<p style="text-align:left"><span style="font-size:20px"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠের উদ্যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ রবিবার দিনব্যাপী রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির কনফারেন্স রুমে  </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজয় দিবস : নতুন প্রত্যাশা</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, গবেষক,<br /> পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। আলোচনার সারসংক্ষেপ নিয়ে আজকের দুই পাতার এই বিশেষ আয়োজন। গ্রন্থনা ও সমন্বয় করেছেন কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। সহযোগিতা করেছেন তাসীন মল্লিক ও মাসুদ রানা। <strong>ছবি : লুৎফর রহমান</strong>।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংবিধান সংস্কার নয়, এটা নতুন করে লিখতে হবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভারতীয় শাসকগোষ্ঠী ও আওয়ামী লীগ ১০০ বছর ধরে যেসব বয়ান তৈরি করে রেখেছিল, তা আমাদের ঘায়েল করেছে। বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক বয়ান তৈরি করতে হবে। অতীতে বিভিন্ন সংগ্রামে আত্মত্যাগ করলেও <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/1---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />এই দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। একক কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে নতুন বয়ান সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মতামতের সারসংক্ষেপ সংকলন করে এটি তৈরি করতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দিয়েছে নতুন অভিজাত শ্রেণি জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করে। কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণির একদল লোক উৎপাদন করে, আরেকটি দল উৎপাদনে কোনো ভূমিকা না রেখে তা ভোগ করে। এই শ্রেণি শুধু ভোগই করে না, বিদেশে পাচারও করে। এই শ্রেণি সমাজে যত দিন থাকবে, তত দিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। কারণ এরা নিজেদের বলয় গড়ে তোলে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের নেক্সাস তৈরি হয়েছে। সেটি ভাঙতে হবে। তাই রাষ্ট্রে উৎপাদক শ্রেণির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটি সমাধান না করতে পারলে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এক ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে বাহাত্তরের সংবিধান তৈরি হয়েছিল। এই সংবিধানে একটি দেশ চলতে পারে না। সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নতুন সামাজিক চুক্তি করতে হবে, যেটার মাধ্যমে জনগণের বিভিন্ন আকাঙ্ক্ষাকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারব। সেই সংবিধানে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। শুধু আইনের শাসন নয়, সামাজিক ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে ভ্রাতৃত্বভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভারতের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের আগে যেভাবে গোপন চুক্তি হয়েছিল, সেটি নতুন করে ভাবতে হবে। শেখ হাসিনা ও অন্য সরকারগুলোর সময় দেশে যত অসম ও রাষ্ট্রবিরোধী চুক্তি হয়েছে, সেগুলো বাতিলের দুঃসাহস থাকতে হবে। জুলাই আন্দোলন থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এই আন্দোলনে আমাদের মূল শিক্ষা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ক্ষমতা চিরকাল ধরে রাখা যায় না। অভ্যুত্থানের পর নানা সংকটের সৃষ্টি হয়। এগুলো উত্তরণে উদ্যমী নেতৃত্বের প্রয়োজন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="2264" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/19---21-12-24-kk.jpg" style="float:right" width="450" />মুক্তির জন্য আরো বন্ধুর পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিজয় দিবসে আমার অনুভূতি দুই ধরনের। একটি আনন্দের, অন্যটি বিষাদের। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমার মতো অন্য শিক্ষক যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। বাহাত্তর সালে যখন দেশে ফিরে <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="201" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/2---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />এলাম, দেখি অনেক সহকর্মী বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। এই স্বাধীনতা তাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় অর্জন ও গর্বের। আমরা স্বাধীনতা চেয়েছিলাম, কারণ পাকিস্তান আমলে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, কথা বলার অধিকার ছিল না। জনগণের ধারণা ছিল, দেশ স্বাধীন হলে গণতন্ত্র ফিরে পাবে। কিন্তু আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পাইনি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাহাত্তর সালে দেশে ফিরে দেখলাম, আমরা যে গণতন্ত্র ও অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছিলাম, তা বিলীন হয়ে গেছে। মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছে। একদলীয় শাসন কায়েম হলো। রক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হলো। সময়ের ধারাবাহিকতায় নব্বইয়ে একই আকাঙ্ক্ষায় আরেকটি অভ্যুত্থান হলো। এরপর আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হলো। গত ১৫ বছরে অসংখ্য মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার ছিল সারা বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী সরকার। দেশের তরুণসমাজকে আরো অনুপ্রাণিত করতে হবে। আমাদের দেশের তরুণরা শেষ পর্যন্ত এই ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের আরেকটি সুযোগ এসেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাম্য-ন্যায়ের প্রত্যাশার যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে, তা জারি রাখতে হবে। