<p>♦ বাচ্চাদের উচ্চতার সঙ্গে যায় এমন ডাইনিং টেবিল ব্যবহার করুন। খাবারের জন্য একটি ছোট আকারের টেবিল ও চেয়ার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ♦ ভিন্ন ভিন্ন খাবারের জন‌্য ভিন্ন ভিন্ন বাসনকোসন ব্যবহার করতে পারেন। যেমন—ভাত খাওয়ার সময় প্লেট, নাশতার সময় পিরিচ, স্যুপের সময় বাটি ইত্যাদি। তবে সব কটি ছোট, রঙিন ও আকর্ষণীয় হতে হবে।</p> <p>♦ প্লাস্টিকের স্কুইজ বোতল ব্যবহার করুন। শিশুরা নিজেই যেন নিজেদের খাবারে জেলি, চিনাবাদামের মাখন, সরিষা, মেয়নেজ ও কেচাপ ঢেলে নিতে পারে।♦ খাওয়ার জন্য বাচ্চাদের উপযোগী আকারের পাত্র সরবরাহ করুন। ছোট চামচ অপরিহার্য। চারপাশ ওঠানো প্লেট বা ছোট অগভীর বাটি ছোট বাচ্চাদের জন্য ব্যবহার করতে সহজ হয়। ♦ ঘন ঘন আঙুলের সাহায্যে মুখে দিয়ে খেতে হয় এমন খাবার পরিবেশন করুন। এটি শিশুদের খাবার হাতে তুলে খাওয়ার অভ্যাস দৃঢ় করে।</p> <p> </p> <p><strong>খাবারকে আকর্ষণীয় করুন</strong></p> <p>সব শিশুর নির্দিষ্ট খাদ্য পছন্দ আছে। নিম্নলিখিত নির্দেশিকাগুলো শিশুদের জন্য আপনি যে খাবারগুলো পরিবেশন করেন, তা আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।</p> <p>♦ খাবারের তাপমাত্রা বিবেচনা করুন। বেশির ভাগ শিশু খুব গরম বা খুব ঠাণ্ডা খাবার পছন্দ করে না। ♦ খাবারের টেক্সচার বিবেচনা করুন। বিভিন্ন টেক্সচার—কুড়কুড়ে, খাস্তা, মসৃণ, ক্রিমি। শিশুরা প্রায়ই গলদা বা স্ট্রিং খাবার অপছন্দ করে। সবজি বেশি রান্না করা থেকে বিরত থাকুন। ♦ খাবারের রং বিবেচনা করুন। বিভিন্ন রঙের খাবার পরিবেশন করা খাবারকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। ♦ বিভিন্ন আকৃতির খাবার পরিবেশন করুন। গোল ক্র্যাকার বা চেরি টমেটো বেছে নিন। ত্রিভুজ আকৃতির স্যান্ডউইচে পনির ও আপেল ওয়েজেসের চৌকো খণ্ড দিয়ে পরিবেশন করুন।</p> <p>♦ খাবারের স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখুন। মিষ্টি, নোনতা, টক, মসলাদার ও হালকা স্বাদযুক্ত খাবার বিবেচনা করুন। ♦ প্রতি বেলায় শিশুর পছন্দের একটি খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। ♦ একটি নতুন খাবার বেশ কয়েকবার পরিবেশন করুন। শিশুদের মধ্যে নতুন খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা বেশি। একটি শিশুর কাছে এর মধ্যে পরিচিত খাবারের সঙ্গে নতুন খাবারের তুলনা করুন। ♦ ফলের রস একটি স্বাস্থ্যকর পছন্দ, কিন্তু প্রথমবার অল্প পরিমাণে দেওয়া উচিত।</p> <p><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong></p> <p>নাঈমা রুবী</p> <p>ডায়েটিশিয়ান, নিউরোজেন হেলথকেয়ার লিমিটেড, ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান অ্যান্ড নিউট্রিশনিস্ট, বিটিআরএফ</p>