<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। চলছে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যাচাই-বাছাই। বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বড় ধরনের কাটছাঁট করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট থেকে কাটছাঁট করা হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগেই প্রায় ১১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তাদের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের চাহিদা চূড়ান্ত করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সভায় চলতি অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা রাজস্বপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যার মধ্যে বিআরটিএ তিন হাজার ৯৭১ কোটি এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর দুই হাজার কোটি টাকা আদায় করবে। আর সংস্থাটির পরিচালন বাজেট ধরা হয় ছয় হাজার ১০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে পাঁচ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকাই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। সভায় সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে চলতি অর্থবছরের জন্য ৩২ হাজার ৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশোধিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ কমছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। সংস্থাটির জন্য বরাদ্দকৃত ১৮ হাজার ৯৩ কোটি টাকার মধ্যে সাত হাজার ১২৭ কোটি টাকা কাটছাঁট করা হচ্ছে। ডিটিসিএর কোনো বরাদ্দ না কমলেও বিআরটিসির প্রায় পুরো টাকাই কেটে নেওয়া হচ্ছে। ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দের মধ্যে কেটে নেওয়া হচ্ছে ৬৯৭ কোটি টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি) চার প্রকল্প থেকে কাটছাঁট হচ্ছে এক হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে এমআরটি লাইন-১ থেকেই যাচ্ছে এক হাজার ৪৬৮ কোটি। আর এমআরটি লাইন-৬ থেকে কাটছাঁট হচ্ছে ৩২৪ কোটি টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সচিবালয় থোক বরাদ্দ হিসেবে এক হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা মূল উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা হলেও সেটি বাদ যাচ্ছে। এমআরটির চার প্রকল্প বরাদ্দ পাচ্ছে চার হাজার ৮১১ কোটি টাকা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে খরচ কমাতে এবার সরকার আগে থেকেই অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। পাঁচ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ১২.২৯ শতাংশ। গত পাঁচ মাসে ৩৪ হাজার ২১৪ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ধরা হয় দুুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় এক হাজার ৩২৬টি প্রকল্প আছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে আছে। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হচ্ছে। ফলে সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অপচয়মূলক ব্যয় কমানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে খরচ কমানোর বড় জায়গা হচ্ছে এডিপি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন বর্তমানে শুরুর পর্যায়ে। এ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে এডিপিতে বড় ধরনের কাটছাঁট করলে তেমন কোনো অর্থের অপচয় হবে না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনৈতিক বা প্রশ্নবিদ্ধ প্রকল্পগুলো পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। কারণ সরকার আর্থিক সংকটে আছে, রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি রয়েছে। ব্যয় কমানোর বড় জায়গা এডিপি। প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ দিতে হবে। যেসব মেগাপ্রকল্পের অগ্রগতি ভালো সেগুলো শেষ করা ভালো হবে। তবে যেসব মেগাপ্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি বা প্রাথমিক ধাপে আছে সেগুলো বাদ দেওয়াই ভালো হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>