যেমন হবে নিয়োগ পরীক্ষা
লিখিত, মৌখিক এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করা হবে। যোগ্য প্রার্থীদের প্রথমেই লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই পদভিত্তিক ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
বিগত পরীক্ষার আলোকে প্রস্তুতি
ডাক বিভাগের কর্মরত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান—এই চার বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়। স্নাতক ও এইচএসসি পাস চাওয়া পদগুলোর ক্ষেত্রে একাদশ-দ্বাদশ ও নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকেই প্রশ্ন আসে। এসএসসি ও অষ্টম পাস চাওয়া পদগুলোর পরীক্ষায় অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন করা হয়। বাংলা অংশে ব্যাকরণ থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। গদ্য ও পদ্য থেকে প্রশ্ন কম থাকে।
পদভিত্তিক যোগ্যতা
একটি বিজ্ঞপ্তিতে পদের ধরন ১২টি, পদ ৫২৪টি। এর মধ্যে পোস্টম্যান নেওয়া হবে ১৯০ জন; দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ পেয়ে এসএসসি বা সমমান পাস। স্ট্যাম্প ভেন্ডার তিনজন; এসএসসি পাস এবং তিন বছরের অভিজ্ঞতা। ওয়্যারম্যান একজন; এসএসসি বা সমমান পাস এবং ইলেকট্রিকের কাজে বি/সি ক্যাটাগরির লাইসেন্সপ্রাপ্ত। আমর্ড গার্ড পাঁচজন; এসএসসি বা সমমান পাস এবং অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্যাকার-কাম-মেইল ক্যারিয়ার ১২৩ জন; এসএসসি বা সমমান পাস। অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) ২৩ জন; এসএসসি বা সমমান পাস। গার্ডেনার পাঁচজন; অষ্টম বা সমমান পাস এবং বাগান পরিচর্যায় অভিজ্ঞ। পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) ১১ জন; অষ্টম বা সমমান পাস। বার্তাবাহক দুজন; এসএসসি বা সমমান পাস। রানার ১৩১ জন; এসএসসি বা সমমান পাস। বোটম্যান তিনজন; এসএসসি বা সমমান পাস। নিরাপত্তা প্রহরী ২৭ জন; এসএসসি বা সমমান পাস।
অন্য বিজ্ঞপ্তিতে পদের ধরন ১৫টি, পদ ২২১টি। এর মধ্যে সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর (স্টেনোটাইপিস্ট) চারজন, দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমান পাস এবং নির্ধারিত কম্পিউটার টাইপিং গতি। উচ্চমান সহকারী ১১ জন; দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমান পাস এবং নির্ধারিত কম্পিউটার টাইপিং গতি। ক্যাশিয়ার একজন; স্নাতক বা সমমান পাস। টেকনিশিয়ান একজন; এইচএসসি বা সমমান পাস এবং সংশ্লিষ্ট ট্রেড কোর্স সনদপ্রাপ্ত। কম্পাউন্ডার/ফার্মাসিস্ট একজন; এসএসসি বা সমমান পাস এবং ফার্মাসিস্ট কোর্স সনদপ্রাপ্ত। ড্রাফটসম্যান দুজন; দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ পেয়ে এইচএসসি বা সমমান পাস এবং ড্রাফটসম্যানশিপে ছয় মাসের সনদধারী। পোস্টাল অপারেটর ১৮০ জন; দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ পেয়ে এইচএসসি বা সমমান পাস। ড্রাইভার (ভারী) একজন এবং ড্রাইভার (হালকা) পাঁচজন; এসএসসি বা সমমান পাস এবং ভারী বা হালকা গাড়ি চালনায় দুই বছরের অভিজ্ঞতা। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (টাইপিস্ট) তিনজন; দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ পেয়ে এইচএসসি বা সমমান পাস এবং নির্ধারিত কম্পিউটার টাইপিং গতি। অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সাতজন; দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ পেয়ে এইচএসসি বা সমমান পাস এবং নির্ধারিত কম্পিউটার টাইপিং গতি। কার্পেন্টার একজন; এসএসসি বা সমমান পাসসহ ট্রেড কোর্সধারী ও তিন বছরের অভিজ্ঞতা। পাম্প অপারেটর একজন; এসএসসি বা সমমান পাসসহ ট্রেড কোর্সধারী ও দুই বছরের অভিজ্ঞতা। প্লাম্বার দুজন; এসএসসি বা সমমান পাসসহ ট্রেড কোর্সধারী। মিডওয়াইফ একজন; এসএসসি বা সমমান পাসসহ এক বছরের ট্রেড কোর্সধারী।
সব পদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর (১১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী)।
বেতন-ভাতা
