২০২৪ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক অভিবাসীর মৃত্যুর রেকর্ড

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
২০২৪ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক অভিবাসীর মৃত্যুর রেকর্ড
ছবিসূত্র : এএফপি

২০২৪ সালকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বছর হিসেবে অভিহিত করেছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা (আইওএম)। বছরটিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অভিবাসন রুটে অন্তত ৯ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থাটি।

আইওএম বলেছে, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে যাত্রাপথে কমপক্ষে আট হাজার ৯৩৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন।

২০১৪ সাল থেকে অভিবাসীদের মৃত্যুর হিসাব রাখতে শুরু করে সংস্থাটি। সেই হিসাবে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক অভিবাসী মারা গেছেন। জাতিসংঘ মৃত্যুর এই সংখ্যাটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য এবং প্রতিরোধযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে।

২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে অন্তত ২০০ জন মানুষ বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

২০২০ সাল থেকে অভিবাসন রুটে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। আইওএমের উপপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অভিবাসী মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান ঘটনা একই সঙ্গে অগ্রহণযোগ্য, আবার প্রতিরোধযোগ্যও।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিটি সংখ্যার পেছনে একজন মানুষ থাকে, যার জন্য এই ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ।’

মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে এশিয়া

আইওএমের মিসিং মাইগ্রেন্ট প্রজেক্ট অনুসারে, শুধু এশিয়া মহাদেশেই কমপক্ষে দুই হাজার ৭৭৮ জন অভিবাসী মারা গেছেন।

সংখ্যাটি ২০২৩ সালের চেয়ে ৬২৪ জন বেশি।

মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভূমধ্যসাগর। দুই হাজার ৪৫২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে। অভিবাসন রুটে মৃত্যুর তৃতীয় সর্বোচ্চসংখ্যা আফ্রিকায় রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে দুই হাজার ২৪২ জন মারা গেছেন।

আমেরিকা মহাদেশের ক্ষেত্রে এখনো চূড়ান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী কমপক্ষে এক হাজার ২৩৩ জন অভিবাসী মারা গেছেন।

অভিবাসীদের মৃত্যু এবং নিখোঁজের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইওএম জানিয়েছে, সরকারি সূত্রের অভাবে অনেক তথ্য অপ্রমাণিত রয়ে যাচ্ছে।

২০১৪ সাল থেকে অভিবাসী মৃত্যুর হিসাব রাখছে আইওএম। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজারের বেশি অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

পাঁচ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে অভিবাসী মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আইওএম জানিয়েছে, ২০২২ সাল থেকে অভিবাসী মৃত্যুর অন্তত ১০ শতাংশ ঘটছে সহিংসতার কারণে।  আইওএম বলছে, অভিবাসী হলেন সেই মানুষ, যিনি বা যারা স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নিজ বসতভিটা ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। তাদের অনেকেই আবার অন্য কোনো দেশে আশ্রয় চান, কারণ তারা যুদ্ধ বা সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কানাডায় ২৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কানাডায় ২৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ঘোষণা
সংগৃহীত ছবি

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি মোকাবেলার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জায়গায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা কার্নিকে বেছে নিয়েছিল কানাডার মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টি। যদিও তিনি কখনো দেশটির জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

আগামী অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই নির্বাচন কয়েক মাস এগিয়ে আনার মধ্য দিয়ে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, ট্রাম্পের ক্রমাগত হুমকি এবং বাণিজ্য যুদ্ধই হবে তাঁর প্রচারণার মূল বিষয়।

গতকাল রবিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে কার্নি বলেন, ‘আমি গভর্নর জেনারেলকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার এবং আগামী ২৮ এপ্রিল নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি সম্মতি দিয়েছেন।

কার্নি আরো বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের বিভক্ত করতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিক হতে পারে। আমরা তা হতে দেব না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অযৌক্তিক বাণিজ্যিক পদক্ষেপ এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি তাঁর হুমকির কারণে আমরা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকটের মুখোমুখি। আমাদের প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত একটি শক্তিশালী অর্থনীতি এবং আরো নিরাপদ কানাডা গড়ে তোলা।

এক দশক ক্ষমতায় থাকা লিবারেল সরকারের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। কিন্তু দেশপ্রেমের ঢেউ তুলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে মুখিয়ে আছেন কার্নি।

