<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শীর্ষস্থানীয় ২০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে আটকে গেছে অগ্রণী ব্যাংকের আট হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। ব্যাংকটির মোট খেলাপি ঋণের ৩৩ শতাংশ এই ২০ প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দি। এ কথা জানান অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তার পরও সব বাধা পেরিয়ে অগ্রণী ব্যাংককে সামনে এগিয়ে নিতে আমরা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন করে ঋণ বিতরণ না করে আদায়ের দিকে গুরুত্ব দিয়েছি আমরা। আশা করছি, আগামী বছরের শুরুতেই ভালো খবর দিতে পারব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গতকাল বৃহস্পতিবার অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যাংকটিকে ভালো করার জন্য ঋণখেলাপিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছি। গত সরকারের আমলে অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ না দেওয়ার কারণে তারা খেলাপি হয়েছে। আর যারা নানা অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ বের করে নিয়েছে, তারা তালিকার বাইরে রয়ে গেছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে অডিটের মাধ্যমে আসল চিত্র বের হয়ে আসবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবু নাসের বখতিয়ার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি যখন ২০০৪ সালে এমডি হিসেবে আসি তখন ব্যাংকের ইক্যুইটি প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ঋণাত্মক ছিল। খেলাপি ঋণ ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। আর নিট মুনাফা দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা ঋণাত্মক ছিল। তবে ২০১০ সালে বিদায় নেওয়ার আগে ইক্যুইটি এক হাজার ৭২ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল। খেলাপি ঋণ কমিয়ে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকায় নেমে আসে। আর ৩৫২ কোটি টাকা মুনাফা ছিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন আবার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দেখি ব্যাংকের অবস্থা নাজুক। মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। গত ১৫ বছর ঋণ ঠিকভাবে বিতরণ না করার কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে যারা ঋণ বের করে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খেলাপি ঋণ আদায়ে আমরা গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। কিছু আদায় হচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় ২০ ঋণখেলাপির স্থিতি আরো কমে যাবে। গোপন কোনো খেলাপি নেই। যেসব খেলাপি করা হয়নি আমি এসে সব করেছি। আশা করি খেলাপি ঋণের হার ৩৮ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নেমে আসবে। কারণ ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে পুনঃ তফসিল করা হচ্ছে। ব্যাংক ভালো অবস্থানে নিতে সবাই কাজ করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চেয়ারম্যান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শীর্ষ অনেক গ্রুপকে সহায়তা না দেওয়ার কারণে খেলাপি হয়ে আছে। আমার সময় অনেকে ভালো গ্রাহক ছিল। বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে গত সরকার এদের সহায়তা করে না। তবে এখন যেহেতু তারা এসেছে তাদের বিষয়টি দেখা হবে। নিয়মের মধ্যে থেকেই তাদের সহায়তা করা হবে। তবে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশফ্লো ভালো ও ব্যালেন্স শিট শক্ত হতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span>  </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিয়ে বিশৃঙ্খলার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিয়মের মধ্যে থেকেই পদোন্নতি দেওয়া হবে। যারা যোগ্য তারা পদন্নোতি পাবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঘোষণা দেওয়া হবে। আমি চাই, ব্যাংকিং সময় সবাই সিটে থাকবে। সিট ছেড়ে এসে দল বানিয়ে স্লোগান দিবে, এটা চাই না। যারা বিশৃঙ্খলা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ২৬ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ আট হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>