যেভাবে চাকরি পেলাম

বিসিএসের প্রস্তুতি গতানুগতিক ছিল না আমার

  • বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন নিয়ামত আলী খান হিমেল। ৪১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। তাঁর চাকরি পাওয়ার গল্প শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
বিসিএসের প্রস্তুতি গতানুগতিক ছিল না আমার
নিয়ামত আলী খান হিমেল

ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি এবং ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করি। উভয় পরীক্ষায়ই ছিল জিপিএ ৫। এইচএসসির পর ভর্তি হই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশলে (আইপিই)। স্নাতক শেষ করে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিকসে মাস্টার্স করেছি।

৪১তম বিসিএস ছিল আমার পঞ্চম চাকরি। আমি ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে পাঁচ বছর চাকরি করেছি। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় এক বছর আট মাস চাকরি করি। এ ছাড়া আমি বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স করপোরেশনে সিনিয়র অফিসার, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথোরিটিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি।

আমি বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করি স্নাতক পাস করার পর থেকে। কিন্তু শুরুর দিকে প্রস্তুতি তেমন গোছানো ছিল না। তাই ৩৮তম আর ৪০তম বিসিএসে শুরুতেই ছিটকে যাই। এরপর  ২০২০ সালে ৪১তম বিসিএস সামনে রেখেই প্রস্তুতি শুরু করি।

এই বিসিএসের প্রিলি-লিখিত পাস করে ভাইভায় অংশ নিই। ভাইভা বোর্ডে ছিলাম ১৫ মিনিটের মতো। অতঃপর ফলাফলে বিসিএস প্রশাসনে মেধাতালিকায় স্থান পাই।

আমার কাছে ক্যারিয়ারের অনেকগুলো অপশনের মধ্যে বিসিএস একটি ছিল। আমি ২০১৭ সালে গ্র্যাজুয়েশনের পরপরই চাকরিতে ডাক পাই।

বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিকালে কাজের চাপের মধ্যেই ৪১তম বিসিএসকে লক্ষ্য করে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। বিজ্ঞপ্তির অনেক লম্বা সময় পর বিসিএস প্রিলিমিনারি অনুষ্ঠিত হয়। মনে আত্মবিশ্বাস তৈরি, প্রস্তুতি ধরে রাখলে পরীক্ষায় অবশ্যই ভালো করতে পারব!

প্রিলি বা লিখিত কোনো পরীক্ষায়ই সশরীরে আমার পক্ষে কোচিংয়ে গিয়ে ক্লাস করা সম্ভব ছিল না। সপ্তাহে ছয় দিন অফিস ছিল, সকাল ৭টায় উত্তরা থেকে গাজীপুরে অফিস করতে যেতাম। বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ৮টার মতো বেজে যেত। তবে করোনাকালে অন্যদের মতো আমিও অনলাইনে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। সিলেবাস এড়িয়ে টপিক ধরে ধরে পড়াশোনা করে অফিসের গাড়িতে আসা-যাওয়ার সময় মডেল টেস্ট দিতাম, অনলাইনে ক্লাস করতাম। প্রিলিমিনারির আগে রুটিন ছিলসকালে অফিসে যেতে যেতে গাড়িতে মডেল টেস্ট দিতাম। ফেরার পথে আগের দিনের মডেল টেস্টের ফলাফল ও উত্তর বিশ্লেষণ করতাম। বাসায় এসে দু-এক ঘণ্টা নতুন টপিকের ওপর পড়তাম।

