<p>পুলিশ মহাপরিদর্শকের সুধী সমাবেশে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী দাবি করা মুজাহিদুল ইসলাম বুলেটের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আবু সাঈদের বড় ভাই বাদী রমজান আলী।</p> <p>রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, আইনজীবী প্যানেল ও পরিবারের পক্ষ থেকে আইজিপির অনুষ্ঠানে বুলেট নামের ওই  আইনজীবীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি। </p> <p>এসময় তিনি অভিযোগ করেন, শনিবার রংপুর পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে মহানগর পুলিশের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সুধী সমাবেশ শেষে আইজিপির কাছে আবু সাঈদ হত্যা মামলা নিয়ে নিজেকে আবু সাঈদের আইনজীবী দাবি করে বিভিন্ন কথা বলেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম বুলেট। এ নিয়ে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে রমজান আলী বলেন, ‘সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী ৮ জন। এদের মধ্যে বুলেট নামে কেউ নেই। কেউ এ ধরনের কথা বলে আমার ভাইয়ের মামলা টি নিয়ে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। আমরাও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’</p> <p>তবে অভিযোগ উঠা আইনজীবী বুলেট জানান, তিনি আইজিপির অনুষ্ঠানে সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী হিসেবে নয়, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের করা মামলার শিশু আসামেদের আইনজীবী হিসেবে কথা বলেছেন। কিন্তু তাকে কথা বলতে দেওয়া হয় নি।</p> <p>আবু সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী শামীম আল আমীন বলেন, ‘সবার কাছে স্পষ্ট আবু সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী কারা। আমরা ৮ জন প্যানেল করে আবু সাঈদসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আইনি সহযোগিতা দিয়ে আসছি। কেউ যদি এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করে সেটা ভুয়া। আমরা চাই এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার যেন কোনোভাবে বাঁধাগ্রস্ত না হয়। সে বিষয়ে সবাই সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’</p> <p>এসময় আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আরো ৫ জনকে অন্তর্ভুক্তি করে সম্পূরক আবেদন আমরা দিয়েছি। সেটির দুটি শুনানি হয়েছে। দ্রুত এর আদেশ হবে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত মাত্র ২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অবিলম্বে অন্যদের গ্রেপ্তার করে বিচার কার্যক্রম শুরুর দাবি জানাই।’</p> <p>অভিযোগের ব্যাপারে  আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম বুলেট বলেন, ‘আমি  নিজেকে কখনই শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার বাদির আইনজীবী দাবি করিনি। আমি আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা প্রথম মামলার শিশু আসামিদের আইনজীবী। স্বৈরাচার আমলেই আমি ফ্যাসিবাদির বিরুদ্ধে লড়ে শিশু মাহিনসহ অন্যদের জামিন করেছি। এখনো সেই শিশুদের নিয়ে আমি আদালতে হাজিরা দিচ্ছি। সেই মামলা এখনো তোলা হয়নি। এই বিষয়টি নিয়েই আমি সেদিন আইজিপি মহোদয়কে বলতে গিয়েছিলাম। আমার সাথে শিশুরাও ছিল। কিন্তু আমাকে সেখানে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে অন্য ট্যাগ দিয়ে ঘটনা আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি শিশুদের নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে দেশবাসীকে জানাব।’</p>