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটি পূরণে আমাদের আরো বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়, তরুণসমাজের নেতৃত্বে আমাদের পথ চলতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভ্যুত্থানে বিজয় আমাদের প্রথম পর্ব। যতক্ষণ পর্যন্ত না জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়, তরুণসমাজের নেতৃত্বে আমাদের পথ চলতে হবে। গণতন্ত্র দিয়ে জনগণের সরকার হয় না, হয় সংখ্যাগরিষ্ঠের সরকার। তাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। তরুণসমাজকে আরো অনুপ্রাণিত করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি উন্মুক্ত করে দিতে হবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মেজর জেনারেল (অব.) জামিল ডি আহসান বীরপ্রতীক </span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মহান মুক্তিযুদ্ধে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমাদের একটি প্রত্যাশা ছিল যে এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে একটি সম্প্রীতির দেশ গঠিত হবে। আমরা চেয়েছিলাম একটি শক্ত নেতৃত্বের অধীনে আত্মপ্রত্যয়ী একটি জাতি গঠিত হবে। স্বাধীনতার পরই <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="201" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/3---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />শাসকদের অবক্ষয়ে সেগুলো হারিয়ে গেছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যে স্বপ্ন দেখেছিলাম তা আর পেলাম না। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর আবার নতুন একটি প্রত্যাশা পাওয়া গেল। মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুটিই আমাদের জন্য বড় অর্জন। এই অর্জন রক্ষা করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই অর্জন রক্ষায় সুষ্ঠু নেতৃত্ব এবং একতাবদ্ধ থাকতে হবে। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর জাতি নিবিড়ভাবে ঐক্যবদ্ধ। ধর্ম ও গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হবে। ভারত আমাদের সম্প্রীতি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গত ১৫ বছরে তাদের তৈরি করা ক্ষমতা কাঠামোর পতনের পর কারা নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের জাতিগত ঐক্য তাদের ভালো লাগছে না। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের জাতিগত বৈচিত্র্যের মধ্যেও সম্প্রীতির বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। গত ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে হওয়া বাংলাদেশের সব চুক্তি জনগণের সামনে উন্মুক্ত করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বর্তমানে রাজনীতির চরিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। রাজনীতিতে এখন বেশির ভাগই ব্যবসায়ী। ফলে ব্যবসাকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক স্বার্থেই রাজনীতির গতিমুখ নির্ধারিত হচ্ছে। এটি বৈষম্য সৃষ্টি করছে, যার বিরুদ্ধে ছাত্ররা অভ্যুত্থান করেছে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। রাজনীতিতে সব শ্রেণি ও পেশার অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। তবে সরকারের পাশাপাশি ছাত্রদের বর্তমান অবস্থা থাকা প্রয়োজন। সরকার যেটা বলতে পারে না, সেটা সমন্বয়ক কিংবা ছাত্র নেতাদের দিয়ে বলানো যায়। এটি দেশের জন্য বেশ ভালো কাজ করছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাদের একটা বিষয় খুব খেয়াল করতে হবে, আবেগ-বিপ্লব আর সরকার পরিচালনা এক জিনিস নয়। পাহাড় ও সমতলের মধ্যে আরো সাম্য প্রয়োজন। সেনাবাহিনী গেছে বিধায় পাহাড় এখনো বাংলাদেশের সঙ্গে আছে। ফলে তাদের সমতলের সঙ্গে আরো কিভাবে সমন্বিতভাবে আনা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p style="text-align:left"><strong><span style="font-size:24px"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ প্রয়োজন</span></span></strong></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী</span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৭২ সালে দেশে বুর্জোয়া সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। এই সংবিধানটি প্রণয়ন করা হয়েছিল এক ব্যক্তির ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য। অথচ যুদ্ধ করেছিল সাধারণ মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের গণমুখী বয়ান তৈরি হয়নি। তাই আমরা বারবার হোঁচট খেয়েছি। সাম্য <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="201" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/4---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্য, তা বাস্তবায়িত হয়নি। সেই অসম্পূর্ণ লক্ষ্য পূরণে ছাত্ররা জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থান করেছে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য থেকে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা সরে আসেনি। অন্তর্বর্তী সরকারের খুব ঘনিষ্ঠভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কাজ করা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা এ জন্যই প্রয়োজন, যেন তাদের থেকে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের অঙ্গীকার আদায় করা যেতে পারে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিচ্ছে, কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন কিভাবে হবে, সে বিষয়টা স্পষ্ট করছে না। রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে সংস্কার প্রত্যাশা করছে, সেটি রাজনৈতিক দলগুলোকেই বলতে হবে। রাজনৈতিক দলেরও সংস্কার করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোতে তৃণমূল পর্যন্ত গণতন্ত্রের চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। দলগুলো নিজেদের মধ্যে কী সংস্কার করবে সেটি জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। ছাত্ররাজনীতি কিভাবে চলবে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় সংস্কার প্রয়োজন। জবাবদিহির বিষয়টি সংবিধানের মধ্যেই আনতে হবে। এ জন্য বর্তমান সরকার সংস্কার কার্যক্রম করছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ দেওয়া প্রয়োজন। অনির্দিষ্টকালের জন্য কোনো সংস্কার চলতে পারে না। বাংলাদেশের এখন কোনো বন্ধু নেই, শত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত। বৃহৎ শক্তির রাষ্ট্রগুলোর ছায়া পড়েছে। আমাদের এমন একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রয়োজন, যে জনগণকে নিয়ে এই চ্যালেঞ্জ প্রতিহত করবে। যে সরকার জনগণের অধিকার নিশ্চিত করবে, জনগণের অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করবে না। