<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্তার বিকাশের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৫৬টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ২০টি আবাসিক হল ও তিনটি ছাত্রাবাস, সাতটি স্নাতক পর্যায়ের অধিভুক্ত কলেজ আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীর মধ্যে আছেন ১৩ জন রাষ্ট্রপতি, সাতজন প্রধানমন্ত্রী এবং একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রত্ন নিদর্শন। যেমন :</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসা খান মসজিদ</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদুল্লাহ হলের পশ্চিমে আছে মোগল স্থাপনা মুসা খান মসজিদ। মুসা খান ছিলেন বারো ভূঁইয়ার প্রধান ঈসা খানের পুত্র। ভল্টেড স্ট্রাকচারে নির্মিত এই দ্বিতল মসজিদটি বারো ভূঁইয়া প্রধান ঈসা খানের পুত্র মুসা খানের নামে পৌত্র মুনওয়ার খান নির্মাণ করেন। মসজিদটির নিচের তলায় বেশ কিছু কক্ষ আছে, যেখানে হয়তো আবাসিক মাদরাসার ব্যবস্থা ছিল। মোগল শাসক মুসা খানের কবর এ মসজিদের পাশেই অবস্থিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিমতলি দেউড়ি ও বারো দুয়ারি কক্ষ</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এশিয়াটিক সোসাইটির কার্যালয় এলাকায় ঢাকার নায়েবে নাজিমদের প্রাসাদে প্রবেশের মূল প্রবেশপথ নিমতলি দেউরির অবস্থান। দেউরির অদূরেই আনোয়ার পাশা শিক্ষক আবাসিক এলাকার ভেতরে নায়েবে নাজিমের দরবারকক্ষ বারো দুয়ারি অবস্থিত। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নওয়াব সলিমুল্লাহ মুসলিম হল</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সুবিন্যস্ত ছাত্রাবাস হচ্ছে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল। নির্মিত হয় ১৯৩১ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় নওয়াব সলিমুল্লাহর অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে হলটির নামকরণ করা হয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফজলুল হক মুসলিম হল</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত ফজলুল হক মুসলিম হল নির্মাণশৈলীতে অপূর্ব। হলটির ঝুল বারান্দা, করিডর, বাইরের অলংকরণ মনোলোভা। তিনতলা হলটির গঠনশৈলী শহীদুল্লাহ হলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শান্তজলের দীঘির পূর্বপাশে অবস্থিত, বিশাল বিশাল পাম, নারকেলগাছের ছায়া সুশোভিত রক্তিম রঙের ফজলুল হক হল অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থাপনার নামকরণে মুসলিম মনীষা</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও হলের নামকরণে দেশের বিখ্যাত মুসলিম মনীষার প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যেমন : নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন, আবাসিক হলসমূহ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, রোকেয়া হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, শামসুন নাহার হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, স্যার এ এফ রহমান হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল, কবি সুফিয়া কামাল হল। ছাত্রাবাস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ড. কুদরত-ই-খুদা ছাত্রাবাস, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রীনিবাস,  শহীদ অ্যাথলেট সুলতানা কামাল হোস্টেল প্রভৃতি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯৬৬ সালের ২০ ডিসেম্বর, ৫ বিঘা জমির ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। মসজিদের দুটি মিনার, ভেতরে আছে গোলাকার বেশ কিছু পিলার, কারুকার্যখচিত দরজা-জানালা, ৯টি ঝাড়বাতি ও অন্যান্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মসজিদের ভেতরে ২৩টি এবং বারান্দায় আছে ১০টি কাতার। কাতারপ্রতি ৭৫-৮০ জন মুসল্লি দাঁড়ান। প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে দুই সহস্রাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটে। তবে কালস্রোতের ধারায় মসজিদটির আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি।</span></span></span></span></p>