কানাডার নির্বাচনে সাধারণত জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অভিবাসনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয় প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তবে এবার তালিকার শীর্ষে রয়েছে—কে ট্রাম্পকে ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারবেন।

ব্যাপক সমালোচনার মুখে ট্রুডো ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান।

এরপর বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির পিয়েরে পইলিভর আলোচনায় চলে আসেন। কয়েক সপ্তাহ আগেও জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন তিনি। তবে লিবারেলদের ক্ষমতা নেওয়ার পর সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে এনেছেন কার্নি।
সিবিসি নিউজ পোল ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত লিবারেল পার্টি ৩৭.৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়েছিল। অন্যদিকে কনজারভেটিভদের প্রতি সমর্থন ছিল ৩৭.১ শতাংশ ভোটারের।

জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন বামপন্থী নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি ১১.৬ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে।

আরো পড়ুন
পুতিন দয়ালু মানুষ : উইটকফ

পুতিন দয়ালু মানুষ : উইটকফ

 

দলগুলো কানাডার আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসের ৩৪৩টি আসনে লড়াই করবে। যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে তাদেরই সাধারণত সরকার গঠন করতে বলা হয়। আর ওই দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকেন।

মন্তব্য

পুতিন দয়ালু মানুষ : উইটকফ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুতিন দয়ালু মানুষ : উইটকফ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থী সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। তিনি বলেন, ‘আমি পুতিনকে খারাপ মানুষ মনে করি না। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান। পুতিন দয়ালু এবং সোজাসাপ্টা মানুষ।

ইউক্রেনের সমর্থনে আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের যে প্রস্তাব ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দিয়েছেন সে ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে উইটকফ এ কথা বলেন। উইটকফ স্টারমারের এই প্রস্তাবকে ‘লোক-দেখানো’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দিয়েছেন উইটকফ। খবর বিবিসির।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য ইউরোপীয় নেতারা উইনস্টন চার্চিলের মতো হওয়ার ভান করছেন।

তারা বলতে চাইছেন যে, রাশিয়া এখন ইউরোপের দিকে এগিয়ে আসবে। এটি অতি সরলীকৃত একটি ধারণা।

ট্রাম্পের বিশেষ দূত বলেন, এই সংঘাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তথাকথিত চারটি অঞ্চল—ডনবাস, ক্রিমিয়া; নামগুলো আপনি জানেন।

মূলত ইউক্রেনের পাঁচটি অঞ্চল—লুহানস্ক, দোনেত্স্ক, জাপোরিঝিয়া, খেরসন ও ক্রিমিয়া দখলে নিয়েছে রাশিয়া।

ডনবাস একটি শিল্পাঞ্চল, যাতে লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের বেশির ভাগ অন্তর্ভুক্ত।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উইটকফ বলেন, ‘রুশদের দৃষ্টিকোণ থেকে দখলকৃত এই অঞ্চলগুলো এখন রাশিয়ার অংশ। ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী তাদের কতটুকু অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া সম্ভব, সেটিই মূল প্রশ্ন। রুশ সেনারা এরই মধ্যে এই অঞ্চলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে, এখন প্রশ্ন হলো বিশ্ব কি একে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকার করবে?’

তিনি আরো বলেন, ‘রাশিয়ার একটি মত রয়েছে যে, ইউক্রেন একটি কৃত্রিম দেশ, যা বিভিন্ন অঞ্চল জোড়া দিয়ে বানানো হয়েছে এবং এটিই যুদ্ধের মূল কারণ। রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই এই অঞ্চলগুলো নিজেদের মনে করে, কিন্তু কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে চায় না।

পুতিনের দাবি, ন্যাটোর সম্প্রসারণের ঝুঁকি এবং স্বাধীন ইউক্রেনের অস্তিত্বই রুশ আগ্রাসনের মূল কারণ।

উইটকফ বলেন, ‘রাশিয়া কেন ইউক্রেন দখল করতে চাইবে? তারা এরই মধ্যে পাঁচটি অঞ্চল দখল করেছে, ক্রিমিয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা যা চেয়েছিল তা পেয়ে গেছে। আর কিছু দরকার নেই।’

