তারা স্বপ্ন দেখে দিল্লির লাট ভবনে একজন বাঙালি বসে আছে। বাংলার মানুষ আজ যা ভাবে, ভারতের অন্য এলাকার মানুষ আগামীকাল তা ভাবে। কাজেই উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন বজায় রাখতে হলে বাংলাকে বিভক্ত করতে হবে। যদিও ইংরেজদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল বাংলা ভাগ হওয়ার ফলে এই অঞ্চলে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির পথ সুগম হয়েছে। কিন্তু পূর্ব বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন ইংরেজদের উদ্দেশ্য ছিল না। তাদের নীতি ছিল ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল।’
পরবর্তী সময়ে ১৯৪০ সালে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবে বাংলাকে আলাদা স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার বিধান রাখা হয়েছিল। মূল লাহোর প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, সন্নিহিত এলাকায় অবস্থিত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে এক বা একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে। পরে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ টাইপিং মিসটেক হিসেবে উল্লেখ করে একাধিক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের বিধানটি বাতিল করেন। অখণ্ড ভারতে যাঁরা বাঙালি নেতা ছিলেন তাঁরা ঠিকই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন দেড় হাজার মাইলের ব্যবধানে দুটি অঞ্চল, যাদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সম্পূর্ণ ভিন্ন, তারা শুধু ধর্মীয় পরিচয়ে একক জাতিসত্তা গঠন করতে পারে না। যাহোক, সেই সময় পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার বাসনা জলাঞ্জলি দিতে হলেও তাঁরা হৃদয়ে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা লালন করতে থাকেন। তাই যখনই অখণ্ড পাকিস্তানের অধীনে তাদের স্বাধীনতা এবং কৃষ্টি-কালচারের ওপর আঘাত এসেছে তখনই বাংলাদেশের মানুষ তা রুখে দাঁড়িয়েছে। বুকের রক্ত দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৮ সালেই প্রথম সংকট দেখা দেয় রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঘটে বিস্ফোরণ। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ বাংলাভাষী হলেও উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে পাকিস্তানিদের চক্রান্ত রুখে দেয়। সেই সময়ই বাংলাদেশের মানুষ বুঝে নেয় পাকিস্তানের সঙ্গে একত্র থাকা সম্ভব নয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকচক্রের হঠকারিতার জন্যই বাংলাদেশের মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল। জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের কাছে যদি শাস্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হতো, তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতে পারত।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের বেলা পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড শুরু করলে বাংলাদেশের মানুষ হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ২৬ ও ২৭ মার্চ কালুর ঘাট রেডিও স্টেশন থেকে তৎকালীন মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরবর্তী সময়ে দিবসগুলোতে সেই ভাষণই কিছুটা পরিবর্তিত আকারে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে পুনরায় ঘোষণা করা হয়। রেডিওতে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে আমার যে কি অনুভূতি হয়েছিল তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মেজর জিয়ার সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার পর আমি স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হই এবং মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকি। আমার সৌভাগ্য, আমি মাতৃভূমির স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আমার জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি আমার মানসপট থেকে কখনো বিদূরিত হবে না। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন তরুণ শিক্ষক। ১৯৭১ সালে মার্চ মাসের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে আমি সূর্য সেন হলের একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছিলাম। অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে মার্চ মাসের মাঝামাঝি কিছুদিনের জন্য নিজ শহর ফেনীতে চলে যাই। আমি ঢাকা আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু আমি ঢাকা আসতে পারছিলাম না। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি বাহিনী অতর্কিতে নিরীহ বাঙালিদের ওপর সামরিক অভিযান শুরু করে। ঢাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষকে হত্যা করা হয়। এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জেলা ও মহকুমা শহরগুলোতে অভিযান শুরু করে। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফেনী শহরে সামরিক অভিযান শুরু করে। স্থল বাহিনীর অগ্রযাত্রাকে নিরাপদ করার জন্য প্রথমে বিমানবাহিনী ফেনী শহরে হামলা শুরু করে। প্রথম যেদিন ফেনীতে বিমান হামলা করা হয় সেদিন আমি পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ফেনী শহরেই ছিলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি আসলে কী হচ্ছে। পরে আমরা বুঝতে পারি পাকিস্তানি বাহিনী একতরফা বিমান হামলা শুরু করেছে। আমরা বাসার সবাই ভয়ে খাটের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করি। বিমান হামলা থেমে গেলে রাস্তায় বেরিয়ে দেখি মানুষ এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে। পরদিন আমি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শহরের অদূরে গ্রামের বাড়িতে চলে যাই।
এলাকার যুবসমাজ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল। আমাদের এলাকায় মকবুল হোসেন মকু মিয়া নামের এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তিনি গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। আমি মকু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করি এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে আগ্রহী ছাত্র-যুবকদের প্রশিক্ষণদানের জন্য অনুরোধ জানাই। মকু মিয়া আমার অনুরোধে সাড়া দেন। আমরা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সভা আহ্বান করি। সেই সভার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণেচ্ছুদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