সব পদই রাজস্ব খাতভুক্ত। তাই নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেলে (২০১৫) নির্ধারিত গ্রেড অনুসারে বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও আবেদনের লিংক
http://pmgec.teletalk.com.bd
সম্পর্কিত খবর
নিয়োগ পরীক্ষা
প্রার্থী নির্বাচন করা হবে লিখিত, ব্যাবহারিক (প্রযোজ্য হলে) ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। তবে পদভেদে রচনামূলক প্রশ্নও থাকতে পারে। সাধারণত বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান—এই চার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
জনবল নেওয়া হবে ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদের পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে হবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে।
বাংলা বিষয়ে ব্যাকরণ, সাহিত্য, গদ্য ও পদ্য অংশ, ইংরেজি বিষয়ে গ্রামারের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। গণিত বিষয়ে পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি থেকে প্রশ্ন করা হতে পারে।
পদ ও যোগ্যতা
জুনিয়র সায়েন্টিফিক অ্যাসিস্ট্যান্ট ১ জন—পদার্থবিজ্ঞান/রসায়নে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের ফলসহ স্নাতক পাস। উচ্চমান সহকারী ৭, স্টোর হাউজম্যান ১০ এবং স্টোর হাউজ সহকারী ৩ জন—স্নাতক বা সমমান পাস। সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ৬ জন—দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের ফলসহ স্নাতক পাস এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ে নির্ধারিত গতি।
বেতন-ভাতা
জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী মাসিক বেতন ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।
আবেদন: http://bndcp.teletalk.com.bd
চেয়ারম্যান: এমবিএ করেছেন?
আমি: জি স্যার।
So then what are you doing now?
-Sir, mainly I am preparing myself for Government job and recently I have been... (আমতা-আমতা করছিলাম)
So you want to say, ‘You have been recommended?’
- Yes sir, recently I have been recommended as Officer in Bangladesh Krishi Bank.
Ok fine. Are you comfortable in English or Bangla?
—স্যার, বাংলায় বেশি কমফোর্টেবল।
ওকে, মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে পার্থক্যটা কী আসলে?
—মূল্যস্ফীতি মানে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া, আর মুদ্রাস্ফীতি হলো মুদ্রার অবমূল্যায়ন।
আচ্ছা, মনিটরিং পলিসি ও ফিসক্যাল পলিসি কিভাবে প্রণীত হয়?
—ফিসক্যাল পলিসি সরকার তৈরি করে।
এক্সটার্নাল ১: দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে মার্কেটিংয়ের ছাত্র হিসেবে কী কী পদক্ষেপ নেবেন?
—ম্যাম, আমি মনে করি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী বিপণন ব্যবস্থা হাতে নিতে হবে। যেমন—প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ট্রাকে করে ন্যায্য দামে ডিম বিক্রি শুরু করেছে। এভাবে সব পর্যায়ের উদ্যোক্তরা এগিয়ে এলে সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
কিন্তু এর পরও তো দাম বাড়ে। সিন্ডিকেট ভাঙার পরও দাম বাড়ে কেন?
—ম্যাম, মজুদদারি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য।
প্ল্যান ও স্ট্র্যাটেজির মধ্যে কোনটা আগে?
—‘প্ল্যান’ হচ্ছে ভবিষ্যতে কিভাবে কাজ করব তার একটা রূপরেখা তৈরি করা। আর স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে সেই প্ল্যান বাস্তবায়ন করার কৌশল। প্ল্যান আগে করা হয়, স্ট্র্যাটেজি পরে।
এক্সটার্নাল ২: আচ্ছা, পত্রিকায় এসেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ‘ডি’ ক্যাটাগরির গভর্নর। কী কী কারণে ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে? টু দ্য পয়েন্ট বলবেন।
—স্যার, বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, ব্যাংকিং খাতে অব্যবস্থাপনা, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক না করা ইত্যাদি। (অনুমান করে বলেছি)
আচ্ছা, আপনি যে ব্যাংকিং খাতে অব্যবস্থাপনার কথা বললেন। এটা রোধে আইএমএফ কী কী পদক্ষেপ নিতে বলেছিল?
