<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মহানবী (সা.) ইসলামের প্রচার ও সম্প্রসারণের জন্য শুধু আরব অঞ্চলে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তাঁর এই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামী দাওয়াতের বার্তা পৌঁছানো, মানবতার মুক্তির বার্তা প্রচার এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মহানবী (সা.)-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চিঠিপত্র প্রেরণ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মহানবী (সা.) বিভিন্ন দেশের শাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যাতে তারা ইসলাম গ্রহণ করেন। এই চিঠিগুলোতে ইসলামের মূল শিক্ষা ও শান্তির বার্তা তুলে ধরা হতো। উল্লেখযোগ্য চিঠি প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রোমান সম্রাট হেরাক্লিয়াস,পারস্য সম্রাট খসরু পারভেজ ও মিসরের সম্রাট মুকাওকিস।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শান্তিপূর্ণ চুক্তি</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) বিভিন্ন গোত্র ও দেশের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিলেন, যার অন্যতম উদাহরণ হলো হুদাইবিয়ার চুক্তি। মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে এই চুক্তি করে তিনি মক্কা বিজয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হন এবং এটি ইসলাম প্রচারের জন্য একটি কৌশলগত বিজয় ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রতিনিধিদল প্রেরণ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) বিভিন্ন দেশের শাসকদের কাছে তাঁর সাহাবিদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছিলেন, যাতে তারা ইসলাম প্রচার করতে পারেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে পারেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাহ্যিক হুমকি ও নিরাপত্তা</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) শুধু ইসলাম প্রচারের জন্যই নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা রক্ষার জন্যও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বিভিন্ন দেশের শাসকদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করতেন যে মুসলমানদের ওপর বহিরাগত আক্রমণ আসবে না। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রোমান সাম্রাজ্যের কাছ থেকে আসা হুমকি মোকাবেলায় তিনি তাবুক অভিযানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা একটি প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মুসলিমদের প্রতি ভালোবাসা ও ন্যায়বিচার</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) তাঁর প্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তারা অন্য দেশের মানুষের প্রতি ন্যায়পরায়ণ আচরণ করেন এবং তাদের অধিকার রক্ষা করেন। এভাবে তিনি সেই দেশগুলোর জনগণের মনে ইসলামের প্রতি ভালো ধারণা তৈরি করেন। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মিসরের জনগণের প্রতি ভালো আচরণ প্রদর্শনের জন্য রাসুল (সা.) সাহাবিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কারণ তাঁর মাতামহী মিসরের ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মানবিক সাহায্য</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) শুধু ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে নয়, বরং মানবতার খাতিরে বিভিন্ন গোত্র ও জাতিকে সাহায্য করতেন। দুর্ভিক্ষ বা সংকটে পড়া জাতিগোষ্ঠীগুলোর প্রতি তাঁর সহানুভূতি ও সাহায্যের হাত বাড়ানো ছিল মুসলিম জাতির জন্য একটি উদাহরণ। এর মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর সহানুভূতিশীল ও উদার চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছিল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে তুলতে অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। উদাহরণস্বরূপ মদিনায় ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে তিনি মদিনা সনদ নামের একটি চুক্তি সম্পাদন করেন, যা মদিনা শহরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করেছিল। এটি ছিল সমসাময়িক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সংবিধানের একটি উদাহরণ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উন্নয়ন</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কেও বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন, যা মুসলিম অর্থনীতির উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। ইসলাম-পূর্ব যুগে আরবদের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এবং রাসুল (সা.) সেই সম্পর্ককে আরো সুসংহত করেছিলেন। ব্যবসার মাধ্যমে ইসলামিক নৈতিকতা ও বিশ্বস্ততার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসলামিক দাওয়াতের বৈশ্বিক প্রসার </span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন মানুষের কাছে আল্লাহর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তাই তিনি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ না থেকে বাইরের দেশগুলোতেও ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। এটি ছিল তাঁর প্রচেষ্টা, যাতে সব মানুষ আল্লাহর একত্ববাদ ও শান্তির দাওয়াত সম্পর্কে জানতে পারে। এই উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত পাঠিয়েছিলেন, যারা ইসলামিক শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ প্রচার করতেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ধর্মীয় বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.)-এর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে সম্মান করা। তাঁর সময়ে মদিনা ছিল বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনস্থল। রাসুল (সা.) মদিনায় ইহুদি, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর এই আদর্শ বর্তমান যুগে আন্তর্ধর্মীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দূতদের প্রতি আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল আচরণ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) অন্যান্য দেশ থেকে আসা দূত ও প্রতিনিধিদের প্রতি সর্বদা আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি তাদের সঙ্গে যথেষ্ট সম্মান ও আতিথেয়তার আচরণ করতেন, যা তাঁর ন্যায়পরায়ণতা ও আদর্শমানের পরিচায়ক। যেসব প্রতিনিধি বা দূত ইসলামের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করতেন, তাদের সঙ্গেও রাসুল (সা.) কোনো ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ করতেন না।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আন্তঃগোত্রীয় শান্তিচুক্তির গুরুত্ব</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) বুঝতে পেরেছিলেন যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে গোত্রীয় ও আন্তর্জাতিক শান্তিচুক্তি অপরিহার্য। এ কারণে তিনি কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছিলেন। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হুদাইবিয়ার চুক্তি মুসলমানদের এবং কুরাইশদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শান্তিচুক্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। এই চুক্তি ইসলামের দাওয়াত প্রচারে আরো বড় ভূমিকা রাখে, কারণ মুসলমানরা তখন ইসলামের মূল বাণীকে আরো বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সামরিক কৌশল ও আত্মরক্ষা</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) কখনো অকারণে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেননি, বরং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য কৌশলগত উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যেমন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি তাবুক অভিযানের সময় শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন, যেন মুসলমানদের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন না হয়। তাঁর এই সামরিক কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের উদাহরণ বর্তমান যুগেও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) বিশ্বাস করতেন যে আলোচনা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যুদ্ধ বা সংঘর্ষ এড়িয়ে রাসুল (সা.) যতটা সম্ভব আলোচনা ও চুক্তির মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আন্তঃধর্মীয় সংলাপ</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.) বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সঙ্গে সংলাপ ও আলোচনায় বিশ্বাস করতেন। খ্রিস্টান ও ইহুদি প্রতিনিধিদলকে তিনি মদিনায় অভ্যর্থনা জানাতেন এবং তাদের সঙ্গে ইসলামের মূল শিক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করতেন। তাঁর এই সহনশীলতা ও আন্তরিকতার কারণে অন্য ধর্মের মানুষও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তাঁকে একজন মহান নেতার মর্যাদা দিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উপসংহার</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাসুল (সা.)-এর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি ছিল মানবতা, ন্যায়, সমতা ও শান্তি। বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতির ক্ষেত্রে তাঁর এসব শিক্ষা একটি আদর্শ হিসেবে প্রয়োগযোগ্য। তাঁর জীবনের এই অংশ থেকে শিখে আমরা বুঝতে পারি, ইসলামী দর্শনের মূল ভিত্তি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বরং মানবিকতার প্রতিও দায়িত্বশীলতা।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লেখক : পিএইচডি</span></span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রভাষক, রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>