ফিরে দেখা ২০২৪

বছরজুড়ে সাপলুডু খেলেছে ক্রিকেট

  • মহাকালের গর্ভে যখন আরেকটি বছর বিলীন হওয়ার অপেক্ষায়, কালের কণ্ঠ স্পোর্টস তখন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের ফেলে আসা দিনগুলোতে চোখ ফেরাচ্ছে। দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত খেলার উত্থান-পতন এবং সাফল্য-ব্যর্থতা মিলিয়ে টানছে উপসংহারও। আজ প্রথম দিনে থাকছে ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। লিখেছেন মাসুদ পারভেজ
শেয়ার
বছরজুড়ে সাপলুডু খেলেছে ক্রিকেট

বছরের অন্যতম সেরা ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ব্যাট হাতে লিখেছেন লিটন কুমার দাস আর মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার মতো বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশকে এই জুটি উদ্ধারই শুধু করেনি, লড়াইয়ের পুঁজিও এনে দেয়। সপ্তম উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ১৬৫ রান। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ২৭৪ রানের কাছাকাছি গিয়ে থামে বাংলাদেশ (২৬২)।

শেষ পর্যন্ত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টও জেতেন নাজমুল হোসেনরা। যে সংস্করণটিকে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে ঝামেলার বলে ধরা হয়ে থাকে, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সেই টেস্টেই কিনা পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ! অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। টেস্টে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাওয়ার সনদ মনে করা হচ্ছিল এই সাফল্যকে। কিন্তু হায়! সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে গিয়ে আবার পূর্বাবস্থায় বাংলাদেশ।

রাওয়ালপিন্ডিতে লিটন-মিরাজ জুটির সমপরিমাণ রানও পুরো দল মিলে করতে পারেনি ভারতে চার ইনিংসের দুটিতে। পাকিস্তানে প্রথম টেস্টটি ছিল ব্যাটিং সাফল্যের। প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৫৬৫ রান। অথচ ভারতে গিয়ে চেন্নাই ও কানপুর টেস্টের একটিতেও দুই ইনিংস মিলিয়ে অত রান করতে পারেনি বাংলাদেশ।
অর্থাৎ রূপকথার পাকিস্তান সফর শেষে ভারতে গিয়ে বিশাল হারে বিধ্বস্তও হয়েছে তারা। জ্যামাইকা টেস্টে ১০১ রানের জয় দিয়ে বছরের শেষটা রাঙালেও অ্যান্টিগায় ঠিক আগের ম্যাচেই আবার তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল ২০১ রানে। শেষ হতে চলা বছরে খেলা ১০ টেস্টের তিনটিতে জেতা বাংলাদেশ তাই যতটা উঠেছে, ততটা নেমেছেও। সাপলুডুর মতো কখনো একলাফে অনেকটা উঠে যাওয়ার পর আবার ধপাস করে পড়েছেও। ওঠানামার এই গোলকধাঁধায়ই বছরটি পার করেছে তারা।

ধারাবাহিকতার অভাব আগের মতো থেকেই গেছে। এমন একটি বছর গেল, যেটিতে টেস্টের চেয়ে ওয়ানডে (৯ ম্যাচ) কম খেলেছে বাংলাদেশ। গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে শুরু হওয়া ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত ছিল এ বছরও। দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার পর নিজেদের পছন্দের সংস্করণে সিরিজ হেরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে আফগানিস্তানের কাছে। আগের দুই সফরে (২০১৮ ও ২০২২) সিরিজজয়ী দল এবার ক্যারিবীয়দের কাছে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। এই দলই আবার বছর শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে। অথচ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক সিরিজে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারা দলটি বিশ্ব আসরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ হেলায় হারিয়েছে।

মেয়েদের জাতীয় দলও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গিয়ে সুবিধা করতে পারেনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা ছাড়া কোনো সাফল্যও তাদের নেই এ বছর। ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল অবশ্য এশিয়া কাপ এনে দিয়েছে আরেকবার। এর বাইরে জাতীয় দল টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে যেসব সাফল্য পেয়েছে, সেগুলোও অঙ্ক মিলিয়ে আসেনি। টেস্টে পাকিস্তানকে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার কথা কে ভাবতে পেরেছিল?

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

টিভিতে

শেয়ার
টিভিতে

ক্রিকেট

আইপিএল, কলকাতা-বেঙ্গালুরু

সরাসরি, রাত ৮টা, স্টার স্পোর্টস ১, ২ ও ৩

ফুটবল

বিশ্বকাপ বাছাই, ইউরোপিয়ান অঞ্চল

 চেক প্রজাতন্ত্র-ফারো আইল্যান্ডস

সরাসরি, রাত ১-৪৫ মিনিট, টেন ৫

ওয়েলস-কাজাখস্তান

সরাসরি, রাত ১-৪৫ মিনিট, টেন ১

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

টি স্পোর্টস

শেয়ার
টি স্পোর্টস

ক্রিকেট

ডিপিএল

পারটেক্স-অগ্রণী ব্যাংক

সরাসরি, সকাল ৯টা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সার্চ কমিটিকে ‘আলটিমেটাম’