—ডলারের মূল্য বাজারভিত্তিক করতে বলেছিল।
সেটা তো এখন বলেছে। আগে কী বলেছে?
—স্যার, এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
চেয়ারম্যান: শরীফুল, আপনার ভাইভা শেষ।
দায়িত্ব কী
আবেদনের আগে উল্লেখযোগ্য পদগুলোর কাজ বা দায়িত্ব জেনে নেওয়া জরুরি। পরিসংখ্যান সহকারী এবং জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী পদের কর্মীর মূল কাজ—বিভিন্ন শুমারির জন্য সংশ্লিষ্ট উৎসগুলো থেকে পরিসংখ্যানসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা। এরপর সেগুলো সফটওয়্যারে এন্ট্রি বা সংরক্ষণ করা। ডাটা বিশ্লেষণ, সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা, ডাটা ক্লোনিং, পরিসংখ্যানগত তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থা্পনাও করতে হয় কর্মীদের।
পরীক্ষা কেমন হতে পারে
লিখিত, ব্যাবহারিক (প্রযোজ্য হলে) ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
বিবিএসের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় অষ্টম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণত মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্যবই থেকেই বেশির ভাগ প্রশ্ন করা হয়। এ ছাড়াও সমসাময়িক বিষয়সহ সাধারণ জ্ঞানে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করার জন্য বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। বাজারে পরিসংখ্যান ব্যুারোর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সহায়ক বই পাওয়া যায়। ভালো প্রস্তুতির জন্য সহায়ক বইও সংগ্রহে রাখতে পারেন।
পরিসংখ্যান সহকারী ও জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী ও চেইনম্যান পদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়বস্তুর ওপর দখল থাকতে হবে। বাংলা ব্যাকরণ অংশের বাক্য রচনা, সমাস, কারক, ভাষা, সন্ধিবিচ্ছেদ, এক কথায় প্রকাশ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। গদ্য ও পদ্য অংশ থেকেও প্রশ্ন আসে, তবে কম। ইংরেজি গ্রামার অংশে Transformation of verbs, Phrase & idiom, Translation, Fill in the blank, sentence making, Correction, Narration, Voice, Sprats of speech খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণিতের পাটিগণিতে লসাগু, গসাগু, শতাংশ, গড় নির্ণয়, শতকরা, সুদকষা, অনুপাত ও সমানুপাত এবং বীজগণিতে উৎপাদক, মান নির্ণয় অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ জ্ঞানে ভালো করতে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার পাশাপাশি বাংলাদেশ, বিজ্ঞান, কম্পিউটার, ইতিহাস, সংস্কৃতির ভালো জানাশোনা থাকতে হবে।
পদ ও যোগ্যতা
সিনিয়র নকশাবিদ ৪ জন—ভূগোল/ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানসহ স্নাতক। পরিসংখ্যান সহকারী ৮৫, জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী ২২৬, ইনুমারেটর ৪, এডিটিং অ্যান্ড কোডিং অ্যাসিস্ট্যান্ট ১১ এবং নকশাবিদ ৩ জন—পরিসংখ্যান/অর্থনীতি/গণিতসহ কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানসহ স্নাতক। কম্পিউটার অপারেটর ১০ জন—বিজ্ঞানে স্নাতক বা সমমান। হিসাবরক্ষক ১ জন—বাণিজ্যে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানসহ স্নাতক। উচ্চমান সহকারী ৮ জন—স্নাতক বা সমমান। ক্যাশিয়ার ২ জন—বাণিজ্যে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানসহ স্নাতক। সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ৯ জন—ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমান। জুনিয়র নকশাবিদ ৯ জন—ড্রাফটসম্যানশিপে ডিপ্লোমা। কম্পোজিটর ৪ জন—স্নাতক বা সমমান। স্টোর কিপার ১ জন—স্নাতক বা সমমান। ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর ৪২ জন—ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমান। ডুয়াল ডাটা অপারেটর ১২ জন—এইচএসসি বা সমমান। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ১০ জন—এইচএসসি বা সমমান। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ২৩ জন—ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমান পাস। বুক বাইন্ডার ৩ জন—এইচএসসি বা সমমান এবং বই বাঁধাইয়ের কাজে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা। গাড়িচালক ৫ জন—জেএসসি বা সমমানের এবং হালকা বা ভারী গাড়ী চালনার বৈধ লাইসেন্সধারী। সহকারী স্টোরকিপার ২ জন—এইচএসসি পাস। মেশিনম্যান ৩ জন—এইচএসসি পাস এবং প্রিন্টিং প্রেসে সহকারী পদে দুই বছরের অভিজ্ঞতা। মেশিনম্যান কাম ক্লিনার দুজন—এইচএসসি এবং প্রিন্টিং প্রেসে সহকারী পদে দুই বছরের অভিজ্ঞতা। প্যাকার তিনজন—এইচএসসি এবং প্যাকিংয়ে দুই বছরের অভিজ্ঞতা। চেইনম্যান ১৭৯ জন—এসএসসি। অফিস সহায়ক ৭৭ জন—এসএসসি।
আবেদন: http://bbs.teletalk.com.bd
মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলে চাকরি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার! কিভাবে সুযোগ পেলেন?
আমি প্রায় পাঁচ বছর অ্যামাজনে কাজ করেছি। সেখানে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যালেক্সার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) টিমে সিনিয়র অ্যাপ্লায়েড সায়েন্টিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলাম। এক পর্যায়ে মনে হলো, ক্যারিয়ার উন্নয়নের গতি ধীর হয়ে আসছে, নতুন কিছু করা উচিত। এদিকে ওরাকল থেকে প্রস্তাব পেয়ে ই-মেইলে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা হয়।
বাছাই প্রক্রিয়া কয়টি ধাপে হয়েছে? কী কী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে?
আন্তর্জাতিক শীর্ষ পর্যায়ের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত দুই থেকে চার রাউন্ডে ইন্টারভিউ হয়।
সেখানে টিমের একজন বিজ্ঞানী প্রার্থীর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে বোঝার চেষ্টা করেন, প্রার্থীর প্রয়োজনীয় দক্ষতা আছে কি না। আমার ক্ষেত্রে ন্যাচরাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই রাউন্ডে ভালো করলে পরের রাউন্ডে (অনসাইট) যাওয়ার সুযোগ হয়। সেখানে সাধারণত পাঁচজন কর্মকর্তা এক ঘণ্টা করে মোট পাঁচ ঘণ্টা ইন্টারভিউ নেন। সেটা এক দিনেও হতে পারে, আবার পর পর দুই দিনেও হতে পারে।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে চ্যালেঞ্জ কী কী?
আমি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আমেরিকায় পড়তে এসেছি। ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনে পিএইচডি করে চাকরিতে ঢুকেছি। আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে, ইমিগ্রেশন ও ভিসার জটিলতা। আমেরিকায় চাকরি করতে হলে এইচওয়ানবি (ওয়ার্ক পারমিট) ভিসা নিতে হয়। এটার জন্য এইচওয়ানবি ভিসা স্পন্সর করে—এমন প্রতিষ্ঠান দরকার হয়। খুব কম প্রতিষ্ঠানই এটা করে থাকে। একদিন সকালে অফিসে গিয়ে হয়তো দেখবেন আপনার চাকরিটা নেই! এমন অহরহ হচ্ছে। চাকরি হারানোর পর ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরি না পেলে এইচওয়ানবি ভিসা বাতিল হয়ে যায়। আরেকটা চ্যালেঞ্জ—কমিউনিকেশন স্কিল। মানুষের সামনে উপস্থাপনা, তাদের সামনে কথা বলা, পেশাগত নেটওয়ার্ক তৈরি, ক্রিটিক্যাল রাইটিং, নিয়োগকর্তার কাছে নিজের অভিজ্ঞতা ঠিকঠাক তুলে ধরা—এসব যোগ্যতা অনেকেরই নেই। প্রার্থীদের বড় একটি অংশ ঠিকমতো একটা প্রফেশনাল ই-মেইল লিখতে পারে না, সিভি বানাতে পারে না।
প্রিন্সিপাল অ্যাপ্লায়েড সায়েন্টিস্টের কাজ কী? সারা বিশ্বে এই পদের সুযোগ কেমন?
