<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার না করার আহবান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তারা বলেছে, নির্বিচারে আসামি করায় মামলাগুলো দুর্বল হয়ে যায় ও প্রকৃত অপরাধী শনাক্তের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমরান হোসেন নামের এক তরুণকে হত্যার মামলায় প্রথিতযশা আইনজীবী, স্বনামধন্য সাংবাদিকসহ ২৯৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের নন-অপারেশনাল ইউনিটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীকে আসামি করে জুন মাসের মৃত্যুকে আগস্টের আন্দোলনে নিহত দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে। দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে গুলি ছুড়ে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হয়েছেন অভিযুক্ত, একই ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন এজাহার ও ভিন্ন ভিন্ন আসামির নাম দিয়ে মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোতে নির্বিচারে আসামি করা মামলাগুলোকে দুর্বল করে এবং তা প্রকৃত অপরাধী শনাক্তকরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অসংগতিপূর্ণ, হয়রানি ও উদ্দেশ্যমূলক মামলা কোনোভাবেই কাম্য নয় উল্লেখ করে শুধু নির্ভরযোগ্য তথ্য ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা করার আহবান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি মামলা হলেই যত্রতত্র গ্রেপ্তার না করার আহবান জানিয়েছে তারা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বিচারে ও ঢালাওভাবে আসামি করে মামলা করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। মামলাগুলো বস্তুনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। তথ্যগত অসামঞ্জস্যতা ও অসংগতি মামলাকে দুর্বল করে ফেলে। যাচাই-বাছাই করে মামলা করা না হলে প্রকৃত অপরাধী পার পেয়ে যেতে পারে। এতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সরকারের পক্ষ থেকে মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন মেনে চলা ও যত্রতত্র গ্রেপ্তার না করার প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েছে কমিশন।</span></span></span></span></p>