<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভায় ৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর গত ২৪ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভার সাধারণ শাখায় ৪২ জন এবং প্রকৌশল শাখায় ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন ৪২ জন। প্রতিবছর প্রায় তিন কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেতন দিতে হয় ৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্বাস্থ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শাখায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত ৪২ জনকে। চুক্তিভিত্তিক লোকবলের এখন কোনো কাজ না থাকায় তারা এখন পৌরসভার বোঝা হয়ে গেছে। তাদের বেতন-ভাতা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতি মাসে। উন্নয়নকাজও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ২৮ মাস ধরে পৌরসভার ৭২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বকেয়া থাকায় পৌর প্রশাসকের বিরুদ্ধে বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পৌর প্রশাসক মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁদের চার মাসের বকেয়া বেতন প্রদানও করেছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পৌর কর্মচারী জানান, বিগত রাজনৈতিক সরকারের সময়ে পৌরসভার মেয়ররা ইচ্ছামতো নিজস্ব নেতাকর্মী ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে সাবেক মেয়রদের আত্মীয়-স্বজনই বেশি। নিয়মিত বেতন-ভাতা না হওয়ায় অনেক কর্মচারী অফিসেই আসেন না। যদিও আসেন হাজিরা খাতায় নাম সই করে চলে যান। কোনো কাজ না করে থাকলেও তাঁদের বেতনের জন্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। যার ফলে হোল্ডিং ট্যাক্স ও হাটবাজারের ইজারা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না। মাঝেমধ্যেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতনের দাবিতে বিভিন্নভাবে সরকারি আচরবিধি লঙ্ঘন করে আন্দোলন করে থাকেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার মতো পৌর পরিষদে বাড়তি কোনো টাকা নেই। তবে চেষ্টা থাকবে প্রতি মাসের বেতন পরিশোধের।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>