প্রিলি পরীক্ষার প্রস্তুতি যথেষ্ট ভালোভাবে নিলেও লিখিত পরীক্ষার জন্য মনমতো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। অফিসের গাড়িতে আসা-যাওয়ার সময় অনলাইনে প্রতিদিনের ক্লাসগুলো করতাম। তবে প্রস্তুতি নিয়ে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হতো না। তার পরও চেষ্টা করতাম যতটুকু সম্ভব প্রস্তুতি নিশ্চিতের। লিখিত পরীক্ষায় আমার শক্তির জায়গা ছিল গণিত, বিজ্ঞান, মানসিক দক্ষতা। কারণ এসব বিষয়ে যথেষ্ট ভালো প্রস্তুতি ছিল। সবচেয়ে দুর্বলতার জায়গা ছিল আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি আর বাংলা। বিশেষ করে পরীক্ষার আগের দিনও আন্তর্জাতিকের অর্ধেকের বেশি টপিক অজানা ছিল। ফলে পরীক্ষা প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছি। এখানে চাকরিকালীন ভাইভার প্রস্তুতিতে আগের চেয়ে বেশি সময় পেয়েছি। টপিক ধরে ধরে প্রস্তুতি আর অনুশীলন দুটিই সম্ভব হয়েছিল। এর আগে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করায় ইংরেজিতে কথোপকথনেও সাবলীল ছিলাম। তাই ভাইভায় ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।

আমার কোনো স্টাডি সার্কেল বা গ্রুপ স্টাডির সুযোগ ছিল না। মডেল টেস্টও খুব বেশি দিতে পারিনি। আমার করা বেশির ভাগ উত্তর গতানুগতিক কোচিং ক্লাসের স্যারদের ফরম্যাটের বাইরে ছিল। এটি কিছুটা হলেও এগিয়ে রেখেছে আমাকে।

আমার ভাইভার তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২২। এর দুই দিন পর ছিল পরবর্তী আরেক বিসিএসের (৪৪তম) লিখিত পরীক্ষা।

ভাইভার প্রস্তুতিতে সময় দিতে সিদ্ধান্ত নিলাম ৪৪তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দেব না। ৪১তম বিসিএসে ভাইভা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন বিনয় কৃষ্ণ বালা স্যার। আমার পছন্দক্রম ছিল পররাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ ইত্যাদি। ভাইভায় আমার সঙ্গে স্যাররা আন্তরিকভাবে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেছেন। ক্যারিয়ার নিয়েও প্রশ্ন করেছেন। একটি কমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি। অন্য সব উত্তরেই স্যাররা সন্তুষ্ট ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৬৮৯ শিক্ষানবিশ নিয়োগ দেবে টিআইসিআই

    দক্ষ জনবল তৈরি করতে ৬৮৯ জনকে প্রশিক্ষণ দেবে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (টিআইসিআই)। প্রশিক্ষণ শেষে যোগ্যরা বিভিন্ন ভারী শিল্প-কারখানায় শিক্ষানবিশ হিসেবে চাকরির সুযোগ পাবেন।
মো. সাজিদ
মো. সাজিদ
শেয়ার
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৬৮৯ শিক্ষানবিশ নিয়োগ দেবে টিআইসিআই

নির্বাচনী পরীক্ষা পদ্ধতি

আবেদনের পর প্রথমেই নেওয়া হবে লিখিত পরীক্ষা। উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচন করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার দিন প্রার্থীর সব প্রয়োজনীয় কাগজ সঙ্গে আনতে হবে। চূড়ান্ত নির্বাচিত প্রার্থীকে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (টিআইসিআই) অধীনে ১২ মাসের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

এ ছাড়া ইন-প্লান্ট প্রশিক্ষণের জন্য দেশের ভারী শিল্প-প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।

 

আবেদন পদ্ধতি

অনলাইনে (http://tici.teletalk.com.bd) আবেদন করতে হবে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ১২টার মধ্যে। শুধু অবিবাহিত পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে টিআইসিআই (www.tici.gov.bd) এবং বিসিআইসির (www.bcic.gov.bd) ওয়েবসাইটে।

 

