গ.
iiiii        ঘ. i, ii iii

১৪।       মানুষ ও প্রাণীর মন ও আচরণের বিজ্ঞান বলা হয় কোনটিকে?

  ক. সমাজবিজ্ঞান   খ. মনোবিজ্ঞান 

  গ. নৃবিজ্ঞান       ঘ. জীববিজ্ঞান

১৫।       জ্ঞানের কোন শাখা মানুষের বাহ্যিক আচরণের অভ্যন্তরীণ শক্তি অনুসন্ধান করে?

  ক. সমাজকর্ম      খ. মনোবিজ্ঞান 

  গ. রাষ্ট্রবিজ্ঞান          ঘ. জীববিজ্ঞান

১৬।

       পৌরনীতি জ্ঞানের মূল্যবান শাখা’—কার উক্তি?

  ক. জন মিলস     খ. জন লক   

  গ. ফস্টার                 ঘ. ই এম হোয়াইট

১৭।       পৌরনীতিকে পৌরসভা ও নাগরিক সম্পর্কে আলোচনায় নাগরিকতার কোন দিক প্রকাশ পায়?

  ক. জাতীয় দিক    খ. সামাজিক দিক 

  গ. স্থানীয় দিক         ঘ. আন্তর্জাতিক দিক

  উদ্দীপকের আলোকে ১৮ ও ১৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  P বিষয়টি এমন একটি সামাজিক বিজ্ঞান, যা রাষ্ট্রের নাগরিকদের আচার-আচরণ, কার্যাবলি, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে পর্যালোচনা করে।

১৮। P বিষয়টি কোনটিকে নির্দেশ করে?

  ক. পৌরনীতি ও সুশাসন  
খ. পৌরনীতি ও নাগরিকতা 

  গ. মনোবিজ্ঞান     ঘ. সমাজবিজ্ঞান

১৯।       সমাজকর্মের সাথে উক্ত বিষয়ের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বলা যায়

  i. সমস্যার যথাযথ বিশ্লেষণ করে

  ii. মানুষের অধিকার নিয়ে আলোচনা করে

  iii. উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii         খ. iiii     
গ.
iiiii        ঘ. i, ii iii

২০।       পৌরনীতি ও সুশাসন মানুষের মধ্যে

  i. সহমর্মিতাবোধের উন্মেষ ঘটায়

  ii. ভাতৃত্ববোধের উন্মেষ ঘটায়

  iii. স্বাবলম্বী করে তোলে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii         খ. iiii     
গ.
iiiii        ঘ. i, ii iii

২১।       আধুনিক সমাজকর্ম কিসের ওপর নির্ভর করে?

  ক. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির       
খ. নৈতিকতার 

  গ. ধর্মবোধের ঘ. মূল্যবোধের

২২।       সমাজকর্ম মানুষকে কিভাবে স্বাবলম্বী করতে চায়?

  ক. সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে            খ. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে 

  গ. উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে                 
ঘ. অর্থনৈতিক সাহায্যদানের মাধ্যমে

২৩।       সমাজকর্মের কর্মপরিধির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে

  i. ব্যক্তির দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ

  ii. ভাতৃত্ববোধ

  iii. সামাজিক সচেতনতাবোধ

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii         খ. iiii     
গ.
iiiii        ঘ. i, ii iii

২৪।       সমাজবিজ্ঞান সমাজকে কিভাবে জানতে চায়?

  ক. পূর্ণাঙ্গ ভাবে     খ. সীমাবদ্ধ ভাবে 

  গ. আংশিক ভাবে  ঘ. সংকীর্ণ ভাবে

 

  উত্তর : ১. ক ২. গ ৩. ক ৪. ঘ ৫. খ ৬. ঘ  ৭. খ ৮. খ ৯. ক ১০. ক ১১. গ ১২. খ ১৩. গ ১৪. খ ১৫. খ ১৬. ঘ ১৭. গ ১৮. ক ১৯. ক ২০. ক ২১. ক ২২. ক ২৩. খ  ২৪. ক।

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : প্রাথমিক বিজ্ঞান

    সুরজিৎ রায়, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : প্রাথমিক বিজ্ঞান

প্রথম অধ্যায়

আমাদের পরিবেশ

 

বর্ণনামূলক প্রশ্ন

১।        উদ্ভিদ কিভাবে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?