কিয়ার স্টারমারের ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ গঠনের পরিকল্পনার বিষয়ে উইটকফ বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক স্ট্যান্ট এবং অতি সরলীকৃত চিন্তা। কিছু লোক মনে করে, আমরা সবাই যেন উইনস্টন চার্চিল হয়ে যাই। রাশিয়া ইউরোপ আক্রমণ করতে যাচ্ছে, এই চিন্তা হাস্যকর। কারণ আমাদের ন্যাটো রয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ছিল না।’ 

মন্তব্য

পাকিস্তানি-আফগান সীমান্তে তীব্র বন্দুকযুদ্ধ, ১৬ সন্ত্রাসী নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানি-আফগান সীমান্তে তীব্র বন্দুকযুদ্ধ, ১৬ সন্ত্রাসী নিহত
পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের আঙ্গুর আড্ডায় আফগান পাকতিকা প্রদেশের সীমান্তের সঙ্গে বেড়ার পাশে একজন পাকিস্তানি সেনা পাহারা দিচ্ছেন। ফাইল ছবি : এএফপি

পাকিস্তানি-আফগান সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার পর পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ১৬ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এদিন জানায়, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার গুলাম খান কল্লায় এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী আফগান সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করা একটি সন্ত্রাসী দলকে শনাক্ত করে। এরপর বাহিনী কার্যকরভাবে তাদের প্রতিহত করে।

তীব্র বন্দুকযুদ্ধের পর ১৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।

আইএসপিআর বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অন্তর্বর্তীকালীন আফগান সরকারকে তাদের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকরের অনুরোধ জানিয়ে আসছে। আফগান সরকারের দায়িত্ব হলো তাদের ভূমি সন্ত্রাসীদের হাতে ব্যবহার হতে না দেওয়া, যাতে তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে এবং দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের শিকড় নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

 

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি অনুপ্রবেশযোগ্য সীমান্ত ভাগ করে, যেখানে বেশ কয়েকটি পারাপারের পথ রয়েছে, যা উভয় দেশের জনগণের জন্য আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানের জন্য অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসলামাবাদ বারবার আফগান সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে, যেন তাদের ভূমি পাকিস্তানে হামলা চালানোর জন্য তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মতো গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করতে না পারে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) কাছে উপস্থাপিত বিশ্লেষণ ও নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলের একটি প্রতিবেদনে ইসলামাবাদের এই উদ্বেগের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিটিপিকে অস্ত্র, রসদ সরবরাহ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাবুলের ভূমিকা রয়েছে।  

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী বেলুচিস্তানের ঝোব জেলায় পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ছয় সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছিল।

এদিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় বলে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিআইসিএসএস) নামের একটি গবেষণা সংস্থার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে দেশটিতে অন্তত ৭৪টি সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়, যাতে ৯১ জন নিহত। এদের মধ্যে ৩৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ২০ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৩৬ জন সন্ত্রাসী।

এ ছাড়া হামলাগুলোতে ১১৭ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৩ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক ও ১০ জন সন্ত্রাসী।  

খাইবারপাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশ সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়, এরপর বেলুচিস্তান। কেপির সাধারণ জেলাগুলোতে ২৭টি হামলা হয়, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ জন সদস্য, ছয়জন বেসামরিক নাগরিক, দুজন সন্ত্রাসীসহ মোট ১৯ জন নিহত হয়। এ ছাড়া কেপির উপজাতীয় জেলা (সাবেক ফাটা) ১৯টি হামলার শিকার হয়।

সূত্র : দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল

মন্তব্য

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল
২৩ মার্চ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত স্বজনদের জানাজায় ফিলিস্তিনিদের শোক। ছবি : এএফপি

হামাসশাসিত গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অন্তত ৫০ হাজার ২১ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জন।

মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়। পাশাপাশি গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থাও তাদের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।

স্বাধীনভাবে এই সংখ্যা যাচাই করা যায়নি, তবে যুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে জাতিসংঘ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানকে নির্ভরযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গত জানুয়ারির ১৯ তারিখ থেকে কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে, ফলে এই সপ্তাহে নিহতের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে। এতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭৩-এ পৌঁছেছে।

 

ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে জানুয়ারির শুরুতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবের চেয়ে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি হতে পারে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, তাদের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে ২৩৩ জন নিখোঁজ ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাদের মৃত্যু ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে এক হাজার ২১৮ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