দেশের বেশ কিছু স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারীর ডিমলায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সন্ধ্যায় রাজধানীর ওপর দিয়ে ৬৬ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে কালবৈশাখী বয়ে গেছে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য গরম থেকে খানিকটা স্বস্তিও মিলেছে ঢাকাবাসীর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আজ শুক্রবারও কিছু স্থানে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে আবার বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে। আগামী ১৪ এপ্রিল (সোমবার) থেকে আবার দেশে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে।
জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঢাকায় (গতকাল) সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৬.৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে।
তবে দেশের কিছু অঞ্চলে মোটামুটি বৃষ্টি হলেও ঢাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টির রেকর্ড পাইনি আমরা। শুক্রবারও দেশের কিছু অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। এরপর দু-এক দিন বৃষ্টি কিছুটা কম থাকতে পারে।’ তরিফুল নেওয়াজ বলেন, ১৩ এপ্রিলের পর আবার সারা দেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে। আগামী কিছুদিন দেশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় তাপমাত্রা বা তাপপ্রবাহ খুব বেশি বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।
এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল সন্ধ্যায় এটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। গতকালও দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি) বয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিরাজগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, ফেনী, চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই তাপপ্রবাহ আজ কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫.৮ ডিগ্রি।