রমজানে পণ্যমূল্য

শেয়ার
রমজানে পণ্যমূল্য

সংযম সাধনা, সহমর্মিতা, সচেতনতা ও আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র মাহে রমজান। অথচ এ মাসেই অসংযম, স্বার্থসিদ্ধি ও বিভিন্ন অনিয়ম হয়ে থাকে। বিশেষ করে রমজান মাস পুঁজি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বাজারে বিভিন্ন পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। মাহে রমজানের যে তাৎপর্য ও মহত্ত্ব তা ভুলে উল্টো পথের এই প্রবণতা লজ্জাজনক।

সঠিক ওজনের পণ্য বিক্রি, ক্রেতাদের না ঠকানোর কথা, বাজারে পণ্যের সংকট সৃষ্টি না করা, ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির কথা পবিত্র ধর্মগ্রন্থে রয়েছে। কিন্তু পবিত্র মাসে এসব ঘটনাই ঘটে।

বিভিন্ন উন্নত ইসলামিক দেশে দেখা যায়, রমজান মাস এলে বিভিন্ন পণ্যের মূল্যহ্রাসসহ বাজার ব্যবস্থাপনায় নানা সুযোগ দেওয়া হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও থাকে সহজলভ্য।

বাংলাদেশের বাজারে কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে তা আর সহজে কমে না বললেই চলে।

সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, সেই সঙ্গে বাস্তবায়নে তৎপর হবেনএমনটা প্রত্যাশা।

নুসরাত জাহান জেরিন

শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জনদুর্ভোগ

শেয়ার
জনদুর্ভোগ

চট্টগ্রাম ওয়াসার কিছু কাজ এখন যেন মাথাব্যথার কারণ। কাজের কোনো গতি নেই। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি সাধারণ জনগণ চায়, কিন্তু দুর্ভোগের বিনিময়ে এমন উন্নয়নকাজ কেউ চায় না। প্রায় প্রতিটি স্থানে ওয়াসার কাজ চলাকালে জনগণের যাতায়াতে প্রচণ্ড বিঘ্ন ঘটে।

তাদের সাইনবোর্ডে দায় এড়ানোর জন্য লেখা থাকে অনুগ্রহপূর্বক বিকল্প পথ ব্যবহার করুন। যদি চলাচলের বিকল্প পথ না থাকে, তাহলে কোন পথে চলাচল করবে। তা ছাড়া একাধিক পথ থাকলেও দেখা যায়, প্রতিটি বিকল্প রাস্তার মাঝেই ওয়াসার কার্যক্রম চালু থাকে।

ওয়াসার অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজে মানুষ বিরক্ত।

দুই দিন পর পর একই স্থানে খননকাজ করে ভালো রাস্তার অবস্থাও শোচনীয় করে রেখে যায়, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাস্তার খননকাজ শেষে আগের মতো রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হয় না। কোনোভাবে রাস্তা খোঁড়ার পর যেসব মাটি, গুঁড়া ইট ও বালু থাকে, তা দিয়ে লোক-দেখানো সংস্কারকাজ করে যাচ্ছে।

এতে বিভিন্ন সময় মানুষ যাতায়াতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

তা ছাড়া কাজের সময় উত্তোলিত দ্রুত ময়লা-আবর্জনা ও বালু সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা না করে তা সেখানে রেখেই বায়ু ও পরিবেশ দূষণের মতো কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়ন প্রকল্প যেন জনদুর্ভোগের কারণ না হয় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ইকরাম আকাশ

আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম

 

মন্তব্য

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ

শেয়ার
ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ

দেশে দিন দিন বাড়ছে ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। এর জন্য ওষুধ কম্পানি ও বিক্রেতারা দায়ী। নিজ নিজ কম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশন করার জন্য চিকিৎসকদের কে কার চেয়ে বেশি দামি উপহার দিতে পারবে, তা নিয়ে কম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। আজকাল হাসপাতাল ও ডাক্তারদের চেম্বারে ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে রোগীরা অসহায়।

দেশে ভেজাল বা নকল ওষুধ ধরার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে বিভিন্ন রোগের ভেজাল ওষুধের সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে উঠে এসেছে। ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের অনেক ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে ভেজাল বা নকল ওষুধের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু নজরদারি করার মতো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কেউ কি আছে? বাজারের এসব নকল ওষুধ সেবন করলে শরীরে জটিল রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
নকল, ভেজাল বা নিম্নমানের ওষুধগুলোর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ও পেইনকিলারের মতো ওষুধ রয়েছে। দিন দিন যেভাবে ভেজাল ওষুধ বাজারে আসছে, তাতে রোগী ও দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। দেশে যেভাবে নকল বা ভেজাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে কিউআর কোড স্ক্যান ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে ভেজাল ওষুধের দৌরাত্ম্য দূর করা যেতে পারে।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী

ফরিদাবাদ, গেণ্ডারিয়া, ঢাকা

 

মন্তব্য

অফারের নামে প্রতারণা

শেয়ার
অফারের নামে প্রতারণা

বাজারে অফারের মোড়কে প্রতারণা আজ এক প্রচ্ছন্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। উৎসব, বিশেষ দিন বা অনলাইন সেলের মৌসুমে আকর্ষণীয় ছাড়ের ঝলকানিতে ক্রেতাদের মন ভুলিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বাই ওয়ান, গেট ওয়ান ফি, বিশাল ছাড় কিংবা শেষ মুহূর্তের অফার নামক প্রচারণা চালায়, যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবে প্রতিফলিত হয় না। অনেক সময় পণ্যের দাম আগেই বাড়িয়ে দিয়ে ভুয়া ছাড় দেখানো হয় আবার কখনো নিম্নমানের বা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির ফাঁদ পাতা হয়।

অফারের নামে সত্য গোপন করে প্রতারণা এখন যেন বাজারব্যবস্থার নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্নবিত্ত শ্রেণি। তারা এমনিতেই দিন এনে দিন খায়। বিভিন্ন অফারের প্রলোভনে তারা কম দামে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের আশায় এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে এবং এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাই বাজারব্যবস্থায় অফারের নামে এই প্রতারণা রুখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস

শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

মন্তব্য

মানহীন খাদ্যদ্রব্য

শেয়ার
মানহীন খাদ্যদ্রব্য

মানহীন খাবার প্রতিনিয়ত গ্রহণের ফলে অসুস্থতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। যেখানে-সেখানে প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন উপায়ে তৈরি হচ্ছে মানহীন খাবার। অপরিচ্ছন্ন ও ময়লাযুক্ত পানি এবং অপরিষ্কার পাত্রেই বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব ক্ষতিকর খাবার। পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

বিক্রি হচ্ছে সস্তায়। অসচেতনতা ও পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কারণে দেশের বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো ক্রয় করছে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ। ধারাবাহিকভাবে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থানীয় হাসপাতাল ও মেডিক্যাল সেন্টারগুলোতে।
তাই জাতীয় বিপর্যয় এড়াতে মানহীন খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও তদারকির বিকল্প নেই।

আশিকুর রহমান 

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