জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থন হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল। এতে কমে যায় রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ। তবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ। এর পরই রেকর্ড করে রেমিট্যান্সে।
জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সমর্থন হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিল। এতে কমে যায় রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ। তবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ। এর পরই রেকর্ড করে রেমিট্যান্সে।
দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্সে নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাঁরা এক মাসে ৩২৯ কোটি ডলার বা ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যোবিদায়ি মাস মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসছে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা এক হাজার ২৯৫ কোটি টাকা করে।
তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সদ্যোবিদায়ি মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ১৭৮ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেড়ে যায় প্রবাস আয়ের গতি।
এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২.৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। সে রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ল মার্চ মাস। আর এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা আট মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর সর্বশেষ মার্চে এলো ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়।
মার্চ মাসের মতো একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এর আগে করোনাকালে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২.৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সেই রেকর্ড ভাঙে ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস বাদে বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
প্রবাস আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল, তা অনেকটা কেটে গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, ডলারের দাম নিয়ে যে অস্থিরতা ছিল তাও কিছুটা কমে এসেছে। ব্যাংকগুলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার মধ্যেই প্রবাস আয় কিনছে।
সম্পর্কিত খবর
এআই দিয়ে সম্ভব নয় এমন কাজের জন্যই শুধু কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শপিফাইয়ের সিইও টবি লুটকে। নতুন কর্মী চাওয়ার আগে বিভাগগুলোকে হাতে-কলমে দেখাতে হবে যে এআই দিয়ে কোন কাজটি তারা করতে পারছেন না। সম্প্রতি কর্মীদের উদ্দেশে লেখা একএক্স পোস্টে এ কথা জানান। টবি লুটকের মতে, সঠিকভাবে এআই ব্যবহার করাও একটি দক্ষতা।
এবার বাংলাদেশে আসছে টেকনোর নতুন স্মার্টফোন ক্যামন ৪০ ও ক্যামন ৪০ প্রো। এই ডিভাইস দুটিতে রয়েছে শক্তিশালী এআই ফিচার, ওয়াটারপ্রুফ রেটিং, ৫২০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং ১২০ হার্জের ব্রাইট অ্যামোলেড ডিসপ্লে। টেকনো ক্যামন ৪০-এর দাম ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য)। আর ক্যামন ৪০ প্রোর দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য)।