পদভিত্তিক যোগ্যতা

অপারেটর পদ ২৪৯টি; এসএসসি ও এইচএসসিতে পদার্থ, রসায়ন ও গণিতসহ উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩ অথবা এসএসসি ও এইচএসসি ভোকেশনালে কম্পিউটার অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স/ ইলেকটনিক্স কন্ট্রোল ও কমিউনিকেশন বিষয়ে জিপিএ ৩ থাকতে হবে। টেকনিশিয়ান (ইলেকট্রিক্যাল/টেকনোলজি) ৯৯টি; এসএসসি ভোকেশনাল/বিজ্ঞান এবং এইচএসসি ভোকেশনাল (ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক্স) সনদসহ উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩ থাকতে হবে। টেকনিশিয়ান (মেকানিক্যাল/মেশিন টুলস টেকনোলজি) পদ ২০১টি; এসএসসি ভোকেশনাল/বিজ্ঞান এবং এইচএসসি ভোকেশনাল (মেকানিক্যাল/মেশিন টুলস) সনদসহ উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩ থাকতে হবে। টেকনিশিয়ান (অটোমোবাইল/রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশন টেকনোলজি) পদ ৪৬টি; এসএসসি ভোকেশনাল/বিজ্ঞান এবং এইচএসসি ভোকেশনাল (অটোমোবাইল/রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশন) সনদসহ উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩ থাকতে হবে।

টেকনিশিয়ান (ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন টেকনোলজি) পদ ৬৭টি; এসএসসি ভোকেশনাল/বিজ্ঞান এবং এইচএসসি ভোকেশনাল (ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন টেকনোলজি) সনদসহ উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩। টেকনিশিয়ান (ড্রাফটিং অ্যান্ড সিভিল/উড ওয়ার্কিং টেকনোলজি) পদ ২১টি; এসএসসি ভোকেশনাল/বিজ্ঞান এবং এইচএসসি ভোকেশনাল (ড্রাফটিং অ্যান্ড সিভিল/উড ওয়ার্কিং টেকনোলজি/ বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) সনদসহ উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩। ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছর।

 

মাসিক ভাতা

উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রশিক্ষণার্থীদের জনপ্রতি মাসে ৩৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে সনদ পাওয়ার পর প্রশিক্ষণার্থীরা বিসিআইসির অধীনস্থ ভারী শিল্প-কারখানায় কাজের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

 

 

 

মন্তব্য

৩৩৭ পদে জনবল নিচ্ছে বন অধিদপ্তর

    রাজস্ব খাতে ২৮৬ বন প্রহরীসহ মোট ৩৩৭ জন নিয়োগ দেবে বন অধিদপ্তর। আবেদন করতে হবে অনলাইনে ২ মার্চ ২০২৫-এর মধ্যে। বন প্রহরীসহ অন্যান্য পদের বাছাই পদ্ধতি, পরীক্ষার প্রস্তুতি, যোগ্যতা ও আবেদন নিয়ে লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
৩৩৭ পদে জনবল নিচ্ছে বন অধিদপ্তর
ছবি : সংগৃহীত

বন প্রহরীর দায়িত্ব কী

দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চল দেখভাল ও রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন বন প্রহরীরা। তারা সরকার নির্ধারিত পোশাক ও অস্ত্রধারী কর্মচারী। বনের গাছপালা, জীবজন্তু, পশুপাখি নিধন ও চোরাচালান রোধে পালাক্রমে রাত-দিন দায়িত্ব পালন করতে হয় তাদের। এ ছাড়া বনের ভেতরেও যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা বা দখল না হয়, সে ব্যাপারেও তদারকি করা বন প্রহরীর কাজ।

বন প্রহরীর চাকরি ১৭তম গ্রেডে (৪র্থ শ্রেণি) হলেও শিক্ষাগত যোগত্যা ও কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ফরেস্টার পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে।

 

বন প্রহরী ও অন্যান্য পদের প্রস্তুতি

২০২৩ সালের বন প্রহরী নিয়োগের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১ ঘণ্টার মোট ৬০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে। সাধারণত বাংলা, সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এবারের নিয়োগ পরীক্ষাও এমসিকিউ পদ্ধতিতে হতে পারে।