  উত্তর : উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ণ ও বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির জন্য প্রাণীর ত্যাগ করা কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে। পুষ্টি উপাদানের জন্যও উদ্ভিদ প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল।

প্রাণীর মৃতদেহ প্রাকৃতিক সারে পরিণত হয়। এ সার পুষ্টি হিসেবে ব্যবহার করে উদ্ভিদ বেড়ে ওঠে।

  পরাগায়ণের ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়। এই বীজ থেকে আবার নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।

বিভিন্ন প্রাণী যেমনপাখি, মৌমাছি ইত্যাদি এই পরাগায়ণে সাহায্য করে। বীজের বিস্তার নতুন নতুন উদ্ভিদ আবাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। আর এই বিস্তরণেও প্রাণীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এভাবেই পরিবেশে উদ্ভিদ প্রাণীর ওপর নির্ভর করে।

২।        খাদ্য-শৃঙ্খলে কিভাবে সাপ ও ঈগল একই রকমব্যাখ্যা করো।

  উত্তর : সকল প্রাণীই শক্তির জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। সবুজ উদ্ভিদ থেকেই প্রতিটি খাদ্য-শৃঙ্খলের শুরু। উদ্ভিদ সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে।

খাদ্য-শৃঙ্খলে সাপ ও ঈগল উভয়ই সর্বোচ্চ খাদক। সাপ খাদ্য হিসেবে এর নিচের স্তরের প্রাণী ব্যাঙ, ইঁদুর, ঘাসফড়িং ইত্যাদি খায়। একইভাবে ঈগলও তার নিচের স্তরের প্রাণী সাপ, ইঁদুর, ব্যাঙ, ঘাসফড়িং ইত্যাদি খায়। সাপ ও ঈগল উভয়ই মাংসাশী। এরা কেউ উৎপাদককে খায় না। তাই খাদ্য-শৃঙ্খলে খাদ্য এবং খাদকের সম্পর্কের দিক থেকে সাপ ও ঈগল একই রকম।

৩।        উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করো।

  উত্তর : মাতৃউদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াই হলো বীজের বিস্তরণ। এ বিস্তরণ নতুন নতুন উদ্ভিদ আবাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। বিভিন্ন পশু-পাখি এ বীজ বিস্তরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বীজের বিস্তরণ না ঘটলে কোনো উদ্ভিদ শুধু একটি নির্দিষ্ট স্থানেই জন্মাত। এতে কোনো অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে কোনো নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে, অর্থাৎ বীজ বিস্তরণের ফলে পরিবেশে উদ্ভিদের অস্তিত্ব টিকে আছে। তাই উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র

    মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র
অঙ্কন : মাসুম

অষ্টম অধ্যায়

মজুদ পণ্যের হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

৪৭।         ক্রয়কৃত মাল ফরমায়েশ অনুযায়ী না হলে তার কারণ উল্লেখ করে যে পত্র বিক্রেতার নিকট প্রেরণ করা হয় তাকে বলা হয়  

  i. ডেবিট নোট     ii. ক্রেডিট নোট    
iii. চালান

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. i      খ. ii

  গ. iii     ঘ. iii

৪৮।         মিতব্যয়ী ফরমায়েশের পরিমাণ নির্ভর করে

  i. পরিবর্তনশীল পরিচালন ব্যয়ের উপর

  ii. স্থায়ী পরিচালন ব্যয়ের উপর

  iii. অপরিচালন ব্যয়ের উপর

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii  খ. i iii           গ. ii iii          ঘ. i, iiiii

৪৯।         কোন পদ্ধতিতে আগের মাল আগে ছাড়া হয়?

  i. FIFO    
ii. LIFO

  iii. সাধারণ গড়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. i      খ. ii

  গ. iii  ঘ. i, iiiii

৫০।

         আর্থিক বিবরণীতে দেখাতে হয়

  i. প্রারম্ভিক মজুদ   ii. সমাপনী মজুদ

  iii.গড় মজুদ

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. i      খ. ii

  গ. i ও রর ঘ. i, iiiii

৫১।         মাল খতিয়ানের বাম পার্শ্বে থাকে

  i. বিন নম্বর ii. মালের বিবরণ

  iii. কোড নম্বর

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii  খ. i iii           গ. ii iii          ঘ. i, iiiii

৫২।         FIFO পদ্ধতির সুবিধা হলো

  i. সঠিক উৎপাদন ব্যয় নির্ণয় করা যায়

  ii. স্থিতিশীল ও ক্রমহ্রাসমান মূল্যের ক্ষেত্রে সঠিক ফলাফল পেতে সাহায্য করে

  iii. চলতি বাজার মূল্যের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii  খ. i iii           গ. ii iii          ঘ. i, iiiii

৫৩।         বিন কার্ড ব্যবহারের ফলে

  i. মালের ক্ষয়ক্ষতি রোধ হয়

  ii. ইস্যুর পরিমাণ জানা যায়

  iii. মালের সর্বোচ্চ পরিমাণ জানা যায়

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii  খ. i iii           গ. ii iii          ঘ. i, iiiii

৫৪।

         কালান্তিক মজুদ পদ্ধতির অসুবিধা হলো

  i. নির্দিষ্ট দিন ছাড়া প্রতিষ্ঠানের মজুদের প্রকৃত তথ্য জানা যায় না

  ii. ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের মজুদের উপর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে থাকে

  iii. মজুদ হিসাব সংরক্ষণে ভুল ও জালিয়াতির সম্ভাবনা থাকে

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii  খ. i iii           গ. ii iii          ঘ. i, iiiii

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৫৫ ও ৫৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

  যমুনা লি.-এর বই থেকে নিম্নলিখিত তথ্যসমূহ নেওয়া হয়েছে :

  এপ্রিল-১ প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত ২০০ একক

  প্রতি একক ৫০০ টাকা

  এপ্রিল-১০ মাল ক্রয় ৩৫০ একক

  প্রতি একক ৫২০ টাকা

  এপ্রিল-২০ মাল বিক্রয় ৪০০ একক

৫৫।         FIFO পদ্ধতিতে এপ্রিল-২০ তারিখে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় কত?

  ক. ২,০০,০০০ টাকা খ. ২,০৪,০০০ টাকা

  গ. ২,০৭,০০০ টাকা ঘ. ২,০৮,০০০ টাকা

৫৬।         FIFO পদ্ধতির পরিবর্তে LIFO পদ্ধতিতে জানুয়ারি-২০ তারিখে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় নির্ণয় করলে কোম্পানির মুনাফা কী পরিমাণ হ্রাস পাবে?

  ক. ৩,০০০ টাকা   খ. ৫,০০০ টাকা

  গ. ৮,০০০ টাকা   ঘ. ১৩,০০০ টাকা

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ৫৭ ও ৫৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

  হাবিব লিমিটেডের বই থেকে নিম্নলিখিত তথ্যসমূহ নেওয়া হয়েছে :

  জানু-১ প্রারম্ভিক উদ্বৃত্ত ২,০০০ একক, প্রতি একক ১০ টাকা,

  জানু-১৫ মাল ক্রয় ৮,০০০ একক, প্রতি একক ১২ টাকা,

  জানু-২৫ মাল বিক্রয় ৭,০০০ একক, প্রতি একক ১৫ টাকা।

৫৭।

         আগে আসে আগে যায় পদ্ধতিতে সমাপনী মজুদের মূল্য কত?

  ক. ৩৬,০০০ টাকা  খ. ৩০,০০০ টাকা

  গ. ২০,০০০ টাকা  ঘ. ১০,০০০ টাকা

৫৮।         আগে আসে আগে যায় পদ্ধতিতে বিক্রীত পণ্যের ব্যয়ের পরিমাণ কত?