সেই সময় যুদ্ধের প্রকৃত অবস্থা জানার তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। রেডিও পাকিস্তান থেকে প্রচারিত মিথ্যা সংবাদ কেউ বিশ্বাস করত না। সেই সময় যুদ্ধের প্রকৃত অবস্থা জানার একমাত্র মাধ্যম ছিল বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা। গ্রামে কয়েকটি রেডিও ছিল। শ্রোতারা জটলা পাকিয়ে বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার খবর শুনত। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খবরও তারা মনোযোগ দিয়ে শুনত।
রেডিওতে ঘোষণা করা হয়, ১ জুন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। এ অবস্থায় আমি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকি। আমি কি ঢাকায় ফিরে যাব, নাকি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যা্ব? নাকি গ্রামেই অবস্থান করব? কিন্তু অনেকেই পরামর্শ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরও আমি যদি যোগদান না করে গ্রামে অবস্থান করি অথবা ভারতে চলে যাই, তাহলে পুরো পরিবার বিপদে পড়তে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত ঢাকা আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং ৩১ মে আমি ঢাকা চলে আসি।
ঢাকা আসার পর আমি ডাকযোগে জীবননাশের হুমকিসংবলিত একটি চিঠি পাই। যমদূত বাহিনীর এই চিঠি পাওয়ার পর আমি ঢাকা শহর ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। কারণ ঢাকা শহর আমার জন্য তখন আর নিরাপদ ছিল না। আমি ৩১ মে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার মানসে রাজধানী ত্যাগ করি।
আমি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের পথে যাত্রা শুরু করি। এর মাধ্যমে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের অধ্যায় শুরু হলো।
কিছুদিন আগরতলায় অবস্থান করার পর আমি কলকাতা গমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। উদ্দেশ্য ছিল বৃহত্তর পরিসরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া। কলকাতা পৌঁছানোর পর আমরা কয়েকজন মিলে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জনমত গঠনের কাজে নিয়োজিত হই। বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার চেষ্টা করি। পরবর্তী সময়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নানা সংকট পেরিয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করি।
আমরা সদ্যঃস্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অবদান রাখার অঙ্গীকার করি। আমার অঙ্গীকার ছিল মানবিক সমাজ গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সত্যিকারার্থে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা। কিন্তু স্বপ্নভঙ্গ হতে বিলম্ব হয়নি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোনো একক দলের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়নি। সব দল-মতের মানুষ এতে অংশ নিয়েছি। এটা ছিল মূলত জনযুদ্ধ। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে নেয়। অথচ সেই সময় জাতীয় সরকার গঠন করে সম্মিলিতভাবে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই ছিল জরুরি। জাতীয় সরকার গঠিত হলে সম্মিলিতভাবে দেশের পুনর্গঠনে কাজ করা সম্ভব হতো। তখনকার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের এক শ্রেণির নেতাকর্মী দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গণবাহিনী তৈরি করে। সে সময় সরকার রক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে বিরোধী দলের ওপর সীমাহীন নির্যাতন চালায়। বিশেষ করে সরকারি দলের লোকদের নির্বিচার লুটপাটের কারণে ১৯৭৪ সালে দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। অসংখ্য মানুষ খাদ্যাভাবে মারা যায়। পরে বিভিন্ন গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে যে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের পেছনে খাদ্যের স্বল্পতা যতটা না দায়ী ছিল তার চেয়ে বেশি দায়ী ছিল খাদ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারা। সরকারদলীয় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সেই সময় দেশের বাইরে খাদ্য পাচার করেছিল। সরকারি দলের এক শ্রেণির নেতাকর্মীর ব্যাপক লুটপাটের কারণে দেশে অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। এমনকি এক অবস্থায় বাকশাল গঠন করে রাষ্ট্রক্ষমতা চিরদিনের জন্য কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালানো হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। সেনাবাহিনীর একটি বিক্ষুব্ধ অংশের হাতে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। কিন্তু দেশে যে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তা কোনো না কোনোভাবে এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বিনা ভোটে নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে। আগে বিদেশি শাসকরা আমাদের দেশ থেকে অর্থ-সম্পদ লুটে তাদের দেশে নিয়ে যেত। আর এখন আমাদের দেশের এক শ্রেণির মানুষ দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে অর্থ উপাজন করে তা বিদেশিদের কাছে দিয়ে আসছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে গঠিত শ্বেতপত্র কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার সমতুল্য ২৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে বিপর্যস্ত করে ফেলা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতির মাধ্যমে যেভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে তার কোনে নজির নেই। উন্নয়নের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুট করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভারতে পলায়ন করেছেন। দেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের পূর্বাকাশে নতুন সূর্যের উদয় হয়েছে। উদীত নতুন সূর্যের আলোয় আমাদের আগামী দিনে পথ চলতে হবে। এর আগেও বেশ কয়েকবার আমরা দেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থপরতা ও দূরদর্শিতার অভাবেব কারণে সেই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু এবার ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা যদি ৫ আগস্টের নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারি, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে বাধ্য। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতি গঠনে সবাইকে তৎপর হওয়া। ক্ষুদ্র স্বার্থে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া হলে আগামী প্রজন্ম আমাদের কখনোই ক্ষমা করবে না।
লেখক : সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত