<p>বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।</p> <p>মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এ রায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার পথ খুলল : বদিউল আলম মজুমদার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/17/1734445996-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এ রায়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার পথ খুলল : বদিউল আলম মজুমদার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/17/1458504" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি বলেন, ‘এই (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকারই তত্ত্বাবধায় সরকারে রিনেমড হতে পারে। যেমন একই ব্যক্তি (বিচারক) যখন সিভিল মামলা করেন তখন তাকে বলা হয় জেলা জজ, আবার ওই একই ব্যক্তি (বিচারক) যখন ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেন তখন তিনি হয়ে যান দায়রা জজ। তেমনি এই অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যক্তিরা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় চলে যাবে, তখন উনারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হবেন। এটাতে সাংবিধানিক সাংঘর্ষিকতার কোনো জায়গা নেই।’</p> <p>সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপিল বিভাগে (ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার) যে রিভিউ বিচারাধীন, তা পাশ কাটিয়ে হাইকোর্টের এই রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেন আছে? কারণ, তত্ত্বাবধায়কের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে দুটি পার্ট। এক হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ নাকি অবৈধ। এই পার্টে চারজন বলছেন অবৈধ, তিনজন বলেছেন, বৈধ। আবার দ্বিতীয় পার্টে সব বিচারপতি বলেছেন, পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে। এই যে পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে এটা বলার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী চলে এসেছে। তাহলে ধরে নেওয়া হবে, আপিল বিভাগের ওই রায়ের কার্যকারিতা এখনো আছে। আগামী দুটি নির্বাচন করতে আপিল বিভাগের রিভিউ রায়ের অপেক্ষায় থাকতে হয় না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ওবায়দুল কাদের কোথায়? তথ্য নেই সরকারের কাছে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/17/1734445391-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ওবায়দুল কাদের কোথায়? তথ্য নেই সরকারের কাছে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/17/1458503" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রিট আবেদনকারী আইনজীবী শরীফ ভূইয়া বলেন, ‘তত্ত্বাবধায় সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার মধ্য দিয়ে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনব্যবস্থাও ধ্বংস করা হয়েছিল। নির্বাচনীব্যবস্থা ধ্বংস করার ফলে দেশে কর্তৃত্ববাদী চালু হয়েছিল। সেই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।’</p> <p>আদালত রায়ে বলেছেন, যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গণতন্ত্র এবং নির্বাচনকে সুসংহত করে, সেহেতু তত্ত্বাবায়ক ব্যবস্থা সংবিধানের একটি মূল কাঠোমো। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এখনই ফিরে এসেছে বলা যাবে না। কারণ এই ব্যবস্থাকে দুইভাবে বাতিল করা হয়েছিল। প্রথমত, তৎকালীন বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে একটি রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। পরবর্তীতে সংসদ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে। আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন এখানো বিচারাধীন। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফেরার বিষয়টি আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপরও নির্ভর করছে বলে জানান এই আইনজীবী।</p>