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের শিক্ষার্থীরা লড়াই করেছে। এই আধিপত্যবাদ কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের আগে সই করা গোপন চুক্তি থেকেই শুরু। এটি বাড়তে বাড়তে এই পর্যায়ে চলে এসেছে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনে </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবদুল আউয়াল মিন্টু</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৫৩ বছর আগে আমাদের যা প্রত্যাশা ছিল, তা এখনো তেমনই আছে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার তথা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমরা প্রত্যাশা করি। কিন্তু এই প্রত্যাশাটা কে পূরণ করবে? আমি যে সামাজিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা চাই, তা <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="201" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/5---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />আজও দেখিনি। রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক ইতিবাচক না হলে এসব প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব না। আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই, মানবিক মর্যাদা ও সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত থাকুক। রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাদেরই দিতে হবে, যারা বৈষম্য কমাতে পারবে, জনগণের অধিকার যারা নিশ্চিত করবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সমাজে দুই শ্রেণির মানুষের বসবাস। এক শ্রেণির মানুষ সম্পদ সৃষ্টি করছে, যারা সেই সম্পদের পুরো সুবিধাভোগী নয়। অন্য একটি শ্রেণি এই সম্পদ অর্জন করছে এবং বিদেশে সেই সম্পদ পাচারও করছে। দেশের সম্পদের বিলি-বণ্টনে গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন। আমরা বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক সমাজ চাই। এমন রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে, বিনিয়োগ বাড়বে। কারণ আমাদের সমাজে প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ লাখ বেকার সৃষ্টি হচ্ছে। বিনিয়োগ বাড়াতে না পারলে এই বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম মানুষ বৈষম্যের মুখে পড়বে। একজন ব্যবসায়ী বিনিয়োগ করার পর তা ফেরত আসার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কায়েমি স্বার্থবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করতে হবে। জনগণের টাকায় পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠান গত ১৫ বছরে ধ্বংস করা হয়েছে। এগুলো সংস্কার করতে হবে, যেন তারা জনকল্যাণের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে। এ জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রী করে এর ভারসাম্য তৈরি করতে হবে। কারণ সব রাজনৈতিক দলই সুযোগ পেয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। রাজনৈতিক দল যেন জনগণের সেবার মানসিকতা থেকে বিচ্যুত না হয়, সে জন্য সংস্কার প্রয়োজন। আইনের শাসনের পরিবর্তে এখন আইনের দ্বারা শাসন চলছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা প্রশাসনের পরিবর্তে সুশাসন চাই।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমরা প্রকৃত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। এই দেশ যিনি স্বাধীন করেছেন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শেখ মুজিব, তাঁর হাতেই দেশের সংবিধানকে ক্ষমতার হাতিয়ার বানানো হয়েছে, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৩০ লাখ শহীদ এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/6---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />বুদ্ধিজীবীদের আত্মদানের পরও আমাদের অর্জন বলতে কিছুই নেই। এটি অনুধাবন করা খুবই জরুরি। ৫৩ বছর পর এসে আমরা দেখছি, সংস্কার করার জন্য সব কিছু রয়ে গেল। তাহলে এত দিন আমরা কী করেছি? বারবার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণকে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে হচ্ছে। এবারের জুলাই অভ্যুত্থানে যে ঐক্য অর্জিত হয়েছে, যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেগুলো হাতছাড়া করা যাবে না। যখন সন্তু লারমাদের বাঙালি হয়ে যাওয়ার আহবান জানানো হয়েছিল, তখন থেকেই বিভাজনের রাজনীতি শুরু। অথচ প্রয়োজনে বাংলাদেশের সব মানুষ একত্র হয়ে অভ্যুত্থান করে। এ জন্যই সব ব্যর্থতার মধ্যেও আমাদের অর্জন আমরা বাংলাদেশি বলে নিজেদের পরিচয় লিখি। দেশের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহবান থাকবে, রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধের বিষয়টিতে নজর দিন। ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে আবার প্রশাসনিক চাকরির মাধ্যমে ক্ষমতার কাছে থাকার প্রবণতার বিরুদ্ধে মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে। এই প্রবণতার মধ্যেই সব সংকটের মূল লুকিয়ে আছে। এই প্রবণতাই শেখ হাসিনার মতো স্বৈরশাসক এবং আজিজ-বেনজীরের মতো প্রশাসক তৈরি করেছে। আমাদের সন্তানরা নিজেদের জীবন দিয়ে এই স্বৈরাচারদের বিদায় করেছে। তবে এর অবসান করতে হবে, কতবার শিক্ষার্থীদের প্রাণ দিতে হবে?