বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজনৈতিক নেতারা এসব দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাঁরাই সবচেয়ে বেশি খরচ করছেন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। যদিও সরকার পতনের পর কয়েক মাস এই হার কমেছিল। দেশে-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নানা অফার দিয়ে থাকে, সে কারণে প্রতিবছরের ডিসেম্বরেই কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ে। কার্ডের মাধ্যমে ফরেন কারেন্সি লেনদেন বেড়েছে, এর অন্যতম কারণ হলো এই মাসে বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। অনেকেই তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বিদেশে ঘুরতে যান। এ ছাড়া বর্তমানে ডলারের প্রবাহ স্বাভাবিক হওয়ায় লেনদেনের সীমা আগের জায়গায় নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত জুলাই মাসজুড়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও সেটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংহিসতার জেরে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ দেশের ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ৪৪টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে দেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন তিন হাজার ২১৫ কোটি টাকা। নভেম্বরে যার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ডিসেম্বর মাসে বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ওই মাসে দেশটিতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করা হয়েছে ৭৪ কোটি টাকা। নভেম্বরে যার পরিমাণ ছিল ৬৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে ৮.৮২ শতাংশ। আর মোট খরচের ১৫.১২ শতাংশই দেশটিতে খরচ করা হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। এখানে খরচ করেছেন ৬৪ কোটি টাকা। যা মোট খরচের ১৩.১৮ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। সেখানে ব্যয় করেছেন ৪১ কোটি টাকা। আর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। সেখানে খরচ করেছেন ৪০ কোটি টাকা। আগের মাসে যা ছিল ৪৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। গত জুলাইয়ের পর থেকেই ভারতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমতে থাকে।

গত কয়েক মাসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সাধারণত দেশের বাইরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন ভারতে; কিন্তু গত জুলাই মাসে তার ব্যতিক্রম দেখা গেছে। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে জুলাইয়ে দেশটি ভিসা কার্যক্রম সীমিত করে ফেলে। এর ফলে জুলাইয়ে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা বা ভ্রমণের জন্য ভারত যেতে পারেননি অনেকেই। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এ কারণেই দেশটিতে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের খরচ কমেছে বলে মনে করছেন ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা। বিদেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন ডিপার্টমেন্ট স্টোরে। ডিসেম্বরে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে খরচের পরিমাণ ছিল ১৫৩ কোটি টাকা। বিদেশের মাটিতে ক্রেডিট কার্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবহার ছিল রিটেইল আউটলেট সার্ভিসে।

ওয়ালটন : ওয়ালটনের ডিপ ফ্রিজ কিনে মিলিয়নেয়ার হলেন সিলেটের কানাইঘাটের কাওসার আহমেদ। এর আগে সিজন-২২-এ ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নেয়ার হয়েছেন ফরিদপুরের কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল ফকির, নেত্রকোনার খোকন মিয়া ও ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলী মর্তুজা।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক : শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৯২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ এতে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ও মহিউদ্দিন আহমেদ, পরিচালক ড. আনোয়ার হোসেন খান, মো. সানাউল্লাহ সাহিদ, মো. আব্দুল বারেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।