<p style="text-align:justify">সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দাফনের চার মাস পর কবর থেকে রাবেয়া সুলতানা মায়া (২৩) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুনের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ভূরুলিয়া ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে ওই মরদেহ উত্তোলন করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">দুই সন্তানের জননী রাবেয়া একই গ্রামের দিনমজুর আব্দুস সামাদের মেয়ে। এ সময় শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর মোল্লা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, গত ১০ আগস্ট উপজেলার সোনাখালী গ্রামের স্বামীর বাড়িতে রাবেয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এ সময় লাশ ফেলে স্বামী রাশিদুল ইসলাম পালিয়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে কাউকে না পেয়ে পিত্রালয়ে রাবেয়াকে দাফন করেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গণকবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে যুবলীগকর্মী গ্রেপ্তার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/17/1734435444-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গণকবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে যুবলীগকর্মী গ্রেপ্তার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/17/1458463" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ঘটনার প্রায় এক মাস পর হত্যা করে রাবেয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে বলে তথ্য পায় তার পরিবার। এক পর্যায়ে গত ১ সেপ্টেম্বর রাবেয়ার মা ফজিলা বেগম বাদী হয়ে জামাতা রাশিদুল ও ভগ্নিপতি হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে ১২ সেপ্টেম্বর শ্যামনগর থানা মামলা গ্রহণের পর ময়নাতদন্তের জন্য বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হলে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি মেলে।</p> <p style="text-align:justify">মামলার বাদী ফজিলা বেগম জানান, মাদকাসক্ত জামাতা তার মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তবে সেই সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় থানা পুলিশ সক্রিয় না থাকায় তারা উপায়ন্তর না দেখে মরদেহ দাফন করেছিল। ঘটনার পর থেকে তার জামাতা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করেন।</p> <p style="text-align:justify">শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মতো লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। পরবর্তী যাবতীয় প্রক্রিয়া যথাযথ আইন মেনে করা হবে।</p>