</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈচিত্র্যের নামে বিভাজন এবং পরিবর্তনের নামে ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। এই বিভাজনের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর যেভাবে ঐক্য তৈরি হয়েছিল, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাঙালি হয়ে যাওয়ার</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বিরুদ্ধে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ঐক্য হয়েছিল। এসব থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হ্বে। স্বৈরাচার যেন ফিরে আসতে না পারে তার জন্য জনগণের ক্ষমতা সুসংহত করতে হবে। প্রত্যাশিত পরিবর্তন যতটুকু দরকার, এ জন্য সবাইকে নিয়ে ডায়ালগ করতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্বকে সামনে রেখে সব মতকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মতৈক্যের জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একক উন্নতি নয় সামষ্টিক উন্নতি হতে হবে মূলমন্ত্র</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছর পর আমাদের দেশটি পরিণত সময়ে থাকার কথা থাকলেও এখন দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। যাদের এটি রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল, তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে, আমরা ব্যক্তিগত লাভের আশায় দেশের <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/7---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি ভুলে গেছি। তাই দেশ বারবার স্বৈরাচারের কবলে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারের হাতে ধ্বংস হয়েছে। চলচ্চিত্রশিল্পটি এতটাই রুগ্ণ হয়েছে যে, এখানে আশু সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কৃতির উন্নয়নে কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, একাডেমিক ফ্যাসিলিটির অবস্থা খুবই দুর্বল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নাটক, চলচ্চিত্রের জন্য খোলা বিভাগগুলোয় নাকি বেকারের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। জ্ঞান ও মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা না হওয়ায় এমন দুর্দশা, কারণ নাটক ও চলচ্চিত্র কোনো চাকরি নয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিগত স্বৈরাচারের আমলে বড় বড় দালান হয়েছে, স্টুডিও হয়েছে, কিন্তু সেগুলো ব্যবহারের মানুষ তৈরি হয়নি। চলচ্চিত্রে কলাকুশলীদের মেধা লালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্বউদ্যোগে যাঁরা ভালো কাজ করেছেন, তাঁদের মূল্যায়ন করা হয়নি। চলচ্চিত্রের সোনালি যুগ ফেরাতে মেধাভিত্তিক বরাদ্দ লাগবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রবীণ প্রজন্মের অভিজ্ঞতা এবং নতুন প্রজন্মের উদ্যমের মধ্য দিয়ে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। একক উন্নতি নয়, সামষ্টিক উন্নতি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই চিন্তাটি নতুন প্রজন্মের মধ্যে বপন করতে হবে। উন্নয়নের লক্ষ্য হবে পরিবার ও গোষ্ঠীর জন্য তথা সামষ্টিক উন্নয়ন। বিগত ১৫ বছরে আমরা দেখলাম, বিদ্যমান ব্যবস্থা এমন ক্ষমতাকাঠামো তৈরি করেছে, যেখানে ব্যক্তিস্বার্থে ক্ষমতার অনধিকার চর্চা করে। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করেছে বেনজীর-বিপ্লবের মতো মানুষেরা, যারা ক্ষমতা পেয়ে জনগণকে নিপীড়ন করেছে। এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করতে হবে, যেন ক্ষমতা অপব্যবহারের সুযোগ আর কেউ না পায়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে পরিবর্তনের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রে জনগণের অংশীদারি নিশ্চিতে সংসদে প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। সংসদের উচ্চকক্ষ থাকতে হবে, যেখানে শিক্ষক, ডাক্তার, বুদ্ধিজীবী, শ্রমিক ও বিশেষজ্ঞরা দেশ গঠনে ভূমিকা রাখবেন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাতীয় সংসদে ৩৩ শতাংশ নারী হতে হবে নির্বাচিত </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নতুন বাংলাদেশে সবার প্রথমে আমি রাজনীতিতে এমন একটা ব্যবস্থা চাই, যেখানে হাজার চেষ্টা করেও কেউ একচ্ছত্র স্বৈরাচারী ক্ষমতা আর ব্যবহার করতে পারবে না। রাজনৈতিক ব্যবস্থায় যদি সংস্কার না আনতে পারি, তাহলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে। একটি <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/9---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />বিষয় মাথায় রাখতে হবে, ক্ষমতা কখনোই এক ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত হতে দেওয়া উচিত নয়। আমরা দেখেছি, একই ব্যক্তি একাধারে দলের প্রধান, পার্লামেন্টের প্রধান ও নির্বাহী প্রধান। এই জায়গাটাতে সংস্কারের মাধ্যমে তিন ব্যক্তিকে আলাদা করতে হবে। সংবিধানের যে পরিবর্তন আসছে, সেখানে নিশ্চিত করতে হবে যেখানে তিন ব্যক্তি আলাদা হবে। যেখানে ক্ষমতা ভাগ হবে। আমি বিশ্বাস করি, ক্ষমতা বিভাজনের জন্য আমাদের দেশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর আগামী নিশ্চিত করতে হলে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইন এখন সময়ের দাবি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এবারের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নারীরাও অসম সাহস নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন, তাঁরা অংশ নিয়েছেন। যদি তাঁরা না আসতেন, তাহলে আজকের বিপ্লব কতটুকু সার্থক হতো তা নিয়ে আমি সন্দিহান। সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসন বাতিল করতে হবে। মোট আসনের ৩৩ শতাংশ আসনে নারী আসতে হবে। এটি করতে না পারলে নারীরা পিছিয়ে পড়বেন। তরুণ নেতৃৃত্ব ছাড়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা এগোবে না। গ্রাম থেকে নেতৃত্ব বাছাই করে আনতে হবে। দলগুলোর গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে গ্রামের নেতৃত্ব আনতে হবে। আমরা দেখছি যে রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন দফা ও দাবি দিচ্ছে। কিন্তু দলের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন কিভাবে আনবে, সেটি বলছে না। গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন না এলে নতুন নেতৃত্ব কিভাবে আসবে? আমি সন্ত্রাসমুক্ত ছাত্ররাজনীতি চাই। নারী হিসেবে প্রতিটা জায়গায় সমান অধিকার চাই। এই অধিকার যেমন ঘোমটা দেওয়ার, তেমনি ঘোমটা ছাড়া চলার অধিকার। সাংস্কৃতিক আধিপত্য চাই না। আমি চাই না আমার ওপর কারো কর্তৃত্ব আসুক। যেই কর্তৃত্ব রাষ্ট্রের আবরণের মধ্য দিয়ে একজন নারী কিভাবে চলবে তা শিখিয়ে দেবে, সেই শিক্ষা চাই না।