পরীক্ষায় সাধারণত বাংলায় ১৫, সাধারণ জ্ঞানে ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিতে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই থেকেই প্রশ্ন বেশি আসে। চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্যবই থেকেই সাধারণত প্রশ্ন করা হয়। বন প্রহরীসহ অন্যান্য পদের জন্য মাধ্যমিকের বাংলা ব্যাকরণ, গদ্য ও পদ্য অংশ, ইংরেজি গ্রামার অংশ, গণিতের পাটিগণিত ও বীজগণিতের ওপর ভালো অনুশীলন করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সহ বাংলাদেশ বন বিভাগ, পরিবেশ মন্ত্রণালয়, ইতিহাস, সংস্কৃতি, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ও বিশ্বএসব বিষয়ের ওপর জানাশোনা থাকতে হবে। ভালো প্রস্তুতির জন্য বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে পারলে প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকাশনীর নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহায়ক বই পাওয়া যায়। বইগুলোও বেশ ভালো কাজে দেবে।

   

বাছাই পরীক্ষা পদ্ধতি

প্রার্থী বাছাইয়ে লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা, মৌখিক এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

বন অধিদপ্তরের বিগত নিয়োগ পরীক্ষায় দেখা গেছে, সবগুলো পদের লিখিত পরীক্ষাই এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেওয়া হয়েছে। তবে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ চাইলে পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। 

 

পদভিত্তিক যোগ্যতা

১২তম গ্রেডের ইঞ্জিন ড্রাইভার/ইঞ্জিনম্যান পদ ১৩টি। যোগ্যতা২য় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ এসএসসি বা সমমান পাস এবং ২য় শ্রেণির ইঞ্জিন ড্রাইভার যোগ্যতা সনদধারী। ১৬তম গ্রেডের গাড়িচালক পদ ২৫টি; কমপক্ষে জেএসসি বা সমমান পাসসহ বিআরটিএ প্রদত্ত বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী এবং হালকা/ভারী যানবাহন চালনায় পারদর্শী হতে হবে।  স্পিডবোট ড্রাইভার (১৬তম গ্রেড) পদ ১৩টি; এসএসসি বা সমমান পাসসহ স্পিডবোট চালনায় ৩ বছরের অভিজ্ঞতা অথবা স্পিডবোট চালনায় সনদধারী। বন প্রহরী (১৭তম গ্রেড) পদ ২৮৬টি; এইচএসসি বা সমমান পাস, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং বুকের মাপ ন্যূনতম ৩০ ইঞ্চি।

 

বয়সসীমা ও আবেদন প্রক্রিয়া

১ জানুয়ারি ২০২৫ অনুযায়ী বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ফি জমা দিতে হবে ২ মার্চ ২০২৫ বিকেল ৫টার মধ্যে।

 

আবেদনের লিংক: http://ccffd.teletalk.com

 

মন্তব্য
ভাইভা অভিজ্ঞতা

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?

    নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোানা করেছেন রুমী আক্তার সুমিতা। ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে তিনি নিয়োগ পেয়েছেন। এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিসিএস। ভাইভা হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতার কথা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?
রুমী আক্তার সুমিতা

ভাইভা রুমে সালাম দিয়ে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যান স্যার নিজেই আমাকে সালাম দিয়ে বলেন, এই তো আমাদের আসল স্যার আসছে। আমি স্যারের কথা শুনে হেসে দিলাম।

চেয়ারম্যান : আপনি হাসলেন কেন?

স্যার, আপনার কথা শুনে।

আমি কী হাসির কথা বলছি? আমার কথা কি সত্যি না?

হাসির কথা না, স্যার।

আপনি সত্যি কথাটাই বলেছেন। (আমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর শিক্ষকতা করেছি, এটা জেনেই স্যার এ কথা বলেছেন।)

কীভাবে সত্য বললাম?

স্যার, পরিবারের পর শিশুর বিকাশ আর সামাজিকীকরণে শিক্ষকরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। আমাদের পায়ের জুতা থেকে শুরু করে আমাদের বাচনভঙ্গি সবটাই শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করে।

তাই আপনার কথাটি সঠিক।

আচ্ছা বলুন তো, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যিনি তাঁর প্রাথমিকের শিক্ষকের পায়ে ধরে সালাম করেছেন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

আপনার স্কুল সম্পর্কে বলুন?

