নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

  • সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সরকারি মুজিব কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

তৃতীয় অধ্যায়

কোষ বিভাজন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

১৬। মিয়োসিস কোথায় ঘটে?/মিয়োসিস ঘটে সপুষ্পক উদ্ভিদের কোন অংশে?

    ক. ডিম্বাণুযন্ত্রে    খ. শস্য কোষে

    গ. পরাগধানিতে

ঘ. জৈনারেটিভ কোষে

১৭। কোন পদ্ধতিতে গ্যামেট সৃষ্টি হয়?

    ক. Fragmentation         খ. Amitosis

    গ. Mitosis         ঘ. Meiosis

১৮। মিয়োসিস বিভাজনে নিউক্লিয়াস কয়বার বিভাজিত হয়?

    ক. ৫     খ. ৪ গ. ৩    ঘ. ২

১৯।

মিয়োসিস কোন বিভাজনের দ্বিতীয় বিভাজনটি কোনটির অনুরূপ?

    ক. মাইটোসিস   খ. মাইটোসিস-২

    গ. মিয়োসিস-১ ঘ. মিয়োসিস-২

২০। মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে কোনটি ঘটে?

    ক. জীবের ক্ষতস্থান পূরণ হয় খ. প্রজাতিতে বৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয়

    গ. টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে ঘ. অপতা কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা সমান থাকে

 

উত্তর : ১৬. গ ১৭. ঘ ১৮. ঘ ১৯. ক ২০. খ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সপ্তম শ্রেণি : বাংলা

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
সপ্তম শ্রেণি : বাংলা

গদ্য

লখার একুশে

আবুবকর সিদ্দিক

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১।        লখার একুশে গল্পে কোন পোকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে?

  ক. ফড়িং         খ. প্রজাপতি 

  গ. মশা                  ঘ. ঝিঁঝি পোকা

২।        লখা শহীদ মিনারে কী করতে গিয়েছিল?

  ক. মানুষ দেখতে    খ. কাগজ কুড়াতে

  গ. শ্রদ্ধা নিবেদন করতে                
ঘ. গুলি খেতে

৩।        লখার পেশা কী?

  ক. কাগজ কুড়ানো       খ. গুলি খেলা

  গ. দোকান করা   
ঘ. শহীদ মিনারে বসে থাকা

৪।

       শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে ফুল তুলতে গিয়ে লখাকে যেসব কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল

  i. ফিনফিনে ঠাণ্ডা   
ii. কাঁটার বিষের যন্ত্রণা

  iii. প্রচণ্ড গরম

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫ ও ৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  নাফিসের বয়স সাত বছর। সে খোঁড়া। খোঁড়া হলে কী হবে, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রবল শীতকে উপেক্ষা করে সে ভোরবেলা শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়।

৫।

       নাফিসের সঙ্গে লখার একুশে গল্পের লখার সাদৃশ্য কোথায়?

  ক. উভয়ের ভয় বেশি     খ. উভয় খোঁড়া

  গ. উভয় ফুল ভালোবাসে         
ঘ. দুরন্তপনা

৬।        নাফিস ও লখারের মাঝে ফুটে উঠেছে

  i. দেশপ্রেমের চেতনা

  ii. শহীদদের প্রতি ভালোবাসা

  iii. একুশের চেতনা 

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

৭।        লখার একুশে গল্পের লেখক কে?

  ক. কাজী নজরুল ইসলাম       
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর  গ. আবুবকর সিদ্দিক              ঘ. জীবনানন্দ দাশ

৮।        গাছের পাতা বেয়ে কী গড়িয়ে আসে?

  ক. পোকা          খ. লতা

  গ. শিশির          ঘ. পানি

৯।

       লখা মূলত একজন?

  ক. প্রতিবন্ধী       খ. দোকানদার

  গ. ছাত্র             ঘ. ব্যবসায়ী

১০।  লখা কাকে দেখেনি বা চেনে না?

  ক. মাকে            খ. বোনকে

  গ. বাবাকে            ঘ. মামাকে

১১।  লখার গল্পে শান শব্দটির অর্থ কী?

  ক. পাথর বা কংক্রিটের তৈরি ফুটপাত        খ. ধার   গ.  ইটের টুকরা                               ঘ. চাকু

১২।       মেঙে শব্দের অর্থ কী?

  ক. পেয়ে         খ. গিয়ে 

  গ. চিনে              ঘ. চেয়ে

১৩। লখার একুশে গল্পে চিত্রিত হয়েছে

  i. ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ

  ii. লখার জীবনকাহিনি

  iii. মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

১৪।

বারুদ পোড়া প্রহর’—কার লেখা?