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন রক্ষায় জাতিগত ঐক্য তৈরি করতে হবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর দীর্ঘ ৫৪ বছর আমরা পার করেছি। এর মধ্যে বিগত সাড়ে ১৫টি বছর আমরা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মধ্যেই কারারুদ্ধ ছিলাম। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের মুক্তি ও নতুন সম্ভাবনার দ্বার <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/10---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />খুলে গেছে। মানুষ তার চির আকাঙ্ক্ষিত মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। বিগত স্বৈরাচার যা কিছু গোপন করেছিল, তা আজ আমরা সবাই মিডিয়ার কল্যাণে জানতে পারছি। মুক্তিযুদ্ধের পর আবারও এ দেশের মানুষ শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পেয়েছে। এই অর্জনগুলো রক্ষায় আমাদের জাতিগত ঐক্য তৈরি করতে হবে। ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের রক্তভেজা অর্জনগুলোকে কাজে লাগাতে আমাদের হতে হবে সুস্থির লক্ষ্যের যাত্রী।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন প্রজন্ম খুবই সচেষ্ট, তাদের এ চেতনা সত্যিই বৈচিত্র্যপূর্ণ। এই প্রজন্ম যেকোনো অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাদের এই প্রাণবন্ত চেতনার সঙ্গে দেশের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করতে পেরেছে, মানুষের মধ্যে দেশপ্রেমের উদ্ভব ঘটেছে। দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবার একত্রিত চিন্তার বাস্তবায়ন ঘটছে। ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী-নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছে। সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরু, এভাবে বিভাজন করাটা বাংলাদেশের একজন নাগরিকের জন্য বিব্রতকর। পাহাড়ি ও বাঙালি, এভাবে বিভাজন করার জন্য বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়নি। আমি মনে করি, সার্বভৌম-স্বাধীন দেশের মধ্যে এসব বিভাজনের রাজনীতিকে আর ফিরতে দেওয়া যাবে না। প্রিয় মাতৃভূমিকে মনের মতো করে গড়ার উপযুক্ত সময় এখন এসে গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একজন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞজন। মানুষকে একটি সম্ভাবনার দেশ দিতে চান তিনি। বিগত ১৬ বছরে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশটাকে সংস্কার করতে তাঁকে সময় দিতে হবে। এই সংস্কারগুলোর মধ্য দিয়ে দেশে সম্প্রীতির আবরণ তৈরি হবে। আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলনে সব দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের দেশের ৫১টি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ কথা বলবে। এই দেশের সম্প্রীতির অভিজাত্য সম্পর্কে তারা জানবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:24px"><strong><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেশীর দাদাগিরি আচরণ আমরা মোটেও প্রত্যাশা করি না</span></strong></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান </span></span></strong></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মহৎ অর্জন। ২৪ বছরের মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল। সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য ছিল সেই মুক্তিযুদ্ধের। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে গণতান্ত্রিক সমাজ ও <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/11---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />রাষ্ট্র বিনির্মাণ, একটি শোষণ ও বঞ্চনাহীন সমাজ তৈরি। আমাদের সেই মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটা নিপাট জনযুদ্ধ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। এটার মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্থান পেয়েছিল। ৫৪ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তা বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতা অর্জনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সব সময়ই উন্নয়নের কথা বলেছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন সাধারণ মানুষ কখনোই পায়নি। স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পরিবর্তন করে রাষ্ট্রপতিশাসিত একদলীয় সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বাংলাদেশে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু এরশাদ সরকার এসে তা ভূলুণ্ঠিত করে। রক্ত দিয়ে মানুষ গণ-অভ্যুত্থান করেছিল। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পথচলা শুরু করেছিলাম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এর মধ্য দিয়ে টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার যাত্রাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। চব্বিশের অভ্যুত্থানে সেই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার পতন হয়েছে। শ্বেতপত্র কমিটি ও গুম কমিশনের প্রতিবেদনে গত সরকারের নানা তথ্য উঠে এসেছে। এখানকার তথ্যগুলো শিহরিত করে তুলছে সাধারণ মানুষকে। আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজ নিজ জায়গা থেকে যাতে সবাই টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে পারে। আমরা এমন রাষ্ট্রকাঠামো চাই যেখানে আমার কষ্টার্জিত অর্থ শাসকগোষ্ঠী পাচার করে বিদেশে স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা না করতে পারে। আমরা মানবিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। ন্যায়ভিত্তিক সুষ্ঠু সমাজ চাই।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নির্বাচন নিয়ে বেশি অপেক্ষা করাটা ঠিক হবে না</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সফলতার পরও আমরা আমাদের মূল লক্ষ্যটিতে দৃষ্টি রাখতে পারছি না। