শরীয়তপুরের জাজিরায় বিলাসপুর ইউনিয়নের কাজিয়ারচর এলাকায় সংঘর্ষ এবং শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাজিরা থানার উপপরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে এ মামলা করেছেন। মামলায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৮০০ থেকে এক হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
জানা যায়, পুলিশের অভিযানে বিলাসপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি র্যাবের একটি দল ঢাকা থেকে বিলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত শনিবার কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যানপ্রার্থী আব্দুল জলিল মাতবরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
এর ফলে ১৫ জন আহত হন। যাদের মধ্যে মারুফ (২৫) নামের একজনের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, আর হাসান মুন্সি নামের একজন গুরুতর আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী এবং বিলাসপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল জলিলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে এলাকায় অন্তত ৫০টিরও বেশি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং গত দুই বছরে দুই ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।
গত বছর ৫ আগস্টের পর পুলিশ চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও যুবলীগ নেতা জলিল মাদবরকে জেলহাজতে পাঠায়। পরে কুদ্দুস বেপারী জেলখানা থেকে ছাড়া পান এবং জলিল মাদবর এখনো জেলখানায় রয়েছে। ওই সংঘর্ষেরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সকালে কথা-কাটাকাটির জেরে কাজিয়ারচর এলাকায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল ব্যবহার করে চলে হামলা পাল্টা-হামলা। এ সময় সংঘর্ষস্থলে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জাজিরা থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ কালের কণ্ঠকে বলেন, আসামি কুদ্দুস বেপারীকে র্যাব আটক করেছে। তবে তাকে এখনো পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।