<p>বুলেটই থামিয়ে দিল ঢাকায় কোটা আন্দোলনে অংশ নেওয়া মো. জুলফিকার আহমেদ ওরফে শাকিলের (২৩) জীবনযুদ্ধ। তিনি ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়ার মৃত মো. ছিদ্দিক মৃধার বড় ছেলে। জুলফিকার ঢাকার ধানমণ্ডির ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভে চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।</p> <p>গত ৪ আগস্ট ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলে বন্ধুরা তাঁকে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁকে আগারগাঁও নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিন দিন চিকিৎপধীন থেকে গত বুধবার বিকেলে মারা যান তিনি। পরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে ভেলুমিয়া বাগমারা রাঢ়ীবাড়ির দরজার জামে মসজিদের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।</p> <p>গতকাল শুক্রবার দুপুরে গ্রামের বাড়িতে জুলফিকারের মা বিবি আয়েশা বলেন, ‘জুলফিকারের বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের সংগ্রামী জীবন শুরু হয়। অন্যের বাসায় কাজ করে ছোটবেলা থেকে ছেলের পড়ালেখা চালিয়ে গেছি। ছেলে যখন বুঝতে শেখে তখন নিজে টিউশনি করে নিজের পড়ার খরচের পাশাপাশি বাসাভাড়া দিত।’</p>