ম্রো, বম ও খেয়াং ভাষার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘মাতৃভাষার চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫’। বিকেল ৩টায় ধানমণ্ডির ভিনটেজ কনভেনশন হলে উৎসবের উদ্বোধন করবেন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
বাংলাদেশে বহু ভাষাভাষী মানুষের বাস। শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায়ই বসবাস করে ১১টি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ, যাদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা ও সংস্কৃতি।
কিন্তু চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ছাড়া পাহাড়ের অন্য নৃগোষ্ঠীগুলোর ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণের ইতিহাস খুব কম। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ম্রো ভাষায় নির্মিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ক্লোবাং ম্রো’ বা গিরিকুসুমের খবর ছাপা হয়েছিল কালের কণ্ঠের রংবেরং-এ। এর পাশাপাশি এবার বম ও খেয়াং ভাষায়ও নির্মিত হলো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। খেয়াং ভাষার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নাম ‘খেতসু’ বা প্রেয়সী। বম ভাষার প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুনখাত দুত হেন’। বাংলা নাম ‘বন্ধন’। তিনটি চলচ্চিত্রেরই নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ। প্রযোজক ডা. মং উষা থোয়াই।
উৎসবে মোট ১৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে চাকমা, মারমা, ম্রো, বম, গারো ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র রয়েছে। বাংলা ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নির্মিত ‘রক্তকরবীর খোঁজে নন্দিনী’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্ট মাস্টার’ গল্প অবলম্বনে নূর আবসার প্রযোজিত ও শাঁওলি মজুমদার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ঘরে ফেরা’, মৃত্তিকা রাশেদের ‘কালারস অব হোপ’, নজমুল মুহাম্মদের ‘নেকলেস’, এস এম শাফিনুর আলমের ‘আচিক ঐক্য’, রাশেদুল ইসলাম রনির ‘নো ল্যান্ডস টক’, মোবারক হোসেনের ‘পৈতৃক ভিটা’, ফিদেল দ্রং-এর ‘ছাতা’ এবং পার্থ ফোলিয়া পরিচালিত ‘আরও কিছু দিন’।
সবার জন্য উন্মুক্ত এই উৎসব শেষ হবে আগামীকাল [২৪ ফেব্রুয়ারি] রাত ৯টায়।