‘হচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক, সহজ শর্তে ঋণ পাবেন খামারিরা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘হচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক, সহজ শর্তে ঋণ পাবেন খামারিরা’
সংগৃহীত ছবি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক তৈরি করা হচ্ছে। যাতে করে খামারিরা সহজ শর্তে প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা পেতে পারেন।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে উপজেলার বিভিন্ন পিজি গ্রুপের নারী সদস্যদের সথে মতবিনিময় এবং মৎস্য খামার পরিদর্শন ও মতবিনিময় অংশগ্রহণ শেষে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, সন্দ্বীপ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে ভরপুর; এখানে মহিষ, ভেড়াসহ মাছের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে।

সন্দ্বীপসহ দেশের সর্বত্র মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উভয়খাতকেই বিদ্যুৎ বিল একটি নির্দিষ্ট কমার্শিয়াল রেটে দিতে হয়। কিন্তু কৃষিতে আরো কম রেটে বিদ্যুৎ বিল দিতে পারে। আর তাই খামারিরা কৃষির মত ভর্তুকি মূল্যে যেন বিদ্যুৎ বিল দিতে পারে সে লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

সন্দ্বীপ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল এবং উপজেলা মৎস্য দপ্তর আয়োজিত মতবিনিময়সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদের পরিচালক ডা. আতিয়ার রহমান, সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুস ছাত্তার, মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. আলমগীর, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, সন্দ্বীপ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. আলী আজম, উপজেলাধীন বিভিন্ন পিজি গ্রুপের নারী সদস্য ও মৎস্য খামারিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সন্দীপে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশবাড়িয়া, সীতাকুণ্ড-গুপ্তছড়া, সন্দ্বীপ নৌপথে ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ফলেই সন্দ্বীপের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘গত ৫০ বছরে সন্দ্বীপে কোনো উন্নয়ন হয়নি, এটা আমাদের লজ্জার কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার সন্দ্বীপের উন্নয়ন সাত মাসে দৃশ্যমান করেছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (২৭ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে রাঙামাটিতে আধার কার্ডসহ দুই ভারতীয় আটক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে রাঙামাটিতে আধার কার্ডসহ দুই ভারতীয় আটক
সংগৃহীত ছবি

রাঙামাটির ছোটহরিনা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় আধার কার্ডসহ দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটককৃতরা হলেন- জ্ঞান রঞ্জন চাকমা (৪৫) এবং পিংকু চাকমা (২২)। তারা উভয়েই ভারতীয় নাগরিক।

বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ছোটহরিণা ব্যাটালিয়নের (১২ বিজিবি) টহল দল ছোটহরিণা বাজার এলাকায় টহল পরিচালনার সময় তাদের আটক করে।

তাদের কাছ থেকে ৭২ হাজার ৭০০ টাকা এবং ভারতীয় আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ছোটহরিণা বাজারে ভারতীয় পণ্য বিক্রি করত এবং ভারত পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করত।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরকল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের প্রশংসা করলেন মার্কিন জেনারেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের প্রশংসা করলেন মার্কিন জেনারেল
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের প্রশংসা করেছেন ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল ফর ইউএস আর্মি প্যাসিফিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বি ভওয়েল।

মার্কিন দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য পেশাদার সামরিক বাহিনীর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

গত ২৪ ও ২৫ মার্চ সফরকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল বি ভওয়েল সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

আলোচনায় তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্কের প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতিকে আরো জোরদার করেন এবং একই সঙ্গে ভাগ করা নিরাপত্তা স্বার্থ এবং চলমান সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।

বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা প্রদান করতে পারে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রীষ্মে ‘২৫ সালে টাইগার লাইটনিং অনুশীলন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মার্কিন সরঞ্জামের সম্ভাব্য ক্রয় নিয়েও আলোচনা হয়।

মন্তব্য

শিক্ষার্থীদের বিবৃতি : মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে নেই চারুকলার ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শিক্ষার্থীদের বিবৃতি : মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে নেই চারুকলার ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ২৬তম ব্যাচের (চারুকলা ৭০তম) শিক্ষার্থীরা বুধবার (২৬ মার্চ) ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ বিষয়ে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, এবারের বৈশাখের আয়োজনের সঙ্গে তাঁদের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। 

শিক্ষার্থীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মূলত বৈশাখ প্রতিবছর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দিষ্ট ব্যাচের তত্ত্বাবধায়নে এবং সম্পূর্ণভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের যৌথ প্রয়াসে আয়োজিত হয়ে থাকে। যে আয়োজনের সম্পূর্ণ অর্থ অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শিল্পকর্ম বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।

চারুকলার রীতি অনুযায়ী যা এ বছর আমাদের ব্যাচের দায়িত্ব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবারের আয়োজন একেবারেই চারুকলা অনুষদের পূর্বাপর রীতির ব্যতিক্রমীভাবে কোনোরকম শিক্ষার্থীদের সম্মতি ও সম্পৃক্ততা ছাড়া শুধু শিক্ষকদের সিদ্ধান্তে করা হচ্ছে, যা আমাদের বিশ্বাস ও ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ ছাড়া এবার একাডেমিকভাবে বৈশাখ আয়োজন করার এই সিদ্ধান্ত অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, ছাত্রপ্রতিনিধি কারো সঙ্গে কোনোরকম পূর্ব–আলোচনা ছাড়াই একটি নির্দিষ্ট ছাত্র-শিক্ষক গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততায় খুবই অতর্কিতভাবে নেওয়া হয়েছে।’

শিক্ষার্থীরা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, ‘শোভাযাত্রার জন্য বানানো স্ট্রাকচারের ডিজাইন এবং আইডিয়া সম্পূর্ণ শিক্ষকদের দেওয়া, চারুকলার আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী এর সঙ্গে কোনোভাবেই সংযুক্ত ও অবগত নন।

শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে স্ট্রাকচার সম্পর্কেও আমরা অবগত ছিলাম না এবং কারো ব্যক্তিগত মতাদর্শে আঘাত দেওয়ার পক্ষেও নন তাঁরা। এহেন কুরুচিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত চারুকলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নেওয়া হয়নি এবং চারুকলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে ছিল না।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই অবস্থায় অনলাইনে তৈরি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার দায় সমগ্র চারুকলার নয় বরং দায়িত্বে থাকা নির্দিষ্ট কতিপয় আয়োজক এবং ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওপর বর্তায়।’

এবারের বৈশাখ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈশাখ।

শিক্ষার্থীরা বিবৃতিতে আরো বলেছেন, ‘এ আয়োজনে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের চাটুকারিতাপূর্ণ মনোভাবের কারণে আমরা শিক্ষকদের আয়োজন করা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা ও শোভাযাত্রা সমর্থন করছি না। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা এটুকু স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে, আমরা মোটাদাগে প্রতিবছর চারুকলা অনুষদে আয়োজিত হয়ে আসা বৈশাখের আয়োজন নয় বরং স্বজনপ্রীতিদুষ্ট ও দেশের পরিবর্তনকালীন রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী এবারের ‘বৈশাখ ১৪৩২’-এর আয়োজন ও আয়োজক কমিটিকে আমরা, চারুকলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সবাই সমর্থন ও সম্মান জানাবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