(আমি স্কুলের অবস্থান থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয় সুন্দরভাবে গুছিয়ে বলি।

)

আপনার জেলা তো নোয়াখালী? নোয়াখালীর কোথায়? নোয়াখালীর ব্যক্তি হিসেবে বলার মতো কেউ কি আছেন?

স্যার, সদর উপজেলায়।

বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সার্জেন্ট জহুরুল হক, শহীদ বুদ্ধিজীবী এএনএম মুনীর চৌধুরী প্রমুখ।

আপনি তো মনে হয় বইপড়ুয়া। সম্প্রতি কী কী বই পড়েছেন? বইগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বলুন।

আহমদ ছফার গাভী বিত্তান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের ভিসি হওয়া, তার পারিবারিক ও সামাজিক টানাপড়েন এবং তার প্রিয় গরুর মৃত্যু ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে। আরেকটি বই নাগরিকদের জানা ভালো। বিচারপতি হাবিবুর রহমানের লেখা। একজন নাগরিক হিসেবে কী কী বিষয় জানা দরকার, যেমনসংবিধান থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছু তুলে ধরেছেন তিনি। আমি মনে করি এটা সবার পড়া উচিত। দ্য লাইফ হিস্ট্রি অব হেলেন কেলারের এর অনুবাদ পড়েছি [হেলেন কেলারের অটোবায়োগ্রাফি দ্য স্টোরি অব মাই লাইফ]। ছোটবেলা থেকে এক অন্ধ মেয়ে তার ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে যেসব প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলে এগিয়ে যেতে পারে, এর সুন্দর বর্ণনা রয়েছে বইটিতে।

ঠিক এই মুহূর্তে কোন উপন্যাসের কোন লাইনের কথা মনে পড়ছে?

স্যার, পথের পাঁচালীর সেই কথা, মানুষ সব কিছু ভুলতে পারে কিন্তু শৈশবের স্মৃতি ভুলতে পারে না।

 

এক্সটার্নাল-১ : যেকোনো কবিতার দু-এক লাইন বলুন।

—‘আপনাদের সবার জন্য এই উদার আমন্ত্রণ, ছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান। (আবু হেনা মোস্তফা কামালের কবিতা ছবি থেকে।)

 

চেয়ারম্যান : নারীদের জন্য বই লিখছেন, এমন একজন লেখিকার নাম বলুন? সাহিত্য ছাড়াও সমাজজীবনে তাঁর কী প্রভাব আছে?

(আমি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন সম্পর্কে বললাম। পরিবার ও সমাজজীবনে তার বিভিন্ন অবদানের কথাও বললাম।)

আপনি কী অবরোধ-বাসিনী পড়েছেন? বইয়ের নয়, ঘটনার সারাংশ বলুন।

(প্রায় পাঁচ-ছয়টা গল্প বলার পর স্যার আমাকে থামতে বললেন।)

এক্সটার্নাল-১ : আপনার এমবিএর বিষয় কী ছিল?

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা।

Management vs HRM, Efficiency vs Effective, Training  vs Development -এর উদাহরণ দেন এবং এক লাইনে পার্থক্য বলুন।

(আমি সুন্দরভাবে সব কিছুর উদাহরণ ও পার্থক্য গুছিয়ে বললাম।)

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো কী কী? যা এসডিজি অর্জনে সাহায্য করবে?

(আমি সরকারের গৃহীত ব্যবস্থাগুলো বললাম।)

 

এক্সটার্নাল-২ : মোটিভেশন কনসেপ্টটা আপনি কিভাবে আপনার কর্মজীবনে প্রয়োগ করেন?

(শিখন ও শেখন কার্যক্রমের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত বললাম।)

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে কর্মঘণ্টা কমানো হলো, এটা কার জন্য সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসু হবে?

শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্যই।

আপনার ক্যাডার পছন্দক্রম বলুন?

বিসিএস (পররাষ্ট্র), বিসিএস (প্রশাসন), বিসিএস (পুলিশ), বিসিএস (শিক্ষা)।

What is Foreign  Policy?

-To expansion of domestic policy to preserve the national interest.