  ক. আবুবকর সিদ্দিক             
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  গ. কাজী নজরুল ইসলাম        
ঘ. বুদ্ধদেব বসু

১৫। লখার বাঁ পায়ে কিসের কাঁটা ঢুকল?

  ক. বাবলা        খ. খেজুর

  গ. গোলাপ            ঘ. বরই

১৬। লখার একুশে গল্পটিকে কিসের প্রভাবের কথা বলা হয়েছে?

  ক. প্রতিবন্ধীর      খ. একুশে ফেব্রুয়ারির

  গ. লাল ফুলের    ঘ. প্রভাতফেরির

১৭। লখার দিন কাটে

  i. ফুল তুলে  ii. গুলি খেলে

  iii. কাগজ কুড়িয়ে  

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

১৮।  কী দেখলে লখার বুক ভয়ে কেঁপে ওঠে?

  ক. অন্ধকার       খ. শিয়াল 

  গ. মূর্তি              ঘ. ছায়া

  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৯ ও ২০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

  ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এদিন শত-সহস্র ফুল শহীদদের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়।

১৯। উদ্দীপকের সাথে নিচের কোন গল্পটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়?

  ক. কাবুলিওয়ালা   খ. ছবির রং

  গ. সেই ছেলেটি   ঘ. লখার একুশে

২০।  শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে বাঙালিদের মধ্যে প্রকাশ পায়

  i. কৃতঘ্নতা ii. কৃতজ্ঞতা

  iii. দেশাত্মবোধ

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii       খ. iiii           

  গ. iiiii       ঘ. i, iiiii

২১।  মিছিলের ঢল কোথায় এগিয়ে চলেছে?

  ক. বধ্যভূমিতে      খ. শহীদ মিনারে

  গ. স্মৃতিসৌধে     ঘ. জাতীয় উদ্যানে

২২।  শহীদ মিনার কিসের বিশেষত্ব বহন করে?

  ক. গ্রাম-বাংলার নারীদের কথা  
খ. বাংলার ঐতিহ্য

  গ. প্রকৃতিপ্রেম      ঘ. শহীদদের স্মৃতি

২৩। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’—গানটির রচয়িতা কে?

  ক. আবুবকর সিদ্দিক
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  গ. আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী            
ঘ. আলতাফ মাহমুদ

২৪।  লখার অসহ্য যন্ত্রণা কিসে হয়?

  ক. কাঁটা ফোটায়        খ. পা ভেঙে যাওয়ায়

  গ. হাত ভেঙে যাওয়ায়          
ঘ. হাত মচকে যাওয়ায়

২৫। লেখক রেললাইনকে কিসের সাথে তুলনা করেছেন?

  ক. সাপ     খ. পাখি     

  গ. ব্যাঙ     ঘ. মাছ

২৬। সেদিন সকাল ছিল বড় আশ্চর্য সুন্দর’—কোন দিন?

  ক. ২৬ মার্চ       খ. ২১ ফেব্রুয়ারি

  গ. ১৬ ডিসেম্বর   ঘ. ১৫ আগস্ট

২৭। লখার রাতের শোবার বিছানা কেমন?

  ক. নরম তুলতুলে  খ. পালঙ্ক

  গ. কাঠের চৌকি   ঘ. কংক্রিটের তৈরি

২৮।আবু বকর সিদ্দিক কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

  ক. ১৯৩৪             খ. ১৯৩৬

  গ. ১৯৭৭        ঘ. ১৯৬৫

২৯। মিছিলে শত শত মানুষের মধ্যে লখাকে চেনা যাচ্ছিল, কারণ

  i. তার পরনে কাপড় ছিল না

  ii. খোলা শরীর
iii. শরীরের কালো রং   

  নিচের কোনটি সঠিক?

  ক. iii        খ. iiii           

  গ. iiiii      ঘ. i, iiiii

 

  উত্তর : ১. ঘ ২. গ ৩. ক ৪. ক ৫. খ ৬. ঘ  ৭. গ ৮. গ ৯. ক ১০. গ ১১. ক ১২. ঘ
১৩. ক ১৪. ক ১৫. ক ১৬. খ ১৭. গ ১৮. ঘ ১৯. ঘ ২০. গ ২১. খ ২২. ঘ ২৩. গ ২৪. ক ২৫. ক ২৬. খ ২৭. ঘ ২৮. খ ২৯. ঘ।

 

মন্তব্য

পঞ্চম শ্রেণি : প্রাথমিক বিজ্ঞান

    সোনিয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষক, ধামদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : প্রাথমিক বিজ্ঞান

দ্বিতীয় অধ্যায়

পরিবেশদূষণ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১।          পরিবেশের বিভিন্ন পরিবর্তন কেন ঘটে?

  উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য মানুষ পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করে। এর ফলে পরিবেশের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে।

২।

         পরিবেশদূষণ কাকে বলে?

  উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য মানুষ পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করে। এর ফলে পরিবেশের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয় তখন তাকে পরিবেশদূষণ বলে।

৩।

         মানুষের দৈনন্দিন কমকাণ্ডের ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এই পরিবেশদূষণ কিভাবে হয়?

  উত্তর  : বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে পরিবেশদূষণ হয়।

৪।          বর্তমান পৃথিবীর বড় সমস্যা কোনটি?

  উত্তর : বর্তমান পৃথিবীর বড় সমস্যা হলো পরিবেশদূষণ।

৫।          পরিবেশদূষণের অন্যতম প্রধার কারণ কোনটি?

  উত্তর : পরিবেশদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো শিল্পায়ন।

৬।          পরিবেশদূষণের প্রধান উৎস কোনটি?

  উত্তর : জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই পরিবেশদূষণের প্রধান উৎস।

৭।

         শিল্প-কারখানা সচল রাখতে ব্যবহার করা হয়?

  উত্তর : শিল্প-কারখানা সচল রাখতে তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয়।

৮।          দূষণের ফলে মানুষ কী কী রোগে আক্রান্ত হয়?

  উত্তর : দূষণের ফলে মানুষ ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, পানিবাহিত রোগ, ত্বকের রোগ ইত্যাদিতে আক্রান্ত  হয়।

৯। পরিবেশদূষণের দুটি ক্ষতিকর দিক লেখো।

  উত্তর : পরিবেশদূষণের দুটি ক্ষতিকর দিক হলো

  i. জীবজন্তুর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে;

  ii. পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১০। কোন কোন মাধ্যমে পরিবেশদূষিত হয়?

  উত্তর : বায়ু, পানি, মাটি ও শব্দদূষণের মাধ্যমেই সাধারণত পরিবেশ দূষিত হয়।

১১।  যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া পরিবেশে কোন ধরনের দূষণ সৃষ্টি করে?

  উত্তর : যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া পরিবেশে বায়ুদূষণ সৃষ্টি করে।

১২।  বায়ুদূষণের ফলে পৃথিবীর কী ঘটছে?

  উত্তর : বায়ুদূষণের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এসিড বৃষ্টি হচ্ছে।

১৩। বায়ু কিভাবে দূষিত হচ্ছে?

  উত্তর : বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া অথবা দুর্গন্ধ বায়ুতে মিশে বায়ু দূষিত হচ্ছে।

মন্তব্য

নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান

    সুনির্মল চন্দ্র বসু, সহকারী অধ্যাপক, সরকারি মুজিব কলেজ, সখীপুর, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম ও দশম শ্রেণি : জীববিজ্ঞান
প্রকৃত কোষ ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয় অধ্যায়

জীবকোষ ও টিস্যু

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১।        কোষ কী?
উত্তর : জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে।

২।   আদিকোষ কাকে বলে?
উত্তর : যে কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাকে আদিকোষ বলে।

৩।   প্রকৃত কোষ কাকে বলে?
উত্তর : যে কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত থাকে তাকে প্রকৃত কোষ বলে।

৪।   জাইগোট কী?
উত্তর : পুং ও স্ত্রী জননকোষের মিলনের ফলে সৃষ্ট প্রথম কোষটিকে জাইগোট বলে।

৫।   কূপ কী?
উত্তর : গৌণ প্রাচীরে মাঝে মাঝে ছিদ্র থাকে, যাকে কূপ বলে।

৬। প্লাজমোডেজমাটা কী?
উত্তর : পাশের কোষের সাথে প্লাজমোডেজমাটা সৃষ্টির মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং পানি ও খনিজ লবণ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

৭।   প্রোটোপ্লাজম কাকে বলে?
উত্তর : কোষের ভেতরে যে অর্ধস্বচ্ছ, থকথকে জেলির মতো বস্তু থাকে তাকে প্রোটোপ্লাজম বলে।

৮।        কোষঝিল্লি/প্লাজমালেমা কী?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজমের বাইরে দুই স্তরের যে স্থিতিস্থাপক পর্দা থাকে তাকে কোষঝিল্লি/প্লাজমালেমা বলে।

৯।

   মাইক্রোভিলাই কী?
উত্তর : কোষঝিল্লির ভাঁজকে মাইক্রোভিলাই বলে।

১০।       সাইটোপ্লাজম কী?
উত্তর : প্রোটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয়াস সরিয়ে নিলে যে জেলির মতো বস্তু থেকে যায় তাকে সাইটোপ্লাজম বলে।

১১।  অক্সিজোম কী?
উত্তর : মাইটোকন্ড্রিয়ার ক্রিস্টির গায়ে বৃন্তযুক্ত গোলাকার বস্তু থাকে এদেরকে অক্সিজোম বলে।

১২।  লাইসোজোম কী?
উত্তর : সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত যে অঙ্গাণু জীবকোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে তাকে লাইসোজোম বলে।

১৩।  কোষকঙ্কাল কী?
উত্তর : লম্বা এবং মোটা-চিকন মিলিয়ে অসংখ্য দড়ির মতো বস্তু যা কোষের চারদিকে জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে। কোষকঙ্কাল ভেতর থেকে কোষটিকে ধরে রাখে।

১৪।  মাইক্রোটিউবিউল কী?
উত্তর : কোষকঙ্কালের প্রোটিন নির্মিত অশাখ, লম্বা ও নলাকার তন্তুকে মাইক্রোটিউবিউল বলে।

১৫।  মাইক্রোফিলামেন্ট কী?
উত্তর :
কোষকঙ্কালের প্রোটিন নির্মিত অতিসূক্ষ্ম সংকোচনশীল তন্তু কোষের চলনে অংশগ্রহণ করে, তাদের মাইক্রোফিলামেন্ট বলে।

১৬।  সেন্ট্রোজোম কী?
উত্তর : প্রাণিকোষের নিউক্লিয়াসের কাছে দুটি ফাঁকা নলাকার বা দণ্ডাকার অঙ্গাণু দেখা যায়, তাদের সেন্ট্রিওল বলে। সেন্ট্রিওলের চারপাশে অবস্থিত গাঢ় তরলকে সেন্ট্রোস্ফিয়ার বলে। সেন্ট্রোস্ফিয়ারসহ সেন্ট্রিওলকে সেন্ট্রোজোম বলে।

১৭।  ক্লোরেনকাইমা কী?
উত্তর : প্যারেনকাইমা কোষে যখন ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে, তখন তাকে ক্লোরেনকাইমা বলে।

১৮।  অ্যারেনকাইমা কী?
উত্তর : জলজ উদ্ভিদের বড় বড় বায়ুকুঠুরিযুক্ত প্যারেনকাইমাকে অ্যারেনকাইমা বলে।

১৯।  স্ক্লেরাইড কী?
উত্তর : স্ক্লেরাইডকে স্টোন সেল বলে। এরা খাটো, সমব্যসীয়, কখনো লম্বাটে, আবার কখনো তারকাকার হতে পারে। এদের গৌণ প্রাচীর খুবই শক্ত ও লিগনিনযুক্ত।

২০। জটিল টিস্যু কী?
উত্তর : বিভিন্ন ধরনের কোষের সমন্বয়ে যে স্থায়ী টিস্যু তৈরি হয় তাকে জটিল টিস্যু বলে।

২১।       উডফাইবার কী?
উত্তর : জাইলেমে অবস্থিত স্ক্লেরেনকাইমা কোষকে উড ফাইবার বলে।

২২।  সিভপ্লেট কী?
উত্তর : সিভনলের চালুনির মতো রন্ধ্রগুলোকে সিভপ্লেট বলে।

২৩। কোমলাস্থি কী?
উত্তর : কোমলাস্থি এক ধরনের নমনীয় স্কেলিটাল যোজক টিস্যু।

২৪।  রক্ত কী?
উত্তর : রক্ত এক ধরনের ক্ষারীয়, ঈষৎ লবণাক্ত এবং লাল বর্ণের তরল যোজক টিস্যু।

২৫।  লসিকা কাকে বলে?
উত্তর : মানবদেহে বিভিন্ন টিস্যুর মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে যে জলীয় পদার্থ জমা হয় তাকে লসিকা বলে।

২৬। পেশি টিস্যু কী?
উত্তর : ভ্রূণের মেসোডার্ম থেকে তৈরি সংকোচন ও প্রসারণক্ষম বিশেষ ধরনের টিস্যুকে পেশি টিস্যু বলে।

২৭। ঐচ্ছিক পেশি কী?
উত্তর : যে পেশির টিস্যুর সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছাধীন হয় তাকে ঐচ্ছিক পেশি বলে।

২৮। ত্বক বা চামড়া কী?
উত্তর : দেহের বাইরের দিকে যে আচ্ছাদনকারী আবরণ থাকে, তাকে ত্বক বা চামড়া বলে।