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর আমরা যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম, এবারও তাই ঘটছে। অভ্যুত্থানের পর সব দাবিদাওয়া নিয়ে আলাপ করে তা <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/12---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। সংস্কার বিলম্বিত হলে মানুষের মধ্যে হতাশা দেখা দেবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নতুন প্রত্যাশার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় আনতে হবে। বিগত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি, জাতীয় থেকে স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন হয়েছে ভোটারহীন। দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে বেশি অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান থাকবে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার। শেখ হাসিনা এক ব্যক্তি এক দলের ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সংবিধানে ইচ্ছামতো কাটাছেঁড়া করেছিলেন, কোনো লাভ হয়নি। সংবিধানকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এটি বেশি কাটাছেঁড়া করা ঠিক হবে না। যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সংস্কার করতে হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে চলতে দিতে হবে, এ ছাড়া ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আগের সরকারগুলো যা করেছে, তার পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে স্বৈরশাসনের বিচার করতে হবে। একদলীয় বিচারক ও আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া ঠিক হবে না। নইলে নতুন এই বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। বিচার বিভাগের সংস্কার খুবই জরুরি। বিচারক নিয়োগের সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে শেখ হাসিনা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বাতিল করেছিলেন। বিচারপতিদের অনিয়মের বিষয়ে এই কাউন্সিল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত। এটি বাতিল করে শেখ হাসিনা বিচার বিভাগকে পরাধীন করেছেন। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিচারক নিয়োগ দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের প্রভাবমুক্ত করতে উদ্যোগ নিতে হবে। জনগণের মতামত দেওয়ার এবং রাষ্ট্রকে জনগণের কাছে জবাবাদিহির আওতায় আনতে হবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকারি কর্মচারীদের রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবু আলম শহীদ খান</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈষম্যহীন মানুষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি হবে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেই প্রত্যাশা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সংবিধানে প্রস্তাব ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন একটি সুষম সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/13---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সাম্য, স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু গত ৫৪ বছরে কী পেলাম? একাত্তর থেকে চব্বিশের এই পর্যন্ত বলতে গেলে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো করে বলতে হয়, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কেউ কথা রাখেনি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। এমন রাজনৈতিক কাঠামো চাই, যেখানে ফ্যাসিবাদ যেন ফিরে আসতে না পারে। সব খারাপ কাজ তারা করেছে। সে জন্য সংস্কার ও নির্বাচনের কথা হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। আমরা মনে করি, প্রত্যাশিত সংস্কার হবে। সঙ্গে নির্বাচনের আলোচনাও চলবে। নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন চাই। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট যেন গণনা করা হয়। ভোট কেন ভালো হয় না, তার পরিষ্কার উত্তর</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যে দল ক্ষমতায় থাকে তারা এসব হতে দেয় না। তারা পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। সিভিল আইন বা গণকর্মচারী আইন এমন হতে হবে, যেখানে মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতি ও বদলি হবে, পদায়ন হবে। কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় যেন এগুলো করা না হয়। প্রজাতন্ত্রের গণকর্মচারীদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। গণকর্মচারী, বিশেষ করে বিচারক, পুলিশ, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ঠিকমতো গড়ে তুলতে হবে। তাদের ব্যবহার করা হয়েছে বলেই একটি কমিশন একটি বাহিনীকে তুলে নেওয়ার বা বন্ধ করার সুপারিশ বা প্রস্তাব করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো নতুন নতুন বাহিনী বানিয়েছে প্রতিপক্ষকে খুনের জন্য। আমরা তেমন কোনো বাহিনী চাই না।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আয়নাঘর আর যেন দেশে ফিরে আসতে না পারে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাসির আলী মামুন</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিজয় দিবসকে ভূলুণ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। সমুদ্রসীমা নিয়ে আমরা কথা বলছি না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমুদ্রসীমার বিষয়ে কয়েক শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। সেটির অগ্রগতি কত দূর, সে বিষয়টা জানতে হবে। কোনোভাবেই সমুদ্রসীমার <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/14---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />বিষয়টি ভুললে চলবে না। এই পূর্ণাঙ্গ বাংলাদেশ নিয়ে সুখ-সমৃদ্ধির বাংলাদেশ দেখতে চাই। এ জন্য সবাইকে আওয়াজ তুলতে হবে। ১৬ বছরে স্বৈরাচার তৈরি হয়নি। এর বহু আগে তৈরি হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চাই। ১৯৭৪ সালে রক্ষীবাহিনী যাত্রা শুরু করে। ওই বছরের ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ছিল। ওই দিন মিন্টো রোডে মিছিল হয়। সেই মিছিলে গুলি করে ২৫ জনকে হত্যা করা হয়। আমি ক্যামেরা নিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আ স ম আবদুর রব, মেজর জলিলসহ ওই সময়ের বেশির ভাগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাদের দেশে উধাও হওয়ার রাজনীতি রয়েছে। আমাদের দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যাঁদের অবদান ছিল, পরিকল্পিতভাবে তাঁদের ইতিহাস থেকে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। মওলানা ভাসানী, কমরেড মণি সিংহ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, মেজর জিয়াউর রহমান, কাদের সিদ্দিকীসহ অসংখ্য মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অগ্রগামী ছিলেন। কিন্তু বই থেকে তাঁদের ইতিহাস উধাও করে দেওয়া হয়েছে। শুধু ইতিহাস থেকে নয়, অনেক মানুষকে গুম করা হয়েছে। আয়নাঘর বহু আগে থেকেই তৈরি হয়েছে। আমাদের ভেতরে নৈরাজ্যবাদ, স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ রয়েছে।