  ক. ২০,০০০ টাকা  খ. ৬০,০০০ টাকা

  গ. ৮০,০০০ টাকা  ঘ. ৯৬,০০০ টাকা

 

    উত্তর : ৪৭. খ ৪৮. ঘ ৪৯. ক ৫০. খ ৫১. ঘ ৫২. ঘ ৫৩. ঘ ৫৪. ঘ ৫৫. খ ৫৬. ক ৫৭. ক ৫৮. গ।

 

মন্তব্য

কবিরাজ

    সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা কবিরাজ সম্পর্কে জেনেছ। গাছ-গাছড়া ব্যবহার করে এই পেশার লোকেরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন—
শেয়ার
কবিরাজ
কবিরাজি চিকিৎসার মূল ভিত্তি আয়ুর্বেদ ও ইউনানি শাস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত

দাঁত ভালো রাখতে সকালে দশন-সংস্কার চূর্ণ, পেট পরিষ্কার রাখার জন্য ত্রিফলা ভেজানো পানি, ভরপেট খাবারের পর লবণ ভাস্কর চূর্ণ কিংবা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ব্রাহ্মী রসায়নএসবই কবিরাজি চিকিৎসার দাওয়াই।

কবিরাজি চিকিৎসা কয়েক হাজার বছরের পুরনো। এর উদ্ভবও হয়েছিল ভারতবর্ষে। একসময় গ্রামগঞ্জে চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ছিলেন কবিরাজরা।

আধুনিক হাসপাতাল কিংবা ওষুধের দোকান সহজলভ্য হওয়ার আগে রোগবালাই হলে মানুষ ছুটে যেত কবিরাজের কাছে। গাছ-গাছড়া, শিকড়-বাকড় আর ভেষজ উপাদান দিয়ে তাঁরা চিকিৎসা করতেন। যুগ বদলেছে, আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত হয়েছে, কিন্তু তবু কবিরাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ একেবারে হারিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের গ্রামগঞ্জে এখনো এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয়।

কবিরাজদের চিকিৎসার মূল ভিত্তি আয়ুর্বেদ ও ইউনানি শাস্ত্র। আয়ুর্বেদ শব্দটি দুটি সংস্কৃত শব্দ আয়ুবেদ থেকে এসেছে। এখানে আয়ু অর্থ জীবন এবং বেদ অর্থ জ্ঞান বা বিদ্যা। অর্থাৎ যে জ্ঞানের মাধ্যমে জীবের কল্যাণ সাধন হয় সেটাই আয়ুর্বেদ।

এই পদ্ধতিতে শরীরের ভারসাম্যকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। রোগের ধরন বুঝে তাঁরা ভেষজ ওষুধ নির্ধারণ করেন, যা সাধারণত গাছের শিকড়, ছাল, পাতা, ফল ও বীজ দিয়ে তৈরি হয়। অনেক সময় মধু, দুধ কিংবা ঘি-ও মিশিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ে। শুধু শারীরিক অসুস্থতা নয়, কবিরাজরা মানসিক ও আত্মিক সুস্থতার দিকেও নজর দিতেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ-কবচের চর্চা করেন।

কালের পরিক্রমায় আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার বিস্তারে কবিরাজদের গুরুত্ব অনেকটা কমেছে। তার পরও অনেক মানুষ এখনো বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে তাঁদের দ্বারস্থ হয়, বিশেষ করে যখন আধুনিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে। সরকারও ভেষজ চিকিৎসাকে উৎসাহিত করছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসার ওপর গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে। তবে কবিরাজদের মধ্যেও ভেজাল ওষুধ ও অপেশাদার চিকিৎসকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে। দেশের বিভিন্ন বন-জঙ্গলে একসময় গন্ধগোকুলের দেখা মিলত। প্রাণীটিকে অঞ্চলভেদে তাল খাটাস বা ভাম অথবা নঙ্গর বলা হয়ে থাকে। অবৈজ্ঞানিক কবিরাজি চিকিৎসার অবাধ শিকার হওয়ার কারণে এই প্রাণীটির অস্তিত্ব আজ প্রায় নির্মূলের পথে। সে জন্য অনেক পরিবেশবিদ কবিরাজি চিকিৎসাকে অনুৎসাহিত করেন।

 

আল সানি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