<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বার্ষিক ছুটির পাওনা টাকা এবং সাত কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর আশ্বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছাড়েন বিক্ষোভকারীরা। গতকাল শনিবার আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকার শিন শিন গ্রুপের জেনস প্লাস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এই অবরোধ করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, দুই মাস ধরে বার্ষিক ছুটির পাওনা টাকা এবং সাত কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন কারখানাটির শ্রমিকরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দাবি না মেনে টালবাহানা করতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানার ভেতরে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে তাদের দাবি মেনে নিয়ে দুই কর্মকর্তাকে অপসারণ এবং নামমাত্র কিছু টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা শনিবার দেওয়ার আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারা আরো জানান, তবে কোনো ঘোষণা ছাড়াই শনিবার কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে কারখানায় এসে শ্রমিকরা প্রধান ফটক বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলেও রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর আশ্বাসে সেখান থেকে তারা চলে যান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিন শিন কারখানার সুইং অপারেটর আলেয়া আক্তার, শহিদুল ও শাপলা বেগম জানান, কারখানাটিতে প্রায় এক হাজার ৩০০ শ্রমিক কাজ করেন। তাদের কারো পাঁচ বছর, কারো সাত বছর, আবার কারো এর চেয়ে বেশি দিনের ছুটির টাকা পাওনা আছে। এসব পাওনা পরিশোধের দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের কারণে বকেয়া টাকার আংশিক পরিশোধ করা হয়। কারো তিন বছরের ছুটির পাওনা টাকা জমা হলে, তাকে এক বছরের টাকা পরিশোধ করা হয়। তাই শ্রমিকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন।</span></span></span></span></p>