<br /> নিজেদের এই ফ্যাসিবাদ দূর করতে<br /> হবে। প্রত্যাশা থাকবে, ভবিষ্যতে যেন কোনো আয়নাঘর না হয়। পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে গেলে মালয়েশিয়া<br /> থেকেও সমৃদ্ধ দেশ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ন্যায্যতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি হতে হবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাহসীন রিয়াজ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একাত্তর আসলে আমাদের মৌলিক চিন্তার জায়গা। একাত্তর সালে আমাদের পথচলা শুরু। সেই একাত্তর থেকেই আমাদের ভাবনাগুলো শুরু। সেই ভাবনা পূর্ণতা পেয়েছে ২০২৪ সালে এসে। একাত্তরের স্বাধীনতাসংগ্রামে মানুষ জীবন দিয়েছে দেশকে ঐক্যবদ্ধ <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/15---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />করতে; কিন্তু তারা জীবন দিলেও বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতি আছে। বাংলাদেশে আমরা স্বৈরাচারিতা দেখেছি। আমরা আয়নাঘর দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমাদের বোনদের ওপর হামলা দেখেছি, অসংখ্য মা-বাবার কান্না দেখেছি, বাবাদের আহাজারি দেখেছি, গুম-খুন দেখেছি। সত্যিকার অর্থে একাত্তর পূর্ণতা পায়নি। আমাদের গুরুজন যাঁরা আছেন, তাঁরা সবাই একমত ছিলেন বিধায় আমরা চব্বিশে স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে পেরেছি। একটা রাষ্ট্রে ১৬ বছর ধরে এমন শাসনব্যবস্থা ছিল, যেখানে যারাই সঠিক কথা বলেছে, তাদের বিভাজনের মাধ্যমে আলাদা করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। কাউকে কিছু বলতে দেওয়া হয়নি। আমরা জাতিগতভাবে সংঘবদ্ধ, জাতিগতভাবে আমরা স্বাধীনতাকামী, সেটির জন্যই এই চব্বিশের বিজয় অর্জিত হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমরা বিভাজনের রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি চাই না। তবে বিভাজনের রাজনৈতিক প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আগামীর বাংলাদেশে যেন আর কোনো স্বৈরাচার না আসে। কালের কণ্ঠ এই দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট তাড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। আমি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বলতে চাই, সাবেক পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে যেভাবে কলম ধরেছে এই পত্রিকা, সেটি প্রশংসার দাবি রাখে। আমি মনে করি, সামনে থেকেই গণমাধ্যম হিসেবে কালের কণ্ঠ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। সত্যিকার অর্থে প্রতাপশালী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম যে দাঁড়াতে পারে, সেটি কালের কণ্ঠ দেখিয়েছে। নিজের সুবিধার জন্য কোনো স্বৈরাচারকে যেন প্রশ্রয় না দিই। বাংলাদেশের পরিচয়ে আমরা বড় হতে চাই।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="2137" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/20---21-12-24-kk.jpg" style="float:right" width="450" />পাহাড়ে অশান্তির জন্য একমাত্র ভারতই দায়ী</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">থোয়াই চিং মং শাক</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত আমাদের দেশ নিয়ে প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ে যে অশান্তি চলছে তার জন্য একমাত্র দায়ী হলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। তারা আমাদের আস্থা নষ্ট করছে। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে না। ভারত বাংলাদেশে অস্থিতিশীল <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="202" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/16---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। তাদের এই প্রপাগান্ডা রুখতে হলে ছোট ছোট জাতিগোষ্ঠীর কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে প্রচার করতে হবে। এমন বাংলাদেশ চাই, সেখানে ধর্মকে নিয়ে টানাটানি করা হবে না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সব জাতিসত্তার নাম উল্লেখ করে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। জাতি, বর্ণ, ধর্ম থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের প্রশ্নে সবাই এক, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না, ভেদাভেদ থাকবে না। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত আমাদের দেশ নিয়ে সংখ্যালঘু ইস্যু তৈরি করছে। অথচ আমরা সংখ্যালঘু বলতে চাই না। ভারত যেভাবে আমাদের নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একজন মাওলানা হাজারবার যখন বলে বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে না, কোনো হিন্দু বা বৌদ্ধ ভাইকে আক্রমণ করা হচ্ছে না। তার হাজারবার আওয়াজের চেয়ে আমার এক আওয়াজ যথেষ্ট। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছোট ছোট জাতিগোষ্ঠীর কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিতে পারলে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ইমেজ ভালো থাকবে। এমন বাংলাদেশ চাই, সেখানে ধর্মকে নিয়ে টানাটানি হবে না। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকর হতে শেখায়। ব্রিটিশ শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। যে সংস্কার চাকর হতে নয়, মালিক হতে শেখাবে। আমি শিখতে পারি না উদ্যোক্তা হতে, ভালো ডাক্তার হতে কিংবা অন্য পেশায় ভালো ও দক্ষ হতে। ২০২৩ সালে ঔষধ আইনের কারণে ছোট্ট উদ্যোক্তা চিকিৎসাক্ষেত্রে আসতে পারছেন না। এই আইনটির সংস্কার করা উচিত।