রংপুরে সড়ক-মহাসড়কের পাশে আলুভর্তি ট্রাক

ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনার শঙ্কা

রফিকুল ইসলাম, রংপুর
রফিকুল ইসলাম, রংপুর
শেয়ার
ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনার শঙ্কা

ঈদের বাকি চার-পাঁচ দিন। সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে দূরপাল্লা ও আন্ত জেলার বাস ও কোচ গাড়ির চলাচল। এই অবস্থায় রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি আলু ভর্তি ট্রাক ও ট্রলি আতঙ্ক বাড়াচ্ছে যাত্রী ও চালকদের মাঝে। চাষিরা বলছেন, হিমাগার মালিকরা দ্রুত আলু নিয়ে নিলেই হয়ে যেত।

কিন্তু দিনের পর দিন রাস্তায় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এতে যানজটের সঙ্গে দুর্ঘটনার শঙ্কাও বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে দমদমা, বৈরাগীগঞ্জ, শঠিবাড়ী, দর্শনা রেলগেট, হাজিরহাট, তারাগঞ্জ, সৈয়দপুর, কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে নব্দিগঞ্জ, মীরবাগ, কাউনিয়া এলাকায় হাজার হাজার আলুর বস্তা নিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য পিকআপ, ট্রাক, ভ্যানগাড়ি, ট্রলি ও নসিমন। দিনরাত অপেক্ষা করছে গাড়ি, ক্লান্ত শরীরে গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েছে অনেকে।

রাস্তায় বসেই ইফতার সাড়তে হচ্ছে তাদের। মাঝেমধ্যে পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে সড়ক ফ্রি করার চেষ্টা করলেও কার্যত তাঁদের কিছুই করার থাকছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আলু ভর্তি পরিবহনগুলো জমি থেকে আলু তুলে তা হিমাগারে রাখার জন্য এনেছিল। কিন্তু জায়গা সংকুলান, শ্রমিক সংকট, কখনো ধীরগতিতে আনলোড করায় এই পরিবহনগুলোকে সড়ক-মহাসড়কের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

এ কারণে সড়কের পাশে যানজট লেগে থাকার পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।

ট্রাকচালক হাশেম আলী বলেন, হিমাগারের লোকজন দ্রুত আলু হিমাগারে ঢোকালেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

আলু ব্যবসায়ী মোত্তালেব বলেন, আজ চার দিন ধরে আলু নিয়ে রাস্তায় আছি। হিমাগার কর্তৃপক্ষ সময়মতো আলু তুলতে পারছে না। আমরা তো আর আলু নিয়ে বাড়ি যেতে পারব না।

এ কারণে এখানে আছি।

হিমাগারের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, অনেকে স্লিপসহ আলু রাখতে আসছেন, আবার অনেকে স্লিপ ছাড়া আসছেন। সবাই একসঙ্গে আলু রাখতে এলে তো একসঙ্গে রাখা যাবে না। সে কারণে একটু দেরি হচ্ছে।

রংপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ঈদে মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। মহাসড়ক এলাকায় যেকোনো সমস্যা সমাধানে পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট এলাকার জেলা পুলিশও কাজ করছে। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আশা করছি কোনো সমস্যাই থাকবে না।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঝুঁকি

শেয়ার
ঝুঁকি
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে কেউ ট্রাকে, কেউ পিকআপ ভ্যানে ফিরছেন। গতকাল ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কে। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

২৪ ঘণ্টায় তিন কোটি টাকা টোল আদায়

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শেয়ার
২৪ ঘণ্টায় তিন কোটি টাকা টোল আদায়

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও গণপরিবহন বেড়েছে। যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা। গতকাল শনিবার সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

মন্তব্য

অতিরিক্ত ভাড়া ঠেকাতে বিআরটিএর অভিযান

রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী ব্যুরো
শেয়ার
অতিরিক্ত ভাড়া ঠেকাতে বিআরটিএর অভিযান

ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে পরিবহনগুলো যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে লক্ষ্যে বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন আল্পনা ইয়াসমিন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, যাত্রী যাবেন রাজশাহী থেকে ফেনী, কিন্তু যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কক্সবাজারের ভাড়া এক হাজার ৮০০ টাকা।

অথচ নিয়ম অনুসারে ভাড়া নেওয়ার কথা এক হাজার ৩৬১ টাকা। অভিযানে নেমে এমন ঘটনা জানার পর গ্রামীণ ট্রাভেলেসকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন বিআরটিএর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আল্পনা ইয়াসমিন।

মন্তব্য

ঠাকুরগাঁওয়ে পাঁচ টাকায় ঈদ বাজার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে পাঁচ টাকায় ঈদ বাজার

মাত্র পাঁচ টাকায় ঈদের বাজার করতে পেরে খুশি ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ শতাধিক হতদরিদ্র পরিবার। গতকাল শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে স্থানীয় মানবিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায় জুলুমবস্তি এই ঈদ বাজারের আয়োজন করে। সহায়তা পাওয়া জরিনা বেগম বলেন, আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য। স্বামী ও সন্তান দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই।

ঠিকমতো খেতেও পারি না। ঈদের জন্য আলাদা বাজার করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু সহায় জুলুমবস্তির এই পাঁচ টাকার বাজারের জন্য এবার ভালো খাবার খেতে পারব। সংগঠনের সভাপতি ফখরুল আলম লিফাত বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলোকে ঈদের আনন্দ দিতে সহায়তা করা।
এই বাজারের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫০০ পরিবার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, এ ধরনের আয়োজন সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