ইরানে যাওয়ার পর দারুণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানকার মানুষ খুব অতিথিপরায়ণ। আমার কাছে মনে হয়েছে, কোনো নিকট-আত্মীয়ের বাড়িতে গেছি। বিশেষ করে তেহরান থেকে ইসফাহান যাওয়ার জার্নিটা এখনো চোখে ভাসে।
ইরানে যাওয়ার পর দারুণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানকার মানুষ খুব অতিথিপরায়ণ। আমার কাছে মনে হয়েছে, কোনো নিকট-আত্মীয়ের বাড়িতে গেছি। বিশেষ করে তেহরান থেকে ইসফাহান যাওয়ার জার্নিটা এখনো চোখে ভাসে।
ভারতে ‘মায়া নগর’ ছবির মাধ্যমে ফেব্রুয়ারিতে অভিষেক হলো। উপস্থিত ছিলেন সেখানে?
অনেক ইচ্ছা ছিল উপস্থিত থাকার। এটা ভারতে আমার প্রথম ছবি। বিশেষ একটা ভালোবাসাও ছিল।
এটি ২০২১ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পেয়েছিল। এবার ভারতে কেমন সাড়া পাচ্ছে?
আমার সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তিনি বিভিন্ন গ্রুপে ছবিটি নিয়ে লেখাগুলো আমার সঙ্গে শেয়ার করেন। দেখলাম সাধারণ দর্শক ছবিটি পছন্দ করেছে।
‘চক্কর ৩০২’-এর টিজার প্রকাশিত হয়েছে। এটার কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
অনেকে ফোন করছেন। টিজারের প্রশংসা করছেন। মোশাররফ করিম ভাই অসাধারণ অভিনেতা। তাঁকে ছাপিয়ে আলাদা করে নজর কাড়াটা কঠিন। তবে আমি চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে ছবিটি করেছি একমাত্র গল্প ও মোশাররফ ভাইয়ের জন্যই। ঈদে মুক্তি পেলে বাকিটা
দর্শক বলতে পারবে।
ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
আমি মোশাররফ ভাইয়ের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। পর্দায় আমার খুব বেশি উপস্থিতি আছে সেটা বলব না। তবে যেটুকু আছে সেটাতে দর্শক আনন্দিত হবে। সব সময় আমি চেয়েছি সংলাপ কম থাকুক, চরিত্রের দৈর্ঘ্যও কম হোক তবে যেটুকু জায়গাতে আমি থাকব সেটুকু যেন দর্শকের মনে দাগ কাটে। ‘চক্কর ৩০২’ ঠিক তেমনই একটা ছবি। আমি উপভোগ করেছি কাজটি করতে গিয়ে।
প্রথমবার ঈদে আপনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আরো কয়েকটি বড় ছবিও আছে মুক্তির মিছিলে। একটু চাপ লাগছে?
সবার কাজকে আমি সম্মান করি। সবাই সবার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমি সেটা অ্যাপ্রোশিয়েট করি। ঈদে সবার ছবিই দর্শক দেখুক এটাই চাওয়া। আমিও সবার কাছে দোয়া চাই। আমি অত বড় কোনো অভিনেত্রী নই, তবে চেষ্টা করে চলেছি। এই চেষ্টা যেন সফল হয় সেটাই লক্ষ্য।
‘ফেরেশতে’ কবে মুক্তি পাবে?
নির্মাতা ছবিটি নিয়ে অনেক প্ল্যান করেছেন। ধীরে ধীরে সেগুলো বাস্তবায়নের পথে। ‘ফেরশতে’ শুধু বাংলাদেশ-ইরান নয়, আন্তর্জাতিকভাবেই মুক্তি পাবে। যত দূর জানি, এই বছরেই ভালো কোনো দিনে আপনারা ‘ফেরেশতে’ দেখতে পাবেন।
গত বছর ইরানের ফজর উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল। আপনি গিয়েছিলেনও। জার্নিটা কেমন ছিল?
ছবির নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম দারুণ একজন মানুষ। আমরা তাঁর বাসায় দাওয়াতও খেয়েছি। ইরানে যাওয়ার পর দারুণ সব অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানকার মানুষ খুব অতিথিপরায়ণ। আমার কাছে মনে হয়েছে কোনো নিকট-আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছি। বিশেষ করে তেহরান থেকে ইসফাহান যাওয়ার জার্নিটা এখনো চোখে ভাসে। কখনো একটু মন খারাপ হলে আমি এই জার্নিটার কথা মনে করি, সঙ্গে সঙ্গে বিষাদ কেটে যায়, রিফ্রেশ লাগে।
নতুন আর কী করছেন?
একটা আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য করলাম জানুয়ারিতে। শিগগির মুক্তি পাবে। নির্মাতা নিউ ইয়র্কের, প্রোডাকশনটিও সেখানকার। আপাতত এর বেশি বলতে পারব না। এমনিতেও তো আমি কাজ কম করি, এটা সবার জানা। এর মধ্যে ভালো কিছু হলে অবশ্যই জানাব।
সম্পর্কিত খবর
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বালাম ও নাজমুন মুনিরা ন্যানিস ২০১২ সালে নোমান রবিনের ‘কমন জেন্ডার’ ছবিতে ‘চাঁদ যেমন’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। এরপর আর কোনো গানে একসঙ্গে পাওয়া যায়নি তাঁদের।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর এবার কাজল আরেফিন অমির ‘হাউ সুইট’ ওয়েব ছবিতে গেয়েছেন তাঁরা। ‘মায়া মায়া লাগে’ গানটির একটা অংশ এরই মধ্যে ট্রেলারে প্রকাশিত হয়েছে।
ন্যানিস বলেন, ‘জানুয়ারিতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলাম। রোমান্টিক গানটা সম্পূর্ণ প্রকাশিত হলে সবার ভালো লাগবে।’
২০ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল মালয়ালম ছবি ‘অফিসার অন ডিউটি’। বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল জিতু আশরাফের ছবিটি। গতকাল এটি এসেছে নেটফ্লিক্সে। রাগি পুলিশ অফিসার হরিশঙ্করের পদাবনতি হয়।
অভিনয়ে মান্না, পপি, বাপ্পারাজ। পরিচালনা রায়হান মুজিক। সকাল ৭টা, দীপ্ত টিভি।
গল্পসূত্র : বাবা-হারা দুই সন্তান আপন ও স্বপনকে নিয়ে ঢাকায় আসে তাদের মা।
হা-শো
এনটিভিতে রয়েছে কৌতুকবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘হা শো’-এর সপ্তম সিজন। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হয় অনুষ্ঠানটি। এই সিজনে বিচারক হিসেবে আছেন আমিন খান, শবনম ফারিয়া ও তুষার খান। সঞ্চালনায় আবু হেনা রনি।
আ সেন্স অব কমিউনিটি
আল জাজিরায় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রয়েছে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘আ সেন্স অব কমিউনিটি’র নতুন পর্ব। এক নারী অলিম্পিয়ান হত্যার রহস্য উন্মোচনে কেনিয়ার ইতেন শহরে পৌঁছেছে অনুসন্ধানী দল। সেখানে তারা খুঁজে পায় লিঙ্গবৈষম্য ও সহিংসতার খবর।