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় কী কী চুক্তি হয়েছে দেশ দুটির মধ্যে?

২০২২ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি হয়। এটি ১২০ দিনের জন্য হলেও পরে নবায়ন করা হয়।

রাশিয়া দুটি দেশের মধ্যে ছিটমহল নিয়ে মধ্যস্থতা করেছে একটি চুক্তির মাধ্যমে। এ চুক্তিটির নাম কী?

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে অবস্থিত নার্গানো কারাবাখ নিয়ে মধ্যস্ততা করেছে রাশিয়া। কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (সিএসটিও) আওতায় আর্মেনিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা রাশিয়ার। এছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় রাশিয়ার সৈন্য নার্গানো কারাবাখে অবস্থানের অনুমোদন পেয়েছে।

আজকে (১৬ অক্টোবর) কী দিবস?

বিশ্ব খাদ্য দিবস।

 

চেয়ারম্যান : খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় বলে মনে করেন? এর জন্য আপনি কী করবেন?

প্রথমে আমাকে নিজেকে সচেতন হতে হবে। একটি জমিও পতিত রাখা যাবে না। বাড়ির আশেপাশে বিএডিসি কর্তৃক উদ্ভাবিত হাইব্রিড বীজের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজনীয় খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে মাছ ও হাঁস মুরগী চাষের মাধ্যমে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি আসুন।

 

(আমি সালাম দিয়ে বেরিয়ে এলাম।)

 

মন্তব্য
এইচএসসি পাসে আবেদন

বিজিবিতে সিপাহি পদে চাকরির সুযোগ

    ১০৪তম ব্যাচে সিপাহি (জিডি) পদে পুরুষ ও মহিলা নিয়োগ দেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আবেদনের সুযোগ পাবেন সব জেলার প্রার্থীরা। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়া যাবে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত ১২টা পর্যন্ত। বাছাই পরীক্ষা, পরীক্ষার প্রস্তুতি, শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতাসহ দরকারি তথ্য জানাচ্ছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
বিজিবিতে সিপাহি পদে চাকরির সুযোগ
ছবি : সংগৃহীত

বাছাই পরীক্ষা যেমন হবে

জেলাভিত্তিক নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রার্থীদের প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও ব্যাবহারিক পরীক্ষা (প্রযোজ্য হলে) নেওয়া হবে। শুধু নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রাথমিক ডাক্তারি পরীক্ষায় শারীরিক যোগ্যতা, উচ্চতা, ওজনসহ বিভিন্ন বিষয় দেখা হয়। জটিল কোনো রোগ বা সমস্যা আছে কি না এসব দেখা হবে।

২০২৪ সালের সিপাহি (জিডি) লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, ১০০ নম্বরের সংক্ষিপ্ত ও রচনামূলক পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সময় ছিল ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। ২০২৫ সালের নিয়োগ পরীক্ষায়ও এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে।

 

লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি

বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, গণিত, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

প্রশ্নগুলো আসে মাধ্যমিক শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে। বাংলায় মোট ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকেভাব-সম্প্রসারণ ১০, শব্দার্থ ৫, এককথায় প্রকাশ ৫, সমার্থক শব্দ ৫ এবং বাগধারায় ৫ নম্বর। ইংরেজিতে ৩০ নম্বরট্রান্সলেশন ৫, প্রিপজিশন ৫, সিনোনিম ৫, সেনটেন্স ৫ এবং প্যারাগ্রাফে ১০ নম্বর। গণিতেও ৩০ নম্বরপাটিগণিত ২০ ও বীজগণিত ১০।
সাধারণ জ্ঞানে সমসাময়িক বিষয়ে মোট নম্বর ১০ থাকে। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মাধ্যমিক শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। এ ছাড়া বিজিবিতে সিপাহি নিয়োগের প্রস্তুতিমূলক বইও বাজারে পাওয়া যায়। এসব সহায়ক বইতে বিগত প্রশ্নপত্র ও সমাধান দেওয়া থাকে। প্রশ্নের মান ও কাঠামো বুঝতে বইগুলো কাজে আসবে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভাইভা নেওয়া হবে। সেখানে প্রার্থীর সাধারণ জ্ঞান, মনস্তাত্ত্বিক বিষয় ও আইকিউ যাচাই করা হবে। 

