এনসিপির সংবাদ সম্মেলন

হঠাৎ আওয়ামী লীগ বিতর্ক

  • বিচার চলাকালে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে
শেয়ার
হঠাৎ আওয়ামী লীগ বিতর্ক
রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে গতকাল জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক দল নয়। এটি একটি ফ্যাসিবাদী দল। নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পরাজয় ঘটেনি। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে।

বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। গতকাল রাতে রাজধানীর রূপায়ণ টাওয়ারে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সাত মাস পার হলেও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জুলাইয়ে বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল।

আওয়ামী লীগের অপরাধের সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন থাকার পরও বিচারিক প্রক্রিয়ায় ধীরগতি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমের গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চায়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন বা রাজনৈতিক বিষয়ে সেনাবাহিনীর মতামত দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই’ সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার করা এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত পিলখানা, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম-খুনের বিচারের আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাক্সিক্ষত।
এনসিপি মনে করে, নির্বাচনের আগে এসব বিচারিক কার্যক্রমের অগ্রগতি দৃশ্যমান হতে হবে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সব প্রচেষ্টা রুখে দিতে এনসিপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নজিরবিহীনভাবে আওয়ামী লীগের উৎখাত ঘটেছে। আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক কাঠামোর বাইরে অবস্থান করছে।

বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের যে কোনো আলোচনা ও প্রস্তাব এনসিপি দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী মতাদর্শ, দল এবং মতাদর্শের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ৩৬ জুলাই তাদের রায় দিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার সব অধিকার হারিয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগ, তাদের সহযোগী সব ব্যক্তি এবং সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এনসিপি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিদায় করেছে। আমরা বারবার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিতের কথা জানিয়েছি। সারা দেশে এনসিপির নেতৃত্বে দলের সমর্থক, শুভাকাক্সক্ষী ও ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ। দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তা রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ। রাজনীতি, রাজনীতিবিদদের হাতে থাকা উচিত।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ : বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, আওয়ামী লীগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি হলপাড়া, প্রশাসনিক ভবন, ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদী বলেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। দুই হাজারের অধিক শহীদ এবং হাজার হাজার আহতের রক্তের শপথ, আমাদের দেহে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেব না। ভালো আর খারাপ আওয়ামী লীগ নাই। আওয়ামী লীগ মানেই কসাই, গণহত্যাকারী, খুনি। নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়ব না। এ ছাড়াও এদিন বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

জাবি প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, বাংলাদেশে কারা রাজনীতি করবে তা ঠিক করবে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের প্রেসক্রিপশনে আর বাংলাদেশ চলবে না। সেনাবাহিনীকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনারা জনগণের পাশে থাকুন। আপনারা যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন তাহলে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে আপনাদের ক্ষেত্রেও একই রায় দেবে।

রাবি প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে গণহত্যার বিচার দাবিও করা হয়। গতকাল দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে নগরীর তালাইমারী মোড়ে সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, আবু সাঈদ ও মুগ্ধ হত্যার পরই আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যদি জলপাই রঙের কোনো বাহিনী কিংবা রাজনৈতিক দল চেষ্টা করে তাদের অবস্থাও পতিত ফ্যাসিস্টদের মতো হবে। ইবি প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে সকাল ৫টা থেকে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জনগণ আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি : তারেক রহমান

বাসস
বাসস
শেয়ার
জনগণ আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি : তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘একটি পরিবর্তনের জন্য জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন দিয়েছে বলেই স্বৈরাচার মাফিয়া বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে। এখন জনগণের ইস্যুগুলো নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত। এটাই রাজনীতি।

আসুন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সকলে মিলে কাজ করি।’

তারেক রহমান আজ রবিবার রাজধানীর পুরনো পল্টনে ফারস হোটেলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে লন্ডন থেকে ‘ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 
 
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ছিলো তখন গণতন্ত্রের পক্ষের সকল দলগুলো পলাতক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একসঙ্গে রাজপথে ছিলাম। সেই সকল গণতন্ত্রমনা দলগুলো একসঙ্গে মিলে ২ বছর আগে জাতির সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিলাম।

কারণ, আমরা দেখেছিলাম পলাতক স্বৈরাচার কিভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছিল। সবচেয়ে প্রথমেই যেটা ধ্বংস করেছিল সেটা হলো দেশের নির্বাচনব্যবস্থা।’ 

পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশের সকল সেক্টরকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল; সেগুলো ফের মেরামত করতে হবে। কারণ, আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে দেশের জনগণ।

রাষ্ট্রের এই কাঠামোগুলো যদি আমরা মেরামত করতে না পারি দেশটাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারব না। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে সক্ষম হবো না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের চারপাশে সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। সকলকে সম্মান রেখেই বলতে চাই; অনেকেই সংস্কার নিয়ে অনেক কিছুই বলছেন। বাংলাদেশের সবকিছুতে যে সংস্কার প্রয়োজন সেটি সবচেয়ে আগে আমাদের দল বিএনপি বলেছে।

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল লাখ-লাখ মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে। এরপর বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্রকে ব্যাহত করেছে অনেকেই। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জনমনের সমর্থন ছিল বলেই মাফিয়া স্বৈরাচারকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। এই যে জনগণ রাজপথে বেরিয়ে এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশে এসে দাড়িঁয়েছে, সবাই মনে করেছে একটা পরিবর্তন জরুরি, এটাই নতুন দেশ গঠনের স্বপ্নকে তরান্বিত করে।’

সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে আলোচনা হচ্ছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কার নিয়ে কথা বলছি। উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন ব্যক্তি কতোবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছি। সংস্কারের যে বিষয়গুলো নিয়ে মিডিয়া গরম সেই বিষয়গুলো পরিবর্তন বা পারিমার্জন হলে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলো উপকৃত হবে। কিন্তু দিন শেষে যারা আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি সেই জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো নিয়ে আমাদের কি কথা বলা উচিৎ না? অবশ্যই উচিৎ। কারণ, তারাই (জনগণ) আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে বড় পুঁজি।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিশ্চয়ই বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায়, হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে পৌঁছানোর জন্য অসুস্থ্য আপনজনকে নিয়ে কতোক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে এ্যাম্বুলেন্সের জন্য। সেই এ্যাস্বুলেন্সটি কতো দ্রুত এসে ওই অসুস্থ মানুষটিকে হাসপাতালে পৌঁছে দেবে সেটাই নিশ্চিত করা রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব। দেশের জনগণ এটাই প্রত্যাশা করে। তাই আসুন আমরা সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা শুরু করি।’

মন্তব্য

আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া।

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।

রবিবার রাতে মোহাম্মদপুরে এ মিছিল করে দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

আরো পড়ুন
সেনাপ্রধানের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না : জিল্লুর রহমান

সেনাপ্রধানের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না : জিল্লুর রহমান

 

মিছিলের পর সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হোসেন।

তিনি বলেন, আ. লীগ পালিয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আলাপ নেই। যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় আগামীদিনে তাদের সঙ্গে আমাদের লড়াই হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে ভালো বলে কিছুই নেই। কাজেই জুলাই গণহত্যাসহ গত ১৫ বছরে করা আওয়ামী লীগের সকল অপরাধের বিচার করতে হবে।

দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন কিংবা এ সংক্রান্ত আলোচনা ছাত্র-জনতা মানবে না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘অপরাধে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা হচ্ছে’

বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘অপরাধে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা হচ্ছে’
ছবি : কালের কণ্ঠ

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব হাজী জসিম উদ্দিন বলেছেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ যদি চাঁদাবাজি বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের নামের তালিকা হচ্ছে এবং কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতাকর্মীরা বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় নির্দেশনায় দিয়ে গেছেন।’

রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বাকশীমূল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে এতিম শিশুদের সাথে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন
‘বিএনপির বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে’

‘বিএনপির বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে’

 

হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, তারা (কেন্দ্রীয় নেতারা) বলে গেছেন বিএনপির কেউ যদি চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, লুটপাট, মাদক, মাটিকাটাসহ অন্যান্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে তাহলে তাদের নামের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারাম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করতে হবে।’

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বাকশীমূল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম ও বুড়িচং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রহিম খান লিটন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দেশ-বিদেশের যারা নির্বোধ তারা আমার কথা বুঝবে না : মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশ-বিদেশের যারা নির্বোধ তারা আমার কথা বুঝবে না : মির্জা আব্বাস
ফাইল ছবি

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘দেশে কিংবা বিদেশে যারা নির্বোধ আছে, তারা আমার কথা বুঝবে না। আমি বলেছি, এই সরকার যে সংস্কার লিখে দেবে, আমরা সেগুলো কারেকশন করবো। রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ঐকমত্যে আসব, তারপরেই আমরা সেটাকে মানবো। এটাকে বিকৃত করে ওরা লিখেছে আমি নাকি কিছুই মানি না।

রবিবার বিকালে পুরানা পল্টনের তোপখানা রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে প্রয়াত ফটো সাংবাদিকদের স্মরণ, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।  

আরো পড়ুন
৯ এপ্রিল থেকে দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু

৯ এপ্রিল থেকে দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি বলে সত্য কথা স্বাধীনভাবে বলতে পারবো না? এটা হতে পারে না। আপনারা যারা আজ স্বাধীনভাবে কথা বলেন, তা আমরা অর্জন করে দিয়েছি। জেলে থেকে পঁচে-পঁচে, নিজের পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়ে, সেই অধিকারটা অর্জন করে দিয়েছি।

দীর্ঘ সময় আমরা লড়াই সংগ্রাম করেছি, কারাগারে কাটিয়েছি, একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি। আজ এই সময়ে এসে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে নানা বাহানা করছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। দেশবাসীকে তাদের প্রতি সজাগ থাকতে হবে।’

সত্য প্রকাশ করাই সাংবাদিকদের কাজ মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে উচ্চ কণ্ঠে কথা বলাই প্রকৃত সাংবাদিকতা।

দেশে থেকে কারা ষড়যন্ত্র করে এবং দেশের বাইরে থেকেও কারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, দেশকে কারা পেছনে নিয়ে যেতে চায়; সেসব কুশীলবদের নাম গণমাধ্যমে তুলে ধরুন, জাতিকে জানান।’

অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদারের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মো. দেলোয়ার হোসাইন। আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ বি এম রফিকুর রহমান প্রমুখ।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