<p style="text-align:justify">গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আটজন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরো ১৬ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দলটিতে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা।</p> <p style="text-align:justify">বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর বেশির ভাগ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সহযোগীদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, দাগি আসামি আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসনের অভিযোগ রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">অন্যদিকে জেলা বিএনপির একটি পক্ষ যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া প্রত্যেকে দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমানের সঙ্গে গণসংযোগ করা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ নয়। দলীয় ফোরামে আলোচনা না করেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত কাণ্ডজ্ঞানহীন ও অবিবেচনাপ্রসূত। </p> <p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক খোকনসহ ১৩ জনের ওই বিবৃতিতে যারা এ ধরনের কাজ করেছেন, উল্টো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেন।</p> <p style="text-align:justify">জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ও সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ স্বাক্ষরিত একাধিক কারণ দর্শানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, দলে থাকার পরও অভিযুক্তরা দলীয় কার্যক্রমের অংশ নেননি। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো জমি দখলে মদদ দেওয়া, দাগি আসামি আওয়ামী লীগের নেতাদের পুনর্বাসন এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সহযোগীদের নিয়ে গোপন মিটিং করা। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দপ্তর সম্পাদক সাজিদুল হক রনির চিঠিতেও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩ জনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২১ সেপ্টেম্বর দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দেন। যাদের বহিষ্কার ও নোটিশ দেওয়া হয়, তারা মুশফিকুর রহমানের কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন। এটা কোনোভাবেই দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ নয়।</p>