২৯। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি কী?
উত্তর : নালিবিহীন গ্রন্থিকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে।

৩০। স্টোইন কী?
উত্তর : স্টোইন হলো বর্ণযুক্ত জৈবযৌগ, যা ল্যাবরেটরিতে অণুজীবসমূহের দৃশ্যমান করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

মন্তব্য

ড্রপবক্স

    অষ্টম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা ড্রপবক্স সম্পর্কে জেনেছ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফাইল আদান-প্রদান ও সংরক্ষণের সেবা দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান—
এস এম তাহমিদ
এস এম তাহমিদ
শেয়ার
ড্রপবক্স
মুঠোফোনে ড্রপবক্সের সেবা নিচ্ছে গ্রাহক। ছবি : সংগৃহীত

নেটওয়ার্ক সংযুক্ত ফাইল সংরক্ষণ ও শেয়ারিং সার্ভার সেবা দিতে ১৯৮৩ সালে যাত্রা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান কম্পিউসার্ভ। তখনো ইন্টারনেটের জন্ম হয়নি। এরপর ১৯৯৪ সালে এটি অ্যান্ড টি-এর হাত ধরে বাজারে আসে প্রথম ইন্টারনেটভিত্তিক ফাইল সার্ভার সেবা। এই সেবাই প্রথম ক্লাউড শব্দটি ব্যবহার করেছিল।

তবে এই সেবাগুলোর ব্যবহার বেশ কঠিন ছিল তখন। পাশাপাশি ওই সময়ে ইন্টারনেটের গতিও ছিল কম, তাই বড় ফাইল শেয়ারের জন্য অনলাইন স্টোরেজ সেবার জনপ্রিয়তাও কম ছিল।

স্বল্প খরচে সহজে ব্যবহারযোগ্য ক্লাউড স্টোরেজ সেবা দিতে ২০০৭ সালের মে মাসে যাত্রা শুরু করে ড্রপবক্স। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) পড়ুয়া দুই ছাত্র ড্রিউ হিউস্টন ও আরাশ ফেরদৌসি মিলে স্টার্টআপ হিসেবে তৈরি করেন ড্রপবক্স।

শুরুতে এর নাম দেওয়া হয়েছিল ইভেনফ্লো। ২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম বদলে ড্রপবক্স করা হয়।

ওয়েব ব্রাউজার বা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে ড্রপবক্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে। বিনা মূল্যে ২ গিগাবাইট জায়গা দিয়ে থাকে ড্রপবক্স।

বাড়তি জায়গার জন্য সাবসক্রিপশন কিনতে হয়। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সরাসরি ব্রাউজার থেকেই ফাইল আপলোড ও ডাউনলোড করা যায়। ডেস্কটপ, ল্যাপটপ ও মুঠোফোনে ড্রপবক্স অ্যাপ ইনস্টল করে এই সেবা পেতে পারে ব্যবহারকারীরা। এই অ্যাপ ইনস্টলের পর ডিভাইসে একটি ড্রপবক্স সিংক ফোল্ডার তৈরি হয়। এতে ডিভাইসে রাখা ফাইলগুলো নিজে থেকেই ক্লাউডে আপলোড হয়ে যায়।
ফলে ফাইল বা ছবি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।

ড্রপবক্সের আরেকটি ব্যবহার অন্যদের ফাইল পাঠানো। ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে থাকা যেকোনো ফাইল বা ফোল্ডার চাইলেই অন্যের কাছে লিংক হিসেবে পাঠানো যায়। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারীকেই পাঠানো যায় ফাইলগুলো বা পাবলিক শেয়ারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের যে কারো কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।

ফাইল শেয়ার করার পাশাপাশি এখন ড্রপবক্সের মাধ্যমে ডকুমেন্ট সম্পাদনাও করা যায়। এ সেবাটির নাম ড্রপবক্স পেপার। ওয়েবভিত্তিক ডকুমেন্ট সম্পাদনা সেবাটি চালু হয় ২০১৫ সালে। এটি অ্যাপের মাধ্যমেও ব্যবহার করা যায়। তবে এ সেবাটি এখনো তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।

ড্রপবক্সের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী গুগল ড্রাইভ ও গুগল ডকস। পাশাপাশি মাইক্রোসফট ওয়ানড্রাইভ ও অফিস ৩৫৬ সেবাও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বেশ কয়েকবার হ্যাকাররা ড্রপবক্সে হানা দিয়ে ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড চুরি করেছে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর গোপনীয় তথ্যও চুরি হয়েছে। এ ধরনের সমস্যাগুলোর জন্য বর্তমানে ড্রপবক্সের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