<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখসহ তা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে সন্তুষ্ট নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, এই রায় কর্তৃত্ববাদ ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার বিরুদ্ধে। এর মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথা গণতন্ত্রে ফেরার পথ প্রশস্ত হলো। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রায়ে আদালত বলেছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, ২০১১-এর ২০ ও ২১ ধারার মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত সংবিধানের ৫৮ক অনুচ্ছেদ বিলোপ করে। এর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো অর্থাৎ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে এই দুটি ধারা অসাংবিধানিক হওয়ায় তা বাতিল ঘোষণা করা হলো। আপিলে এই রায় বাতিল না হলে, আমাদের জাতীয় নির্বাচনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা স্থায়ী হবে। আমার ধারণা, আপিলেও এই যুগান্তকারী রায় বাতিল হওয়ার আশঙ্কা ক্ষীণ।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলে ইন্টারভেনার (আদালতকে সহায়তা করতে) হিসেবে বিএনপি, গণফোরাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সংস্থা, ব্যক্তিসহ বেশ কয়েকজন যুক্ত হন। শুনানিতে রিট আবেদনকারী, বিএনপি, রাষ্ট্রপক্ষ, জামায়াত, গণফোরাম, ব্যক্তি ও সংস্থার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা বক্তব্য তুলে ধরেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রায় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি সন্তুষ্ট এই রায়ে। আমি মনে করি যে এটা একটা যুগান্তকারী রায়। এ রায়ে দেশের গণতন্ত্রকামী সব মানুষ আনন্দিত।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকারের মর্জিমাফিক প্রহসনের নির্বাচন ছাড়াও সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ এ দেশের নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ খড়্গের মতো ঝুলে ছিল। এই অনুচ্ছেদে বলা ছিল, সংবিধান বা এর কোনো অনুচ্ছেদ রদ, রহিত, বাতিল বা স্থগিত করার চেষ্টা করলে সেটি হবে রাষ্ট্রদ্রোহ। আবার ৭(খ) অনুচ্ছেদে বলা ছিল, সংবিধানের মৌলিক বিষয়াবলি সংশোধনের অযোগ্য। হাইকোর্টের রায়ে এই অনুচ্ছেদ দুটিও বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আমরা মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের অধিকার ফিরে পেতে যাচ্ছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত কিছু বিধান হাইকোর্ট সংসদের বিবেচনার জন্য রেখে দিয়েছেন। আমারও মনে হয়, এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে সংসদের মাধ্যমেই নেওয়া দরকার।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করায় বিষয়টি আমাদের জাতীয় নির্বাচনে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছিল</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ প্রশ্নে ড. মজুমদার বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">“</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার মাধ্যমে তৎকালীন সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার ব্যবস্থা করেছিল। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল কর্তৃত্ববাদ। আমরা </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাতের ভোট</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> দেখেছি, প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেনি। প্রতিপক্ষকে জোর করে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কদর্য উৎসব দেখেছি। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাওয়া মানেই নির্বাচনে নিশ্চিত জয়</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এটাই নিয়মে পরিণত হতে দেখেছি। নির্বাচনব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়েছিল।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">”</span></span></span></span></span></p> <p> </p>