<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান। গত ১২ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক ও যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আদেশ অনুযায়ী গত ১৫ ডিসেম্বর আবুল হাসানকে এবং ১৮ ডিসেম্বর পলককে তদন্ত সংস্থার সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পলকের স্বীকারোক্তি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিজ্ঞাসাবাদের (তদন্ত সংস্থার) এই প্রক্রিয়াটা গতানুগতিক পুলিশ রিমান্ডের মতো নয়। সেখানে একটা স্বচ্ছ কাচের দেয়ালের পেছনে আমাদের তদন্তকারীরা কথা বলেন এবং কাচের দেয়ালের বাইরে বসে তাদের (আসামিদের) আইনজীবীরা সব দেখেন। কোনো ভয়ভীতি প্রদর্শনের সুযোগ এখানে নেই। আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড (মান) মেইনটেইন (রক্ষা) করেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে হয়তো আপনাদের সবারই প্রশ্ন থাকবে। গতকাল (১৮ ডিসেম্বর) সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলককে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে অনেক তথ্য আমাদের দিয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাজুল ইসলাম আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তার নিজের কাছ থেকে যেমন আমরা জানতে পেরেছি, পাশাপাশি অন্যান্য সোর্স (উৎস) থেকে জানতে পেরেছি। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধের যে নাটক করা হয়েছিল, সেটি কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। খায়ের টাওয়ার বা কোনো টাওয়ারে আগুন লাগার কোনো ব্যাপার ছিল না। সেখানে (জিজ্ঞাসাবাদে) সে (পলক) স্বয়ং স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছে, তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সরাসরি নির্দেশনা আসার পরই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল। আইআইটি ইন্টারনেট গেটওয়েদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, সেই গ্রুপে সরাসরি নির্দেশ দেওয়া হয় দ্রুত ইন্টারনেট বন্ধ করতে। শুধু তা-ই না, তাদের এটা এনশিওর (নিশ্চিত) করতে বলা হয়, বন্ধ করার পর জানাতে যে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এই তথ্যগুলো আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে পেয়েছি। সেগুলো (ইন্টারনেট বন্ধের তথ্য) যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট আসামিকে (পলককে) আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে এটার (ইন্টারনেট বন্ধের তথ্য) সত্যায়ন করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাজুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাকে গোটা দুনিয়া থেকে আড়াল করা হয়েছে। এটার (ইন্টারনেট বন্ধের) ব্যাপারে কেবল লাইন পুড়ে যাওয়ার যে মিথ্যা অজুহাত দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল সর্বৈব মিথ্যা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শেখ হাসিনাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিউক্লিয়াস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এবং জুনাইদ আহেমদ পলককে শেখ হাসিনার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কমান্ডার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলে মন্তব্য করেন।</span></span></span></span></p>