এটা একটা টেকনিক্যাল লিডারশিপ রোল বা পদ। প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের গতিপথ ডিজাইন করা এবং সেটা সমাধানের জন্য সিনিয়র এবং জুনিয়র সায়েন্টিস্টদের নেতৃত্ব দেওয়াই এই পদের মূল কাজ। এ ছাড়া দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকৌশল নির্ধারণে সাহায্য করাও এই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। জুনিয়র এবং সিনিয়র লেভেলে প্রজেক্ট ডেলিভারি করা মূল দায়িত্ব। আর প্রিন্সিপাল লেভেলে ভিশন ডেভেলপ করা এবং সেটার জন্য দীর্ঘ বা স্বল্প মেয়াদে কী ধরনের গবেষণা করা উচিত, সেটার পরিকল্পনা করতে হয়। প্রতিষ্ঠানভেদে এই পদকে স্টাফ সায়েন্টিস্টও বলা হয়।
ওরাকলের আগে কোথায় কোথায় কাজ করেছেন?
দেশে পড়াশোনা করেছি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমার বিভাগেই (সিএসই) গবেষক হিসেবে দুই বছর চাকরি করেছি বাংলা সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা প্রজেক্টে। এরপর আমি চলে আসি যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করতে। আমার গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং, ডিপ লার্নিং। পিএইচডি করার সময় আমি ইন্টেল, জেনারেল ইলেকট্রনিকস এবং অ্যামাজনে ইন্টার্নশিপ করেছি। তারপর পিএইচডি সম্পন্ন করে অ্যামাজনে যোগ দিই অ্যাপ্লায়েড সায়েন্টিস্ট হিসেবে। সেখানে প্রায় পাঁচ বছর চাকরি করেছি। সর্বশেষ যোগ দিই ওরাকলে।
যারা বিশ্বের প্রথম সারির আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চায়, তারা কিভাবে নিজেদের প্রস্তুত করবে? এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য চ্যালেঞ্জ কী কী?
প্রতিদিন নিজের স্কিল নিয়ে কাজ করতে হবে, পড়াশোনা ঠিকমতো করতে হবে। নিজের স্কিল নিয়ে কাজ করতে করতে এক্সপার্ট হয়ে গেলে চাকরি খোঁজার কষ্ট করতে হয় না। এ যুগে অনেক কিছুই অনলাইনে শেখা যায়। আমিও অনেক কিছু অনলাইনে শিখেছি। আমি বাংলাদেশিদের জন্য আলাদা কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছি না। পড়াশোনায় ভালো হলে বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক) পর্যন্ত বিনা খরচায় পড়া যায়। তবে এটা ঠিক, বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিবেশ নষ্ট করছে ‘রাজনীতি’।
এখন আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে কোন কোন দক্ষতার কর্মীদের চহিদা সবচেয়ে বেশি? কিভাবে এসব দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব?
বর্তমানে এআইনির্ভর প্রযুক্তির দক্ষতার অনেক চাহিদা। এ ধরনের সফটওয়্যার নিয়ে কাজ জানা থাকলে বহু উপায়ে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ইন্টারনেটে এগুলো শেখার প্রচুর ফ্রি রিসোর্স অনলাইনে পাওয়া যায়। নিয়মিত চর্চা করতে হবে। যাঁরা কম্পিউটার বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাঁদের জন্য প্রগ্রামিং ভালোমতো শেখা, ডাটা স্ট্রাকচার এবং অ্যালগরিদমে দক্ষ হওয়া, প্রচুর প্রজেক্ট করে প্র্যাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা অর্জন করা খুব জরুরি। আমি যখন পিএইচডি করতে আমেরিকায় আসি, তখন অনেক কিছু প্রথমবারের মতো জানতে পারি। আমার অসংখ্যবার আফসোস হয়েছে, ইশ! এগুলো যদি আমি দেশে থাকা অবস্থাতেই জানতাম তাহলে ক্যারিয়ারে হয়তো আরো ভালো করতে পারতাম। তাই সময় পেলে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনলাইনে লেখালেখি করি, ভিডিও তৈরি করি।