ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৮ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২২ মার্চ ২০২৫
৮ চৈত্র ১৪৩১, ২১ রমজান ১৪৪৬
কাদের গনি চৌধুরী

অন্ধকার ঘোচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অন্ধকার ঘোচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ
জুলাই আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’-এর টিজার প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে। ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, অন্ধকার ঘোচাতে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ। সমাজের অন্যায়-অপরাধ নির্মূল করতে হলে বিশেষ করে তরুণদের সাংস্কৃতিক জাগরণ প্রয়োজন। তরুণদের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাবতে হচ্ছে। আমাদের তরুণদের এক আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত করতে হলে তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রতি উৎসাহিত করতে হবে।

তাহলে তারা মননে ও আচরণে আলোকিত মানুষ হতে পারবে।

গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে স্বাধীন শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা শীর্ষক আলোচনা এবং জুলাই ২০২৪ ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র দ্য রিমান্ড-এর টিজার প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট কে এম জাবিরের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দীন আহমেদ, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, সাংবাদিক এরফানুল হক নাহিদ, কামরুল হাসান দর্পণ, সাদিক আল আরমান, নায়ক মারুফ আকিব ও আবির পারভেজ প্রমুখ।

কাদের গনি বলেন, সংস্কৃতি মানবসভ্যতার একটি অনুষঙ্গ।

জীবনের পরতে পরতে সংস্কৃতির উপাদান জড়িয়ে রয়েছে। বিশ্বায়ন, শিল্পায়ন ও ডিজিটাইজেশনের কারণে সংস্কৃতির উপাদানগুলো বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিনিময় হয়। সংগত কারণে সংস্কৃতির সঙ্গে উপসংস্কৃতির একটি যোগসাজশ থাকে। উপসংস্কৃতির ও অপসংস্কৃতির প্রভাব যখন আধিক্য বিস্তার করে তখনই মূলত সাংস্কৃতিক সংকট তৈরি হয়, বিদেশনির্ভরতা চলে আসে অনেকের মধ্যে।
বাংলাদেশে একটা সাংস্কৃতিক জাগরণের বড্ড প্রয়োজন। এ জাগরণের মধ্য দিয়ে সব ধরনের অনিয়ম, অন্যায়, নৈরাজ্য চিরতরে রুখে দেওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, সারা দুনিয়া সাংস্কৃতিক জাগরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। তারা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে অনিয়ম, অসংগতি, অপরাধ, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতা থেকে জাতিকে সুরক্ষিত করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হতে পারে সাংস্কৃতিক জাগরণ। একমাত্র সাংস্কৃতিক জাগরণই পারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একসূত্রে, এক কাঠামোয় সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকারে দাঁড় করাতে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

শেয়ার
সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।   ছবি : কালের কণ্ঠ

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
শামা ওবায়েদ

সংস্কারের সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা

করুনফরিদপুর প্রতিনিধি
করুনফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
সংস্কারের সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা
শামা ওবায়েদ

অন্তর্বর্তী সরকারকে আহবান জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, আপনারা এ দেশের একটি ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের আপনাদের ওপর ভরসা রয়েছে। আমরা সবাই চাই, আপনারা সফল হন। কিন্তু আপনাদের সফলতা তখনই হবে, যখন সংস্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি স্কুল মাঠে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামা ওবায়েদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সংস্কারের অংশকে শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এখন সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যে প্রধান মৌলিক অধিকার, মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার, সেটি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত সংসদ পাব।

আর সেই সংসদে গিয়ে সংসদ সদস্যরা দেশের মানুষের জন্য কথা বলবেন, দেশের জন্য কথা বলবেন।

 

মন্তব্য
আবুল কাসেম ফজলুল হক

আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই
আবুল কাসেম ফজলুল হক

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, আসলেই আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার দরকার। সংস্কার হতে পারে সর্বজনীন কল্যাণে। আবার তা হতে পারে উচ্চ শ্রেণির লোকদের সুবিধা থেকে। আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই।

সংস্কার সম্ভব হতে পারে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বারা গঠিত নির্বাচিত সরকারের দ্বারা।

গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি কেন্দ্রীয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও রাজনীতি কী এবং কেন? শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলাদেশের জনমনে রাজনীতির প্রতি, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এখন কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। জনমনের এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

এ জন্য দেশের বিবেকবান চিন্তাশীল লোকদের লিখতে হবে। উন্নত নতুন রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য উদীয়মান রাজনীতিবিদদেরও লিখতে হবে।

বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার বলেন, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিরাট অঙ্কের টাকা আয় করেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিকেই তাঁরা অর্থ আয়ের অবলম্বন করে ফেলেন।

এই ধরনের রাজনীতিতে প্রকৃতপক্ষে কোনো রাজনীতি থাকে না। রাজনীতিকে পরিণত করা হয়েছে ব্যবসার পুঁজির বিষয়ে। গণতন্ত্র বলি, সমাজতন্ত্র বলি, ধর্ম বলি সব ক্ষেত্রেই রাজনীতিকে ব্যবসার অবলম্বনে পরিণত করা হয়েছে। 

আলোচনাসভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব লেখক অমূল্য কুমার বৈদ্যের সঞ্চালনায় অধ্যাপক ড. মো. শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী, শামীম ইসতিয়াক চৌধুরী, পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক বিজন হালদার, প্রভাষক মহাসীন আলমগীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

 

মন্তব্য

২০২৪ সালে মৃত্যু ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর

    জাতিসংঘের তথ্য
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
২০২৪ সালে মৃত্যু ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ বছর ছিল ২০২৪ সাল। বছরটিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অভিবাসন রুটে প্রায় ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এই কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা (আইওএম)। মৃত্যুর এই সংখ্যাকে ট্র্যাজেডি, অগ্রহণযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য বলে অভিহিত করেছে সংস্থাটি।

আইওএম বলেছে, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে যাত্রাপথে আট হাজার ৯৩৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর হিসাব রাখতে শুরু করে সংস্থাটি। সেই হিসাবে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে অন্তত ২০০ মানুষ বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

২০২০ সাল থেকে অভিবাসন রুটে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

আইওএমের উপপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, বিশ্বজুড়ে অভিবাসী মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান ঘটনা একই সঙ্গে অগ্রহণযোগ্য, আবার সেটি প্রতিরোধযোগ্যও। প্রতিটি সংখ্যার পেছনে একজন মানুষ থাকে, যার জন্য এই ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ।

আইওএমের মিসিং মাইগ্র্যান্ট প্রজেক্ট অনুসারে, ২০২৪ সালে শুধু এশিয়া মহাদেশেই অন্তত দুই হাজার ৭৭৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন।

সংখ্যাটি ২০২৩ সালের চেয়ে ৬২৪ জন বেশি। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভূমধ্যসাগর। দুই হাজার ৪৫২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে। অভিবাসন রুটে মৃত্যুর তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যা আফ্রিকায় রেকর্ড করা হয়েছে। সেখানে দুই হাজার ২৪২ জন মারা গেছেন।
আমেরিকা মহাদেশের ক্ষেত্রে এখনো চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে অন্তত এক হাজার ২৩৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যু ও নিখোঁজের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইওএম জানিয়েছে, সরকারি সূত্রের অভাবে অনেক তথ্য অপ্রমাণিত রয়ে যাচ্ছে। সূত্র : এএফপি, ডয়চে ভেলে

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