চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া এলাকায় ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম নিহত হওয়ার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, পাঁচটি গুলি, একটি দেশি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। চাঁদার জন্য জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সনতু।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন আরাফাত মামুন ও বিপ্লব বড়ুয়া।
পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি আরাফাত মামুন ও তাঁর সহযোগী বিপ্লব বড়ুয়াকে রাউজান থানার পূর্ব গুজরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় মামুন পুলিশকে গুলি করার চেষ্টা এবং পেছন দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। মামুনই হত্যাকাণ্ডের হোতা।
তিনিই ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় রমজান আলী ও গিয়াস উদ্দীন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু কত টাকা তারা বলেনি।’
উল্লেখ্য, ২৪ জানুয়ারি রাউজান থানার নোয়াপাড়া এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।