 

পরীক্ষার দিন সঙ্গে যা রাখতে হবে

এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাশের মূল অথবা সাময়িক সনদ, স্কুল বা কলেজ প্রধান থেকে দেওয়া মূল প্রশংসাপত্র, অভিভাবকের সম্মতিপত্র, নাগরিকত্ব সনদের মূলকপি, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক স্থায়ী নাগরিকত্ব সনদ, সদ্যতোলা নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে ল্যাব প্রিন্ট পাসপোর্ট রঙিন ছবি, যার এক কপি চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর কর্তৃক সত্যায়িত ও ১০ কপি সত্যায়ন ছাড়া, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর কর্তৃক দেওয়া বিবাহিত সনদের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপিসহ সত্যায়িত কপিপরীক্ষার দিন প্রার্থীর সঙ্গে এসব রাখতে হবে। এছাড়া পরীক্ষার প্রবেশপত্রের প্রিন্ট কপি অবশ্যই পরীক্ষার কেন্দ্রে সঙ্গে রাখতে হবে। প্রবেশপত্রে পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ থাকবে। প্রার্থীর মোবাইলে এসএসএসের মাধ্যমেও এই তথ্য জানানো হবে।

 

আবেদন প্রক্রিয়া

বিজিবির ই-রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়ার মোট ৬টি ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম ধাপে প্রাথমিক যোগ্যতা যাচাই, দ্বিতীয় ধাপে রেজিস্ট্রেশন, তৃতীয় ধাপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আবেদন ফির ৫৬ টাকা আবেদন জমা দিতে হবে। চতুর্থ ধাপে এসএসসি ও এইচএসসির তথ্য ইনপুট করে পঞ্চম ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি আপলোড করতে হবে। ষষ্ঠ ধাপে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনের সময় পাওয়া ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। নিয়োগের শর্ত ও নিয়ম-এ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখের প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে।

 

বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা

পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছর (৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখ অনুযায়ী)। অর্থাৎ জন্ম তারিখ হতে হবে ৪ আগস্ট ২০০২ থেকে ৩ আগস্ট ২০০৭ তারিখের মধ্যে। পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রার্থীদের এসএসসি/সমমানে ন্যূনতম জিপিএ ৩ এবং এইচএসসি/সমমানে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ থাকতে হবে।

 

শারীরিক যোগ্যতা

সাধারণ পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় উচ্চতা হতে হবে অন্তত ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ন্যূনতম ওজন সাধারণ প্রার্থীর বেলায় ৪৯.৮৯৫ কেজি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ৪৭.১৭৩ কেজি। সাধারণ প্রার্থীর বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩৪ ইঞ্চি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের বেলায় বুকের স্বাভাবিক মাপ ৩০ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩২ ইঞ্চি।

সাধারণ মহিলা প্রার্থীদের ন্যূনতম উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বেলায় ৫ ফুট। ন্যূনতম ওজন সাধারণ প্রার্থীর ৪৭.১৭৩ কেজি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বেলায় ৪৩.৫৪৪ কেজি। সাধারণ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি, প্রসারণে ৩০ ইঞ্চি হতে হবে। সব প্রার্থীদের ক্ষেত্রেই দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ থাকতে হবে।

 

প্রশিক্ষণ ও বেতন-ভাতা

চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর নির্বাচিত পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীদের বিজিবির নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ সময় তারা প্রশিক্ষণ ভাতা পাবেন। প্রশিক্ষণ শেষে সিপাহি (জিডি) পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা স্কেলে বেতন, বাড়িভাড়া, বাসস্থান, রেশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ ও বর্ডার গার্ড স্কুল এবং কলেজে সন্তানদের ভর্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন।

 

আবেদন লিংক

http://joinborderguard.bgb.gov.bd 

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