প্রশাসনের অভিযানেও বন্ধ হচ্ছে না মাটি কাটা। প্রশাসনের সঙ্গে যেন চোর-পুলিশ খেলায় মেতে উঠেছে মাটিখেকোরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলাতেই চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। সরজমিনে ঘুরে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কসবা ও বিজয়নগর উপজেলায় টিলা থেকে মাটি কাটার যেন মহোৎসব চলছে। কসবার গোপীনাথপুর ও বায়েক ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি টিলা কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারি আলাউদ্দিন বাবুর বোনজামাই আমজাদ হোসেন ছিলেন গোপীনাথপুরের টিলা কাটার নেপথ্য কারিগর। তবে এখন আমজাদ না থাকলেও অন্যরা একই কাজ করে যাচ্ছে। বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছাড়া এলাকায় টিলা কেটে সাবাড় করা হচ্ছে।

এদিকে সর্বশেষ শনিবার বিকেলে নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের শালকান্দি এলাকায় বুড়ি নদীর পার থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই দিন সরাইল উপজেলার ধরন্তী বিল থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে রুবেল নামের এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষাবিষয়ক সংগঠন তরীর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, ‘একটা পুকুর ভরাট হয়ে গেলে আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না। তাই এ বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘প্রয়োজনে বারবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

দৌলতদিয়া ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী শাজাহান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভাই ভাই মাছের আড়তে নিলাম ডাকে দুই হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ২৮ কেজি ওজনের কাতল মাছটি আমি কিনে নেই। পরে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে মাছটি দেখিয়ে ঢাকার একজন শৌখিন মাছ ক্রেতার কাছে সামান্য লাভে আমি বিক্রি করেছি।’