শেয়ার
সার্চ কমিটিকে ‘আলটিমেটাম’

ক্রীড়া প্রতিবেদক : গত আগস্টে সার্চ কমিটি করা হলেও এখনো ফেডারেশনগুলোর অ্যাডহক কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। যা নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গত পরশু কমিটিকে আলটিমেটাম দিয়েছে ২০ এপ্রিলের মধ্যে সব কটি ফেডারেশনের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য।

যদিও সার্চ কমিটির জমা দেওয়া কমিটি প্রকাশ করা নিয়ে মন্ত্রণালয় এর মধ্যেই দীর্ঘসূত্রতা দেখিয়েছে। গত পরশু নতুন করে পাঁচটি ফেডারেশনের কমিটি ঘোষণা করা হলেও সার্চ কমিটির অন্যতম সদস্য মেজর (অব.) ইমরোজ আহমেদ বলেছেন, এর মধ্যেও শ্যুটিং, বক্সিং ও উশুর কমিটি তারা (মন্ত্রণালয়) ঘোষণা করেনি।

যদিও কমিটিগুলো আমরা জমা দিয়ে রেখেছি। এক মাসেরও বেশি সময় পর এই পাঁচটি কমিটি দেওয়া হলো। এর আগের ধাপের কমিটিগুলোও জমা দেওয়ার অনেক পরে প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে আবার নানা পরিবর্তন। মন্ত্রণালয় যদি আমাদের ওপর আস্থা রেখে কমিটিগুলো দ্রুত প্রকাশ করত, আমরাও তাতে উৎসাহ পেতাম।
মন্ত্রণালয়ের বর্তমান আলটিমেটামে বলা হয়েছে, কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না বলে চলতি অর্থবছরের ফেডারেশনগুলোর জন্য বরাদ্দ অর্থও তারা ছাড় করতে পারছে না।

যদিও যেসব ফেডারেশনে কমিটি হয়েছে, সেখানেও এনএসসির অর্থের পুরোটা এখনো পাওয়া যায়নি। দাবায় যেমন চার কিস্তির মাত্র একটি দেওয়া হয়েছে, হকিতেও অর্ধেক। তা ছাড়া নতুন কমিটি না হওয়া পর্যন্ত পুরনোদেরই কাজ চালিয়ে নেওয়ার কথা।

তারা সেই অর্থ না পেলে কাজই বা করবে কিভাবে। ইমরোজ জানিয়েছেন, এর মধ্যে ২৪টি কমিটি তাঁরা জমা দিয়েছেন, যার ২১টি প্রকাশিত। বাকিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

মন্তব্য

সবার শেষে জহির

শেয়ার
সবার শেষে জহির

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নানজিংয়ে এশিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে হতাশ করেছেন জহির রায়হান। ৪০০ মিটারে নিজের হিটে সবার শেষে দৌড় শেষ করেছেন তিনি। সময় নিয়েছেন ৪৯.৮৪ সেকেন্ড, যা তাঁর গত বছরের এশিয়ান ইনডোরের টাইমিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি। তেহরানে রুপা জয়ের পথে ৪৮.১০ সেকেন্ডে শেষ করেছিলেন এ স্প্রিন্টার।

নানজিংয়ে ভালো করতে না পারার পেছনে প্রস্তুতির অভাবকে দুষেছেন এই অ্যাথলেট, বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের মতো আসরে অংশ নেব আমি, সেই অনুপাতে কি প্রস্তুতি নিতে পেরেছি আমি? বলতে গেলে কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই তো এসেছি। আর্মি স্টেডিয়ামে সপ্তাহখানেক নিজের মতো অনুশীলন করেছি। এতে বিশ্ব আসরের প্রস্তুতি হয়? এই ট্র্যাকেই তো কোনো দিন দৌড়াইনি আমি। এর যে তীব্র বাঁক, সে বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না।

আমি শুরুতে ভারসাম্যই রাখতে পারছিলাম না। কোনো রকমে দৌড় শেষ করেছি।

গত বছর তেহরানের সেই আসরের পর এ ধরনের ট্র্যাকে আর নামাই হয়নি জহিরের। নানজিংয়ে গেছেন তিনি একরকম অংশগ্রহণ করতেই।

আর শুধু অংশগ্রহণের মানসিকতা থেকে কখনোই ভালো কিছু হবে না বলে আক্ষেপ করেছেন, এই ধারণা থেকেই আমাদের এখন বেরিয়ে আসতে হবে। এখানে যারা অংশ নিয়েছে তাদের কারো চেয়েই আমার শারীরিক ফিটনেস খারাপ নয়। কিন্তু তাতে কী, আমার যে প্রস্তুতিই নেই। ৪০০ মিটারের আউটডোরে জহিরের রেকর্ড টাইমিং যদিও ৪৬.৮৬ সেকেন্ড। সেটিও করেছিলেন ২০১৯ সালে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