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমরা স্বপ্ন দেখছি একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশের</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কাদের গনি চৌধুরী</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাদের জাতীয় জীবনে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিজয় দিবস</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> অবিস্মরণীয় ও গৌরবময় দিন। সুদীর্ঘ ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর আমরা প্রিয় মাতৃভূূমি বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সক্ষম <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="201" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/17---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />হয়েছিলাম। জাতীয় ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হিসেবে যুগ যুগ ধরে এই দিনটি আমাদের প্রেরণা জুগিয়ে আসছে। বাংলাদেশ আজ যেকোনো সময়ের তুলনায় ভিন্ন রকমের সময়ের সাক্ষী। ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা ফ্যাসিবাদের উত্খাত শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশের তরুণসমাজের আপসহীন বিচক্ষণতা ও ঈর্ষণীয় নেতৃত্বে লাখো জনতা রাজপথে নেমে নির্ভয়ে লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে। মাত্র এক মাসে দীর্ঘ ১৫ বছর জাতির ঘাড়ে চেপে বসা স্বৈরাচারকে তারা তাড়িয়েছে। তাই ২০২৪ সালের বিজয় দিবস নতুন সংকল্প ও নতুন প্রত্যয় নিয়ে উদযাপিত হবে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এটাই সবার প্রত্যাশা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">৭১, তারপর </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২৪। গত ৫ আগস্ট ২০২৪-এ দ্বিতীয় বিজয় অর্জনের পর আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব্বপূর্ণ সময় পার করছি। আমরা কি আবারও সেই গুমরাজ্যে ফিরে যাব, আবারও ভোটাধিকারহীন থাকব? নাকি একটা বৈষম্যহীন মানবিক ও আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশ গড়তে পারব? সেই বিষয়টি সুরাহার প্রসঙ্গ এসে গেছে। ১৯৭১ সালে আমরা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। কিন্তু সেই বিজয়ের স্বাদ কি জনগণ পেয়েছে? আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন থাকল। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর ২০২৪ সালে এসে আমাদের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তার জন্য রক্ত দিতে হলো। আজ আমি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সব শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে, যাঁদের আত্মত্যাগে আমাদের এই বাংলাদেশ। স্মরণ করছি জুলাই আন্দোলনে আহতদের, যাঁরা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা ফ্যাসিস্টদের তাড়াতে গিয়ে অঙ্গ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:24px"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণ-অভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত বিজয়টাকে টেকসই রূপ দিতে হবে</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হাসান হাফিজ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আপনারা জানেন, একটা নতুন তাৎপর্য এবং নতুন প্রেক্ষাপটে এবারের বিজয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি। বৈদেশিক শক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে জাতির ঘাড়ে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো চেপে বসা এবং গুম-খুনের ঘৃণ্য সংস্কৃতি চালু করা ফ্যাসিস্ট <img alt="বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়" height="201" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/21-12-2024/8-9/18---21-12-24-kk.jpg" style="float:left" width="160" />শাসকের লাগাতার শোষণে প্রিয় মাতৃভূমির গণতন্ত্রই ধ্বংস হয়নি, গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ও মূল্যবোধও একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। সীমাহীন লুটপাট আর ব্যাপক অর্থপাচার দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে একেবারে নড়বড়ে বানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার অতুলনীয় ত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের প্রত্যাশাও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। সংগত কারণেই এখন দেশব্যাপী নানামুখী সংস্কারের একটা ঢেউ চলছে। নানামুখী দাবিদাওয়াও প্রতিদিন উচ্চারিত হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়; একদিকে নির্বাচন, অন্যদিকে সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী ফ্যাসিবাদী দোসরদের ষড়যন্ত্র</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সবই মোকাবেলা করতে হচ্ছে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে। এ ছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কাঙ্ক্ষিত গণ-অভ্যুত্থানে নির্মম ফ্যাসিবাদের নিগড়ে বন্দি থাকা দেশবাসীর প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। এটাই এখন প্রিয় স্বদেশভূমির বাস্তবতা। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অকুতোভয় ছাত্র-জনতার দুনিয়া কাঁপানো সফল গণ-অভ্যুত্থানের সেই ফসল যেকোনো মূল্যে আমাদের ঘরে তুলতে হবে। সুস্থির লক্ষ্যের যাত্রী হিসেবে এই গণ-অভ্যুত্থানের ফসলকে টেকসই রূপ দিতে হবে। গণদাবিকে এক পাশে ঠেলে দেওয়ার সুযোগও নেই। তাই গণ-অভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত বিজয়টাকে সংহত রূপ দেওয়ার কৌশল নির্ধারণ এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামীর বাংলাদেশে কী কী নতুন প্রত্যাশা হতে পারে, সেই লক্ষ্যে কালের কণ্ঠ </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিজয় দিবস : নতুন প্রত্যাশা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে। আমাদের এই আয়োজনে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের সময় দেওয়ার জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>