<p> কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার কার্যক্রম শুরু হয়ে আবারও মুলতবি করা হয়েছে। চার মাস পর গত বুধবার কোচবিহার জেলার সোনারী এলাকায় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে (জিএসএফসি) বিচারকাজ শুরু হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে আদালত আদেশ দেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ বিচারকাজ মুলতবি থাকবে।</p> <p> ফেলানী হত্যা মামলায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামকে আইনি পরামর্শ প্রদানকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন পর মামলাটির বিচারকাজ শুরুর পরে আবারও দীর্ঘসময় নেওয়া হতাশাজনক।</p> <p> ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে ফেরার সময় কাঁটাতার অতিক্রমকালে বিএসএফ চৌধুরীহাট ক্যাম্পের সদস্য অমিয় ঘোষ ১৫ বছরের কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করেন। ফলে কাঁটাতারেই ঝুলতে থাকে ফেলানীর মৃতদেহ। এ ঘটনার দুই বছর পর ২০১৩ সালে কোচবিহারে ফেলানী হত্যা মামলায় জিএসএফ আদালত বিএসএফ সদস্যকে নির্দোষ ঘোষণা করে রায় দেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনর্বিচারের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। এর সূত্র ধরে পুনর্বিচার শুরু হলে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ওই আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু। প্রথম সাক্ষ্য বলবৎ থাকায় পুনর্বিচারে ফেলানীর বাবাকে আর সাক্ষ্য দিতে হবে না।</p> <p>  </p>