(আয়াত : ১৫)
৫. রাসুল (সা.)-এর জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (আয়াত : ২১)
৬. রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যে দ্বিগুণ পুরস্কার। (আয়াত : ৩১)
৭. পরপুরুষের সঙ্গে কোমল ভাষায় কথ বোলো না। (আয়াত : ৩২)
৮. তোমরা ঘরে অবস্থান কোরো। (আ. : ৩৩)
৯. মুহাম্মদ (সা.) শেষ নবী।
(আয়াত : ৪০)
১০. সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর জিকির কোরো। (আয়াত : ৪১-৪২)
১১. আমন্ত্রণকারীর অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ কোরো না। (আয়াত : ৫৩)
১২. নারীদের কাছে চাইতে হবে আড়াল থেকে। (আয়াত : ৫৩)
১৩. রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ কোরো। (আয়াত : ৫৬)
১৪. মানুষকে কষ্ট দিয়ো না। গুজব রটিয়ো না। (আয়াত : ৫৮ ও ৬০)
১৫. সদা সত্য কথা বলো। (আয়াত : ৭০)
সুরা : সাবা
মহান আল্লাহর হামদ পাঠের মাধ্যমে এই সুরা শুরু করা হয়েছে। এরপর এ কথার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে কিয়ামত অবশ্যই কায়েম হবে। তারপর দাউদ ও সুলায়মান (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। পাখি ও পাহাড় দাউদ (আ.)-এর সঙ্গে মহান আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করত। আর বাতাস সুলায়মান (আ.)-এর অধীন ছিল। এরপর ইয়েমেনের সাবা নগরীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুশরিকদের ঈমানের দাওয়াত দিয়ে সুরাটি শেষ করা হয়েছে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. আল্লাহর আয়াত মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা কোরো না। (আয়াত : ৫)
২. জ্ঞানীরা কোরআনের সত্যতা নিয়ে সংশয় রাখে না। (আয়াত : ৬)
৩. প্রাকৃতিক দুর্যোগ আল্লাহর অবাধ্যতার ফল। (আয়াত : ১৬)
৪. কারো পাপের দায় কেউ বহন করবে না। (আয়াত : ২৫)
৫. মহানবী (সা.) মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা। (আয়াত : ২৮)
৬. মানুষের জীবনকাল নির্ধারিত। (আয়াত : ৩০)
৭. বিত্তশালীরাই দ্বিন থেকে বেশি বিমুখ। (আয়াত : ৩৪)
৮. আল্লাহ সত্যের দ্বারা অসত্যের বিলোপ ঘটান। (আয়াত : ৪৮)
সুরা : ফাতির
এই সুরায় সৃষ্টিজগতের বিভিন্ন বস্তু উল্লেখ করে আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। ওহি নিয়ে ফেরেশতাদের আগমন বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের অন্ধ ও চক্ষুষ্মানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। বৃষ্টি, ফল-ফসল, কয়েক স্তরে মানবসৃষ্টি, নোনা পানি থেকে সাগরের মিঠা পানি পৃথক করা, রাত-দিনের একের পর এক আগমন, চন্দ্র-সূর্যের নির্দিষ্ট নিয়মের অধীন হওয়া, হরেক রকম বৃক্ষ ও প্রাণী ইত্যাদি বর্ণনা করে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। এই সুরায় মহানবী (সা.)-কে বাশির ও নাজির তথা সুসংবাদদানকারী ও সতর্ককারী ঘোষণা করা হয়েছে। মূর্তিপূজার অসারতা বর্ণনা করে সুরা শেষ করা হয়েছে।
আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত
১. আল্লাহর অনুগ্রহ স্বীকার কোরো। (আয়াত : ৩)
২. সন্তান আল্লাহর অনুগ্রহ। (আয়াত : ১১)
৩. সমুদ্রে আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান কোরো। (আয়াত : ১২)
৪. আলো আর আঁধার কখনো সমান নয়। (আয়াত : ১৯-২১)
৫. জ্ঞানীরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে। (আয়াত : ২৮)
৬. দান করলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। (আয়াত : ৩০)
৭. কুফরি আল্লাহর ক্রোধ বৃদ্ধি করে। (আয়াত : ৩৯)
৮. আল্লাহ পাপীদের অবকাশ দেন, তবে তা নির্ধারিত কালের জন্য। (আয়াত : ৪৫)
গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান