<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সংঘাতের সময় গুলিতে প্রাণ হারায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচজন। এর মধ্যে একটি শিশু ও দুই কিশোরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপনে গ্রামের বাড়িতে এনে তড়িঘড়ি দাফন করা হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার পতনের পর সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের কথা বলা হলেও এই তিনজনের পরিবারের লোকজন বিচার নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চামারুল্লাহ গ্রামের আজিজুল ইসলাম কুসুমের ছেলে জুনাঈদ (১৫) ২০ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিহত হয়। জুনাঈদ সেখানে একটি দোকানের কর্মচারী ছিল। দুপুরে সড়ক পার হয়ে মালিকের বাসায় যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয় সে। একই দিন সদর ইউনিয়নের সাভার পূর্বপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির (২১) নিহত হন গাজীপুরের সাইনবোর্ডের ভুষির মেইল মেম্বারবাড়ি এলাকায়। সেখানে তিনি একটি মুদির দোকানের কর্মচারী ছিলেন। আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ দোকানের ভেতরে গিয়ে গুলি করে। অন্যদিকে ২১ জুলাই নিহত হন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জামান মিয়া (২০)। তিনি নরসিংদী সদরের একটি ডাইং কারখানায় কাজ করতেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় মেস থেকে খেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারখানায় যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিনে মারা যান নান্দাইলের মাদারিনগর গ্রামের এ কে এম শহিদুল ইসলাম জয়নাল (৫০)। তিনি ঢাকায় বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। সরকার পতনের আনন্দ মিছিল দেখতে বের হলে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। একই দিনে গাজীপুরের মাওনা এলাকায় নিহত হয় সেখানকার একটি মাদরাসাপড়ুয়া ছাত্র রাকিবুল হাসান সাজু (১২)। সে বাসায় থেকে মিছিল শুনে মায়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে বের হয় ছবি তোলার জন্য। পরে সেখানেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। নিহত সাজু নান্দাইল উপজেলার মুশল্লী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের দিনমজুর মো. খোকন মিয়ার ছেলে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জয়নাল ও জামানের লাশের ময়নাতদন্ত হলেও বিনা ময়নাতদন্তে জুনাঈদ, হুমায়ুন ও সাজুর লাশ নিয়ে যায় তাদের পরিবার। জুনাঈদের বাবা কুসুম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেলের লাশ হাসপাতালে পড়ে ছিল। পরে আতঙ্কে রাতেই লাশ বাড়িতে এনে দাফন করে ফেলি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> একই কথা বলেছে নিহত অপর দুজনের পরিবার।</span></span></span></span></p> <p> </p>