বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘নির্বাচন যতই বিলম্ব হবে, অন্তর্বর্তী সরকার ততই বিপদে পড়বে। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতাধর হয়েও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। জনগণের বিরুদ্ধে গেলে এ সরকারও বেশিদিন টিকবে না। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।
রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে।’
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া মঞ্চের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উত্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তি বৃদ্ধিকরণ এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা ৩১ দফার ভিত্তিতে আন্দোলন করেছি।
অন্তর্বর্তী সরকার বোধ হয় তা পছন্দ করেনি। তাই তারা সংস্কার সংস্কার করছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তাদের আন্দোলনের সঙ্গে আমরাও ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু তারা এখন বিএনপির সম্পর্কে যেসব কথা বলছে, তা অত্যন্ত আপত্তিজনক।
সম্প্রতি তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও কথা বলেছে। এতে সরকারের দায় আছে। কারণ সরকার তাদের বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। জনগণ যদি আপনাদের (এনসিপি) ভোট দেয় আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কথাবার্তা সংযত হয়ে বলতে হবে।’
জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজ উল্ল্যাহ ইকবালের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহসভাপতি আবু তালেবের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ভিপি হারুন অর রশিদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম।