পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মোট খরচ থেকে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা আমাদের নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি। গত দুই বছরে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। গতকাল বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১১৪তম বোর্ড সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়
সাশ্রয় হচ্ছে ১৫০০ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে আমাদের দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। দুই বছর আগে এই দিনে আমাদের প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। এটি দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসের সোনালি ফসল। নিজের টাকায় সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতুর সুফল আমরা ভোগ করছি। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন কোটি মানুষ। পদ্মা সেতু চালুর পর এ পর্যন্ত এক কোটি ২৭ লাখ যান পারাপার হয়েছে।
কাদের বলেন, ফার্মগেট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ১৬টি পথ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যাঁরা দিল্লিতে লালগালিচা সংবর্ধনা নিয়ে ঢাকায় ফিরে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে কথা বলতে ভুলেই গেছেন, তাঁদের মুখে এসব কথা মানায় না।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আজকের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তারা মামলা করেছিল। কিন্তু তদন্ত করে কিছু পায়নি। বিএনপির ফখরুল সাহেবরা খালেদা জিয়ার জন্য রাজপথে দৃশ্যমান কোনো আন্দোলন করেননি, আইনি যুদ্ধও করেননি। কিছুই করতে পারেননি।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে। বরং শেখ হাসিনার দয়ায় বেগম জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারছেন। আমরা কেন তাঁকে হত্যা করব? এ দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।’
সম্পর্কিত খবর

সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ
।

শামা ওবায়েদ
সংস্কারের সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা
করুনফরিদপুর প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকারকে আহবান জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, ‘আপনারা এ দেশের একটি ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের আপনাদের ওপর ভরসা রয়েছে। আমরা সবাই চাই, আপনারা সফল হন। কিন্তু আপনাদের সফলতা তখনই হবে, যখন সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি স্কুল মাঠে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সংস্কারের অংশকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এখন সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যে প্রধান মৌলিক অধিকার, মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার, সেটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত সংসদ পাব।

আবুল কাসেম ফজলুল হক
আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, ‘আসলেই আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার দরকার। সংস্কার হতে পারে সর্বজনীন কল্যাণে। আবার তা হতে পারে উচ্চ শ্রেণির লোকদের সুবিধা থেকে। আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও ‘রাজনীতি কী এবং কেন?’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলাদেশের জনমনে রাজনীতির প্রতি, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এখন কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। জনমনের এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার বলেন, ‘ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিরাট অঙ্কের টাকা আয় করেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিকেই তাঁরা অর্থ আয়ের অবলম্বন করে ফেলেন।
আলোচনাসভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব লেখক অমূল্য কুমার বৈদ্যের সঞ্চালনায় অধ্যাপক ড. মো. শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী, শামীম ইসতিয়াক চৌধুরী, পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক বিজন হালদার, প্রভাষক মহাসীন আলমগীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

২০২৪ সালে মৃত্যু ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর
- জাতিসংঘের তথ্য
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অভিবাসন রুটে প্রায় ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা (আইওএম)। মৃত্যুর এই সংখ্যাকে ট্র্যাজেডি, অগ্রহণযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য বলে অভিহিত করেছে সংস্থাটি।
আইওএম বলেছে, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে যাত্রাপথে আট হাজার ৯৩৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর হিসাব রাখতে শুরু করে সংস্থাটি। সেই হিসাবে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে অন্তত ২০০ মানুষ বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
আইওএমের উপপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অভিবাসী মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান ঘটনা একই সঙ্গে অগ্রহণযোগ্য, আবার সেটি প্রতিরোধযোগ্যও। প্রতিটি সংখ্যার পেছনে একজন মানুষ থাকে, যার জন্য এই ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ।’
আইওএমের মিসিং মাইগ্র্যান্ট প্রজেক্ট অনুসারে, ২০২৪ সালে শুধু এশিয়া মহাদেশেই অন্তত দুই হাজার ৭৭৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন।